শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
২০৮৪. বিচ্ছুরিত করি জ্যোতি সত্তাতে তোমার যখন
বিঘœ-বাধা যায় মিটে সব রয়না কিছু আর গোপন।
২০৮৫. যায় ছড়িয়ে উজাল জ্যোতি দূর হয়ে যায় অন্ধকার
আলো, আলো, কেবল আলো কোথাও আঁধার রয়না আর।
২০৮৬. রবির আলো যে ঘোর আঁধার পারে নাকো করতে দূর
সে আঁধারও হটিয়ে দিয়ে জ¦লে ওঠে দীপ্র নূর।
২০৮৭. শিখিয়ে দিলেন আল্লা’তালা আদমকে সব কিছুর নাম
ফেরেশতাদের শেখান আবার আদমও সে সব তামাম।
২০৮৮. নদীর থেকে লও অথবা কলসি থেকেই লওগো জল
সকল জলই ওই নদীরই উভয় লওয়ার একই ফল।
২০৮৯. চাঁদ থেকে লও আলো কিবা সূর্য থেকে তফাত নাই
একই আলো, সব আলোকের উৎসভূমি সূর্য টাই।
২০৯০. যেই তারকা সামনে পাবে করবে হাসিল রোশনী তার
সব সাহাবী তারকা মোর কালাম নবী মোস্তফার।
২০৯১. আদম হতে শিখলে কিবা খোদার থেকে শিখলে তাই
খোলের সুরা, মটকা সুরা একই সুরা তফাত নাই।
২০৯২. মটকা-সাথে যোগ রাখে ওই সর্বদাই কদুর খোল
তোমার মত মূল্Ñসাথে তার নাইকো বিরোধ গÐগোল।
২০৯৩. একটি বাতি থেকে যখন নেয় আলো আরেক বাতি
দেখে যখন মানুষ সেটা ভাবে এটাই মূল বাতি।
২০৯৪. প্রথম থেকে লও আলো, বা শেষটি থেকে লওগো তাই
উভয় থেকেই লওয়া সমান দুই আলোতে তফাৎ নাই।
২০৯৫. ওই আলোকে প্রথম কিবা শেষ ভাব তায় নাই ক্ষতি
জেনে রেখো, রূপ ও গুণে এক বরাবর দুই জ্যোতি।
২০৯৬. নবী বলেন : কখনো এক মধুর সময় যিন্দেগীর
ফয়েয ও রহমাতে খোদা দ্বারে এসে হয় হাযির।
২০৯৭. রও হুঁশিয়ার, বৎস তোমার সজাগ রাখো চোখ ও কান
প্রাণ ভরে লও খোশবু টেনে হাসিল করো খোদার দান।
২০৯৮. এমন না হয়, খোশবু এলো রইলে গাফিল রুদ্ধ দ্বার
থেকে গেলে বঞ্চিতই পেলেনা রহমাত খোদার।
২০৯৯. দোসরা দফা খোশবু আবার এলো ওলী-আউলিয়ার
না রও যেন বঞ্চিত তায় হও সচেতন হুশিয়ার।
২১০০. ওই বায়ূতে শিফা এবং শান্তি লভে ঈমানদার
কুফরী বাড়ে পাপাত্মাদের তারা তাতে হয় বেজার।
২১০১. নারী২ রূহ পায় উহাতে চতুর্দিকে ঘোর আঁধার
মোর্দারা পায় অমর জীবন সফলতার পুরস্কার।
২১০২. নও জীবনের এই যে পুলক এই যে মহাখুশির বান
নয় মামুলী, নয় সাধারণ নেই কিছুই এর সমান।
২১০৩. ছড়িয়ে দিলে এই সুরভী যমীন কিবা আকাশময়
দীর্ণ হয়ে ধ্বংস হয়ে যাবে তারা তাহার ভয়।
২১০৪. ‘আশ্্ফাকনা মিনহা’৩ ইহা বলে দিছে আল-কুরান
দীর্ণ যদি না হয় পাহাড় তবে কেন এ ফরমান।
২১০৫. রূহ যখন ছিল আযাদ কী-না সুখে করত বাস
লোকমা কয়েক নিতেই হেথা ঘটল চরম সর্বনাশ।
২১০৬. লোকমানের এ লোকমাই তার পথের কাটা হয় বটে
তাই বলি হে লোকমা তুমি রাস্তা হতে যাও হটে।
২১০৭. লোকমা তুমি পদতলে বিদ্ধ কাটা যন্ত্রণার
লোকমান হে, এই কাঁটাকে দূর কর, হও হুশিয়ার।
২১০৮. বিদ্ধ হয়ে আছে কাঁটা প্রতিচ্ছয়া নেই যে এর
দেখনা তাই লোভের বসে ক্ষতিটাও পাওনা টের।
২১০৯. খেজুর তুমি দেখছ চোখে অথচ তা খেজুর নয়
কাঁটাকেই ভাবছ খেজুর লোভে ও মনের ক্ষুধায়।
২১১০. কী দান খোদার! মনটা তোমার মহাজ্ঞানী লোকমানের
অথচ সে মনের পায়ে বিধছে কাঁটা পাওনা টের!
২১১১. কাঁটা ভোজী উট তব এই দেহ খানা, তার উপর
বসে আছেন মোস্তফা খোদ বেভুল তোমার নাই খবর !
২১১২. উট হে তোমার পৃষ্ঠ পরে রয়েছে এক ফুলের ঝাড়
সে ঝাড় থেকে চতুর্দিকে যায় ছড়িয়ে খোশবু তার।
২১১৩. বাবলা কাটা বালুর দিকে তবু তোমার আকর্ষণ
ওই কাটারই মধ্যে তুমি করছ কুসুম অন্বেষণ।
২১১৪. অন্বেষী হে অলি গলি মরছ খুঁজে বৃথাÑছাই
হায় আফসোসে বলছ যে হায় কুসুম কানন কোথায় পাই!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।