শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
বালক বালিকা
আকিব শিকদার
আসমানী শাড়ি নিখুঁত পড়ে আছে আলনায়
পড়ে আছে রেশমি চুড়ি, সাদা কাঁচুলী, শিউলির মালা, বেলিফুল
অবহেলায় কাচ-পোকা টিপ, হীড়েকুচি নোলক, ঝিনুক কানের দুল।
বালিকা সাজঘরে আয়নায়
প্রতীক্ষা গুনে কী এক অস্থিরতায়
বালক এলেই সাজবে মোহিনী সাজ; রুপার নূপুর দেবে পায়Ñ
বালকের আগমন যেন তার একমাত্র উৎসব।
এসেছিল বালক, কড়াও নেড়েছিল খুব
‘কেন এতো দেরি হলো’Ñ বড়ো বেশি অভিমানে বালিকা খোলেনি দ্বার
বালকের হাতে ছিল কৃষ্ণচূড়া, আলতা আর সুগন্ধি আতরসম্ভার
বালিকার কপালে কপালÑ
ছুঁয়ে সৃখবৃষ্টিতে ভেজার কথা আজ, আস্ত বিকাল।
তবু দ্বার খোলেনি বালিকা
শোনেনি বালকের হৃদয়জ আহাজারি। অর্ঘ হাতে ভীষণ একা
দরজায় ক্রমাগত ঠকঠক
চিরপরিচিত করিডোরে অনঢ় দাঁড়িয়ে রয় নাছোড়বান্দা বালকÑ
যেন তার একমাত্র আরাধনার মানসীটি বালিকা।
অগ্নির অহংকার ও পতন
এনামুল হক টগর
তোমাকে দাসত্বের জন্য পৃথিবীতে পাঠিয়েছে
তুমি কিনা অহংকারে নিজেকে শ্রেষ্ঠ ঘোষণা করছো?
সেবা ও কল্যাণের কর্ম দিয়ে সেবক হয়ে যাও
অহংকার পরস্ত হলেও তুমি মহৎ হয়ে যাবে।
একদিন অগ্নি বাতাসকে গর্ব করে বললো
আমি অগ্নি আমিই সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ!
তখন বাতাস ক্ষুব্ধ হলো, আকাশ মেঘ ও বৃষ্টি ক্ষুব্ধ হলো
তারা ঝটিকা বেগে আক্রমণ করলো
অগ্নি মুহূর্তেই নির্বাপিত হয়ে গেল!
আর অগ্নির অহংকার ও আমিত্ব ধূলায় মিশে গেল
এভাবেই অহংকারীরা পতনের স্বাদ গ্রহণ করে।
মনে রেখো নিজেকে ক্ষুদ্র ভাবাই জ্ঞানীর কাজ।
ক্ষুদ্রের ভেতর থেকেই বৃহৎ প্রকাশ পায়,
তোমরা পরমাণুর মতো ক্ষুদ্র হয়ে অনুসন্ধান করো
গবেষণায় সফল হলে জাহের ও বাতেনের ফলাফলে
তুমি সত্যের দর্শন পেতে পারো।
নয়লে অহংকার আর আমিত্ব তোমাকে পতন করে দিবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।