শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
মাওলানা জালাল উদ্দীন রূমী রহ.১৬৫২. আত্মিকজ্ঞান হইলে হাসিল, জাগতিক বিদ্যার
চর্চা ও অনুশীলনের কোন থাকে নাকো দরকার।
১৬৫৩. যুক্তিতর্ক ‘লাযেম মলযুম* মুকতাযী আর নফি’
সকল তু’ছ সে জ্যোতির পাশে লজিক ও ফিলোসফি।
১৬৫৪. চোখওয়ালা জনে রাস্তা দেখায় শতত আপন চোখ
যষ্ঠি ধরার লোকের মদদ হয় না আবশ্যক।
১৬৫৫. ফিরি এই বার মূল কাহিনীতে যদিও এ বর্ণন
সেই কাহিনীরই প্রসঙ্গ কথাÑ বুঝহ প্রাজ্ঞজন।
১৬৫৬. ডুবে থাকি যদি মূর্খতা মাঝেÑ সে তাহারই কারাগার
লাভ করি যদি জ্ঞানের আলোকÑ তাহাও করুনা তাঁর।
১৬৫৭. নিদ্রায় থাকিÑ তারই প্রেমের মস্তিতে বিলকুল
জাগরণে থাকিÑতার চর্চায় সর্বদা মশগুল।
১৬৫৮. ক্র’দন করিÑ বরষে নয়নে তারই মেঘের পানি
হাস্য করি যেÑ তাহাও তাহার বিদ্যুৎ ঝলকানি।
১৬৫৯. তাঁর কাহ্হারী রুদ্র ক্রোধের উদ্ভাস মোর রণে
তাঁর মায়া ওঠে উথলি আবার সোলে*-কালে অরি-সনে।
১৬৬০. আলিফের মত আমরা নিঃস্বÑ বাঁকা এই দুনিয়ায়
কোন কিছুই কি আছে আলিফের ? নিঃস্ব সে অসহায়।
১৬৬১. আলিফের মত সব ঝেড়ে মুছে খালি করে দিলে মন
মা’রিফতের জগতে তা হলে হবে অনন্য জন।
১৬৬২. খোদা ছাড়া আর যত কিছু সব ঝেড়ে ফেল একেবারে
দুনিয়ার সব মোহ-মায়া থেকে দূরে রাখ মনটারে।
১৬৬৩. ওমরের নিকট দূতের জিজ্ঞাসা
পানি-মাটির এ পৃথিবীতে রূহ কে কেন পাঠান হল ?
১৬৬৪. ওমরের কাছে শুনিল যখন এসব তত্ত¡ বাণী
দীপ্ত হইয়া উঠিল জ্যোতিতে দূতের হৃদয় খানি।
১৬৬৫. সোয়াল-জবাব, কুতুহল থেকে মন হল খালি তার
স’েদহ-শোবা, দ্বিধা ও দ্ব’দ্ব রইল না বাকী আর।
১৬৬৬. দেখিল মূল্কেÑ আড়াল করিয়া দাঁড়াল না ডালপালা
সামনে আসিল হিকমত নিয়ে এবার প্রশ্নমালা।
১৬৬৭. রোম রাজ দূত প্রশ্ন তখন করে ওমরের কাছে
রূহকে তু’ছ মাটিতে ব’িদ করাতে কী ভেদ আছে ?
১৬৬৮. নূরানী আত্মা ব’িদদশায় কেন এ মাটির ঘরে ?
বলুন কী লাভ! মুক্ত পাখিকে খাঁচায় ব’িদ করে ?
১৬৬৯. মিলে গেল কেন ময়লা নোংরা কাদায় স্ব’ছ জল
কেন জড় দেহে হইল ব’িদ আত্মা সমুজ্জ্বল ?
১৬৭০. বলিল ওমর : তুমিও তো রোম্-দূতÑ
নিগুঢ় তত্ত ভাষার শেকলে বাঁধিয়াছ অদ্ভূত !
১৬৭১. মুক্ত অর্থে রেখেছ ভাষার খাঁচায় ব’িদ করে
রেখেছ ধ্বনিকে ব’িদ করিয়া শব্দের পিঞ্জরে।
১৬৭২. ভাবিয়াছ, এই ব’িদ করাতে রহিয়াছে উপকার
অথচ ফায়দা হবে কিনা তাহা জাননা পরি®‘ার।
১৬৭৩. শব্দের মাঝে মানে লুকানোতে লাভ যদি হয় তবে
কায়ার মাঝেতে রূহ্ লুকানোটা লাভ হীন কেন হবে ?
১৬৭৪. হাজার ফায়দা আছে এর মাঝে একটি মাত্র তার
হাজার হাজার ফায়দা হতেও বেশি গুণ ফায়দার।
১৬৭৫. ওই যে মন্ত্র লক্ষ নিযুত প্রাণের প্রাণ যাহা
লক্ষ্য বিহীন ফায়দা বিহীন পারে কি হইতে তাহা ?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।