শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
১৯৫৬ সালে কবি তাঁর প্রেমিকের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ক্ষণজন্মা এই মহিলা কবির সংসার জীবন খুব একটা সুখের ছিল না। সিলভিয়া প্লাথ প্রচন্ড মেধাবী প্রমাণে সচেষ্ট হলেও মনোদৈহিক সংকটে ভুগেছেন সব সময়। কবি সেক্সটন ও স্টারবাক ব্যক্তিগতভাবে তাকে সার্পোট দিয়ে গেছেন। ১৯৬০ সালে প্রথম কবিতার বই “ঞযব ঈড়ষড়ংংঁং ধহফ ড়ঃযবৎ ঢ়ড়বসং” প্রকাশিত হয়।
জীবনের কোনো একসময় সিলভিয়া বলেছিলেন, কখনো পারব কি, এই যে এত বই; সব পড়ে শেষ করতে? ইচ্ছে তো খুব, একার মধ্যে বহু হয়ে থাকার; জীবন কাটাব যখন যেভাবে খুশি। সাধ হয় সবকিছুতে পটু হতে, সাধ্য নেই। বাঁচতে ইচ্ছে করে সব রং, আলো, ছায়া, রস, রূপ , সুরভি নিয়ে। যত রকম মানসিক আর শারীরিক অস্তিত্ব সম্ভব ..সবটুকু শুষে নিয়ে যেন সোচ্চারে বাঁচি। কিন্তু আমার যে কী নিদারুণ সীমাবদ্ধতা!
তিক্ত অভিজ্ঞতার আলোকে লিখতে থাকেন একের পর এক কবিতা। জীবনের প্রতিটি দশকেই তিনি স্বেচ্ছামৃত্যুর মুখোমুখি হন। কখনো ঘুমের ঔষধ খেয়ে কখনোবা গাড়ির সাহায্যে দূর্ঘটনা ঘটিয়ে। তিনি বলেন, উুরহম, রং ধহ ধৎঃ ষরশব বাবৎুঃযরহম বষংব. ও ফড় রঃ বীপবঢ়ঃরড়হধষষু বিষষ. এই প্রসঙ্গে তিনি আরো লিখেছিলেন, আমি নি:শর্ত আত্মসমর্পণ করলাম আমার চারপাশের এই অন্ধকারের ঘূর্ণির কাছে; যাকে ভেবেছিলাম এক চিরন্তন বিস্মৃতি মাত্র। মৃত্যুর আগে তাঁর মাকে লিখেছেন “ও’স ৎিরঃরহম ঃযব নবংঃ ঢ়ড়বসং ড়ভ সু ষরভব, ঃযবু রিষষ সধশব সু হধসব”
বিষাদগ্রস্ততা চোরাবালির মতো সিলভিয়াকে গ্রাস করেছে প্রতিনিয়ত। মানসিক ঘাত-প্রতিঘাত সয়ে যে যন্ত্রণা পেয়েছেন সে অন্তর্দাহই তাকে সাহস যুগিয়েছে, মন্ত্রমুগ্ধের মতো শক্তি দিয়েছে। তাইতো কলমের খোঁচায় খই ফুটেছে একের পর এক অবিস্মরণীয় কবিতার।
১৯৬০ -এর পর কবিতায় ংঁৎৎবধষরংঃরপ উঠে এসেছে নিসর্গচিত্র। সঙ্গে বন্দীদশার অব্যক্ত যন্ত্রণা আর মৃত্যুর নিঃশব্দ যাত্রাপালা।
তাঁর বিখ্যাত “উধফফু”- কবিতায় পিতা কন্যার সম্পর্কের যে টানাপোড়েন তার বাস্তব কাব্যিক রূপ দেখিয়েছেন। “ঞঁষরঢ়ং” কবিতায় নিজেকে সন্ন্যাসিনী বেশে রহস্যলোকের নিরবয়ব শূন্যতায় কীভাবে নিঃশব্দে বিস্তরণ করে যাচ্ছেন তার প্রতিলিপি এঁকেছেন।
ি
সলভিয়া প্লাথের একমাত্র আত্মজীবনীমূলক অসমাপ্ত উপন্যাস “ঞযব ইবষষ ঔধৎ” (১৯৬৩) প্রকাশিত হয় ভিক্টোরিয়া লুকাস ছদ্মনামে। আর এই উপন্যাসের বহিঃপ্রকাশ ব্যক্তি জীবনের সংকটময়তা, বিষন্নতা।
তিনি অর্ধশতকেরও অধিক ছোটগল্প লিখেছেন।
অবশেষে ১৯৬৩ সালে ১১ ফেব্রুয়ারি গ্যাস জ্বালিয়ে ওভেনে মাথা রেখে আত্মহত্যা করেন।
আত্মহত্যার আগে অবশ্য তিনি একটি চিঠি লিখে যান তাঁর স্বামী টেড হিউজের উদ্দেশ্যে এটি তোমাকে লেখা আমার শেষ চিঠি। তুমি ফিরে এসে আমাকে আর পাবে না।
কবিরা অভিমানী হয়। সিলভিয়া প্লাথ যেন একটু বেশিই অভিমানী। দুর্দান্ত অভিমানের বশেই আমেরিকান ব্রিটিশ এই কবি চোখ বুজেন। প্রতিথযশা এই কবির স্বর্গীয় আত্মার সমাধী হয় হেপটন্সটল চার্চে, ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ার, ইংল্যান্ড। সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি তিনি ছবি আঁকাতেও পারদর্শী ছিলেন। ১৯৬৫ সালে তাঁর “অৎরবষ” নামক শেষ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ পায়।
উধফফু এবং খধফু খধুধৎঁং এর মতো অসাধারণ কবিতাগুলো তাকে এনে দেয় মরণোত্তর পুলিৎজার পুরস্কার (১৯৮২)। সিলভিয়া প্লাথ ইংরেজি সাহিত্যের একমাত্র কবি যে কিনা সর্বপ্রথম ব্যক্তি মরণোত্তর পুলিৎজার পুরষ্কার পেয়েছ।
সিলভিয়া প্লাথের মৃত্যু সংবাদ যেন কবি এ্যান সেক্সটন কোনভাবেই মেনে নিতে পারেননি। তাইতো শোকাহত হৃদয়ে লিখেছেন দীর্ঘ লাইনের কবিতা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।