শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
১৮৫৭. বলল : রে, মোর সখের তোতা, প্র্রাণের তোতা মোর
কী হলো হায়! এমন দশা ঘটল কেন তোর ?
১৮৫৮. ফাঁকি দিয়ে চলে গেলি রে মোর গানের পাখি !
ব্যথার ব্যথি, প্র্রাণের সাথী কেমনে আমি থাকি ?
১৮৫৯. মন জুড়ান, প্র্রাণ ভুলান গানের রাজা তোতা
তুই যে আমার প্র্রাণ-কাননের শান্তি সজিবতা।
১৮৬০. বাদ্্শা সোলায়মানের কাছে থাকলে এমন পাখি
অন্য প্রাখি নিত না সে এই পাখিকে রাখি।
১৮৬১. চলে গেল প্র্রাণের তোতা হায়রে কপাল হায় !
পেয়েছিলাম সস্তাতে তায় হারানু সস্তায়।
১৮৬২. জিহ্বারে! তুই আমার লাগি বড়ই ক্ষতিকর
তুই তো কথক, দোষ দিতে হয় তথাপি তোর’ পর।
১৮৬৩. জিহ্বা ওরে! তুই-ই আগুন, -তুইই শস্যাগার
আর কত কাল জ্বালাবি তুই এ শস্যভান্ডার!
১৮৬৪. তোর কথাই শ্রবণ করে যদ্যপি প্র্রাণ কাঁদে
সে কাজটিই করে তবু পড়িয়া তোর ফাঁদে।
১৮৬৫. রে জিহ্বা! তুই এক অফুরান সম্পদ-ভান্ডার
আবার তুই-ই কারণ সকল দুঃখ বেদনার।
১৮৬৬. শিশ দিয়ে তুই বদি করিস যেমন ফাঁদের জালে
শান্তনা দিস তেমনি আবার মুছিবতের কালে।
১৮৬৭. রে ‘বে-আমান’ আমায় আমান কখন দিবি আর
তাক করে তো থাকিস সদা শায়ক শত্রুতার।
১৮৬৮. তুই-ই নিছিস হরণ করে তোতায়, এবার শোন্্
যুলুম মাঠে কমিয়ে দে তোর চারণ-বিচরণ।
১৮৬৯. এসব অভিযোগের জবাব দে রে! ত্বরা করে
অথবা বল্্- খুশিতে মন কেমনে যাবে ভরে।
১৮৭০. হায়রে কোথায় আঁধার হরা আলোর মশাল মোর
আর কতো দূর শীতল খোশবু ভরা ভোর।
১৮৭১. প্রঙ্খী তুমি সুদূর থেকে এলে আমার নীড়ে
সূচনা ও সমাপ্তি মোর কেবল তোমায় ঘিরে।
১৮৭২. নাদান মানুষ ব্যাকুল ভারি নিতে দুখের স্বাদ
দলীল দেখ- “লা-উকসিমু” থেকে “ফী কাবাদ’’।
১৮৭৩. ভুলেছিলাম দুখ-যাতনা তোমার আনন দেখে
পুতঃ ছিলাম ময়লা ফেনা আবর্জনা থেকে
অবগাহি তোমার সরস নির্ঝরিনী নীরে
সেই শুভ ক্ষণ মিলন তিথি আসবে কবে ফিরে!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।