শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
প্রথম জলের বৈধতা
ফরিদুল ইসলাম
আগুন লাগানো কৃষ্ণচূড়ার নিচে গনগনে এক দুপুরবেলায়
মত্তহীন, তৃপ্তিহীন এক হদয় নিয়ে যাচ্ছিলাম।
বেশ কিছু দূরের পথ ছেড়ে আরো একটু দূরে-
মাঝপথে ক্ষিপ্র ধ্বনি, আগন্তুকের কোলাহল ছেড়ে
হৃদয় বাসনায় ছুটছিলাম
আমি ও আমার অন্তর্নিহিত সত্তা।
হঠাৎই তোর অরক্ষিত ধ্বনি,
সুরক্ষিত চেনা ডাক-
পিছু ফিরে তাকাতেই তোর মুখনিসৃত
আবারো একশো করাত।
আমি সমাপ্তের পথে হাঁটতে চেয়েছিলাম।
নিরপরাধ, নিরুপায়ের আর একটি নাম।
অথচ তুমি দিলে আমায়
নির্লুপ্ততা, বেহায়াপনা
শৃঙ্খলামুক্ত বেদনা জলের হাসি-
আমি তাই-
এ আমার কান্না নয়,
পেয়েছি যে জলের বৈধতা
আমি অশ্রু আনন্দে ভাসি।
জাত্যাভিমান
জাফর পাঠান
এমন দন্ত-নখর-ছিলো না অহিংস বুদ্ধের
জাতি ধর্মের বিভেদ টেনে কথা বলেনি যুদ্ধের,
মানুষ-মানুষ-মানুষ, বলেছে মানুষের কথা
শুধু মানবতার সুবাস ঢেলেছেন যথাতথা।
তবে কেন বুদ্ধের দেশ মিয়ানমারে রক্তনেশা
ধার্মিক লেবাসে হত্যা-হনন চলে হরহামেশা!
পড়ছে লাশের পর লাশÑ ভীতিকর সর্বনাশ
ধীকৃত নেশার জাত্যাভিমানে দেখায় অভিলাষ।
প্রশ্ন জেগে ওঠে মনে
লেবাসধারীর সনে,
পশুত্ব কেন নয়নে
কেন উল্লাস দাহনে।
খুনিদের না হয় বললাম, বর্বর জানোয়ার
কিন্তু শাসক করছেটা কি! হাতে রেখে হাতিয়ার,
নিজ ভূমি- নিজ ঘর, তবু রোহিঙ্গারা যাযাবর
চোখে পেরেক- মুখে বালি, নীরব বিশ্ব মাতব্বর।
ওদের হাতে ক্ষমতা, পাতে রাশি রাশি মারণাস্ত্র
জাগ্রত মানুষের সম্বল, চৈতন্যের বিবেকাস্ত্র,
সুপ্ত বিবেক জেগে উঠুক, হোক বজ্রের নিনাদ
ত্রৈলোক্যে শুধু যেন শুনি, বর্বরদের আর্তনাদ।
শাশ্বত অনন্ত
খোদেজা মাহবুব আরা
হৃদয়ের কার্নিশে আকাক্সক্ষার নিসঙ্গ
আকাশের সাথে একান্তে মিশে ছিল অপূর্ণতা
নিশব্দ ঘুমহীন কালো রাতে
মনভাঙা অনুভবের নোনাজলে
ভেসেছিল আশার ছোট তরীখানি
ক্লান্তির শিখরে পরাজিত
আত্মপ্রত্যয়ের সুর
¯িœগ্ধ বাতাসে কিছু সুখ
পুষ্প সুরভিত কিছু মুহূর্ত
আর্তনাদের নীল সময় নীরব দীর্ঘশ্বাস
ভুল শুদ্ধের পথ নির্দেশ
ব্যর্থতার বন্দনায় কেটে যায়
শাশ্বত অনন্ত কিছু
নিষ্ঠুর অহংকারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।