শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
গন্তব্য কোথায়
আহমেদ উল্লাহ্
আমার গন্তব্য কোথায়...?
ওই সুদূর নীলিমার অনন্ত গহ্বরে,
নাকি নীল জলের অসীম অতলে?
পাতালের গুপ্ত রহস্যলোকে কি না,
তা-ও অজানা!
কোথা হতেই-বা শুরু হয়েছিল
অনন্ত-যাত্রার এই দুরন্ত পথচলা...
মাতৃ-জঠর, নাকি পিতৃ-মস্তিষ্কের হাইপোথেলামাস?
তা-ও অজানা!
গতিময় ছুটেচলা জীবনের পথ ধরে
কতদূর যেতে হবে আর;
পঞ্চ-ভূতের এই দেহরথে চড়ে
ভুবন-ধরণী ঘুরে ঘুরে...
ক্লান্তি-শ্রান্তিহীন আত্মার অসীমে-
ছুটেচলার অবসান কবে, কোথায়?
এভাবেই কি বেয়ে যাব তরী চিরকাল-
আজ এখানে, কাল ওখানে
নব নব রূপের মুখোশ পরিধান করে!
বেঁচে থাকি প্রত্যাশায়
সুমন ইসলাম
কাশফুল শাড়ির আঁচল উড়িয়ে
তুমি হেঁটে যাও
শরৎ গোধূলির বিরান মাঠজুড়ে
কখনো আবার বাঁধভাঙা ধলেশ্বরীর ঢেউ
হয়ে জলরেখা এঁকে যাও এই বুকে।
আমি কচুরী ফুলের পাপড়ির মত শব্দে
মোহনায় ভাসিয়ে দেই যোজন কাব্য
আনন্দে মুখরিত গাঙচিল ঠুঁকে নেয় সবটুকু
যখন হঠাৎ অযাচিত কণ্ঠ শাসন
তোমার বাড়ি ফেরার ঝড় তোলে।
তুমি পুতুল-বউয়ের মতন
গোধূলির সংসার ভেঙে চলে যাও
আর আমি ঘাসের বুকে রাতের কান্না
হয়ে বেঁচে থাকি ভোরের প্রত্যাশায়।
ভূস্বর্গের নরক
শাহিনা কাজল
ওরা ঢালছে ... রক্ত
রক্তের নদীতে দেশপ্রেমিক
রক্তের নহরে ভাসছে গোলাপের পাপড়ি
শিশিরের শব্দে আহত শবনম।
আহত আপেলের বাগান, ম্লান মুখে গুল্মলতা।
অজানা আশংকায় কাটে স্বপ্নরাত, বিভীষিকার বিষদাঁত।
গুলিবিদ্ধ নিষ্পাপ মুখে ভরা জননীর আঁচল।
নিরাপরাধ পক্ষীর আহাজারি - পাথর ক্ষয়ে যায়...
গোলাপের পাপড়িতে চিটচিটে রক্তের নীল গন্ধ।
পৃথিবীর ভূস্বর্গ রক্তের নগর, স্বর্গপুরীতে নরকের ল্যু।
কাজিগুন্ড কাঁপে কামানের হুঙ্কারে
লারনোতে বাজে সাইরেন, মৃত্যুর আহ্বান।
সুন্দরী অনন্তনাগে মৃত্যুফাঁদ... মুখোমুুুখি স্বর্গ-নরক।
হিংসুকের ত্রাসে দোলে বান্দিপোরা, রক্ত দেবে ওরা
শান্তিনগরের হ্রদে ভাসে নিষ্পাপ শিশু, গুলিবিদ্ধ কুমারী শরীর।
ডালহ্রদের মানচিত্রে রক্তকলি টিউলিপ।
ওরা বাঁচতে চায়, ফিরিয়ে দাও নিঃশ্বাস
ভূস্বর্গ আজ ভূ-নরক।
সোনামাটির গায়ে রক্তের স্রোত, রক্তাশ্রু ওদের কাম্য নয়
ফিরিয়ে দাও পৃথিবী ... স্বাধীনতা ওদের প্রাপ্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।