শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
কবিতার অসম্পূর্ণ শরীরে
বিটুল দেব
কবিতার শরীর সাজাতে তন্নতন্ন করে খুঁজে বেড়ায়
কাঁচামালের উৎস! চোখ ছবি আঁকে অন্তর-গহীনে,
দেয়ালে কথা বলে আদিম সোনার সংসার।
আমি আজো জরাজীর্ণ কাঁচামালের বিউটি পার্লার
খুলে বসে আছি।
অধুনা জগতে বড়োই প্যাঁচের ফ্যাশনে দাঁড়ায় নাকি
কালের খেয়ায় কবিতা। গন্তব্যের পথ নির্ণয়ে জোড়াচোখ
ক্লান্তিতে হামি দিয়ে একমুঠো ঘুমিয়ে নিই
কবিতার অসম্পূর্ণ শরীরে।
আবার
সাফি উল্লাহ্
ভোরে পানি ঢালিÑ
হাতে মুখে চোখে পায়ে
তারপর
আবার নোংরা হই
আবার ধুই
একবার
অনেকবার
পাঁচবার।
শেষবার ধুতেই মাঝরাত।
আমি ঘুমিয়ে পড়ি
একটা আশায়:
আবার পানি ঢালব
ভোরেÑ
হাতে
মুখে
চোখে
পায়ে।
তারপর আবার নোংরা হব
কারণ পানি ঢালতে হবে।
বিক্ষুব্ধ পৃথিবী
ফাতিমা আলী
তুমি এসে দেখলে স্বদেশ দগ্ধ তীব্র পাপানলে
তুমিই প্রথম জ্বেলেছিলে আলো মহ-যশস্বান!
অনাচার-অবিচার সব ভেঙ্গে হলো খান খান
অবাক পৃথ্বী দেখেছে সেথা সম্প্রীতির আলো জ্বলে।
বিশ্বে ছড়ায় ইসলামের আলো প্রতি পলে পলে
মুসলিম উম্মাহ প্রথম চিকিৎসা ও অর্থনীতি
সঙ্গে গণিতের বীজ পুঁতে ছড়িয়েছিল সুখ্যাতি
এ নব বিপ্লবের হয়নি ব্যাপ্তি অস্ত্রের অনলে।
প্রবেশ করেছি আমরাও ফের সুতীব্র আঁধারে
ঝন ঝন অস্ত্রের মহড়া শুনিতেছি চারিদিকে
ধ্বংস হয়ে গেছে ধর্মাচার-মনুষত্ব আজ আবার
এসো ঈশা! ইমাম মাহদী! আলো জ্বালো দ্বারে দ্বারে
ধ্বংস করো পাপীর আস্তানা, হোক সবকিছু ফিকে
তৈরি হোক নতুন সভ্যতা-আলোকিত চারিধার!
অধরা মিশে থাকি
শাওন আসগর
আমি আজ পাখি হই উড়োজাহাজ হই
বাতাসের ডানায় পৌঁছে যাই ওয়াশিংটন হাউজে
দিয়ে আসি তোমার চঞ্চুতে ঠোঁটের ছোঁয়া
ঘুমাও। তুমি সেহরীর শেষ প্রহরে ঘুমাও মেয়ে।
শহর প্রদক্ষিণ করে ঘরে আসি কিছু বৃষ্টির দানা নিয়ে
তবু অন্তরীক্ষের সব শীতলতা তোমার নিবেদনে রেখে গেলাম
আকাশের মেঘ আর পাহাড় থেকে নির্গত ঝরণার জল
তোমায় সুখী করুক
জেগে ওঠে নদীর দুর্বার স্রোতধারায়
তুমি আবিষ্কার করো এশিয়ার এক যুবকের আদল।
কী কথা হয়েছিলো তোমার সাথে মনে আছে?
কমিটমেন্ট টাইম আর শ্রমেভেজা এই শরীর আমার
যার পরতে পরতে তোমার ¯িœগ্ধতার প্রলেপ
হাজার মাইল পথ পরিক্রমায় যে ছবি ভেসে ওঠে চোখে
সেখানেই গেড়েছি নোঙ্গর অবেলায়
নতুন করে হোক উৎসব আবার তোমার অলিন্দে
আর কিছু শব্দমালা গোপনই থেকে যাক
তোমার ই-মেইল বক্স আর পারসোনাল ড্রয়ারে।
তোমার অবয়বে ফুটে উঠুক আমার বোকা নির্বোধ রূপ
চোখের তারায় মিশে যাকা শরীরের ভাঁজ
অধরা মিশে থাকি তোমার গগনের সিঁড়িতে
তুমি প্যাঁচা, উজাগর চোখে দেখবে রাতের চাঁদ
গগনের চন্দ্রকন্যা তুমি জানো না
এই ¯িœগ্ধময় শহরে ওঁৎ পেতে আছে এক মোহন কবি
অধীর প্রতীক্ষায় থেকে থেকে
তোমার অ্যাপ্রোনের ভেতর ঢুকে গেছে তার প্রেমময় শব্দাবলী
তুমি পবিত্র শয়নে যদি পারো স্বপ্ন দেখো-
কেমন করে অশ্রুসিক্ত নয়নে আছি পরবর্তী দিনের অপেক্ষায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।