শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
স্যার, আমারে একটা কাজের
ব্যবস্থা করে দিন?
পোলাডারে দুবেলা খাওয়াতে পারি না!
বউয়ের অসুখ, তার নাকি
কাজ করার মতো হাত-পায়ে জোর নেই!
অভাবের সংসারে বিপদ-আপদ লেগে-ই আছে,
একটা কামের জন্য কত মাইনসের
দুয়ারে দুয়ারে গেছি গো ছার
সবাই শুধু অবহেলাই করে, গরিব বলে তাড়াইয়া দেয়
কেউ একটা কাম দেয় না!
ভাঙাগলায় মফিজের এতো আকুতি-মিনতি
শোনার পরও সাহেবের মন গলেনি!
ওপাশ থেকে আরেক হতদরিদ্র চোখের পানি
ছেড়ে দিয়ে তাকে অনর্গল বলতে লাগলো-
দুইন্নাইডা ভাই গরিবের জন্যে না!
আমগোরা আইছি বড়লোকদের মজুরি খাটতে!
জানেন; একমাস ধরে বাজারে যাই-
সাহসে ধরে না একটা মাছ কিনি!
আমার মাইয়াডারও অনেক অসুখ, পাশের বাড়ির
আফা লতিফা কইছে নাফা বড়ি খাওয়াইতে;
বড়ি খাবার পর
আল্লার রহমতে জ্বর ভালো হইয়া গেছে
ভাইগো, ঐ সাহেবদের কাছে কইয়া লাভ নেই-
উপরওয়ালারে কও- গরিবের দুঃখ
একমাত্র উনি ছাড়া আর কেউ বুঝবে না!
হুনছি, মওলবীরা কয়- গরিবের হিসেব নাকি
দুইন্নার কষ্ট আর আমার কাছে কষ্ট মনে হয় না!
কথাগুলো শোনার পর
মফিজের অমলিন মুখে ফিরে এলো একটা মুচকি হাসি
আহা! সে যেনো সবচেয়ে বড় সান্ত¡না খুঁজে পেলো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।