শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
মাওলানা জালাল উদ্দীন রূমী রহ.
১৬৭৬. অংশের অংশ তোমার কথাতে থাকে যদি উপকার
রবেনা মূল্য কেন ‘কুলের কুল’ কথার মাঝেতে তাঁর ?
১৬৭৭. অংশের অংশ তোমর কার্যে থাকে যদি উপকার
‘কুলের কুলে’র ফায়দা কেমনে করিবে অস্বীকার ?
১৬৭৮. কথায় ফায়দা না থাকিলে তবে বলিও না কথা আর
থাকে যদি তবে আপত্তি ছাড়, হও শোকর গোযার।
খোদার শোকর করা প্রয়োজন সব মানুষের তাই
এ নিয়ে তর্ক-ঝগড়া করার কোন অবকাশ নাই।
ভ্রƒকুঞ্জন, বক্র আনন, শুকরিয়া হলে তবে
তিক্ত ও কটু-স্বাদ-সেরকাই মহাশুকরিয়া হবে।
জিভে মযাদার প্রিয় সবাকার হতে হলে সেরকাকে
‘সেকানজবিন’ হইতে হইবে চিনি সাথে মিশে তাকে।
বিশাল বিষয় বলা দুস্কর কবিতার পরিসরে
বিশাল পাথর ক্ষেপণ যেমন হাতের মুঠোয় ভরে।
‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে বসতে চায় সে যেন
তাসাওফপন্থীর সাথে বসে’ উক্তির তাৎপর্য
দু’এক পিয়ালা পানেই দূতের সব হল এলোমেলো
কী কারণে, কোন্ কাজে এসেছিল সব কিছু ভুলে গেল।
রাজদূত হয়ে এসেছিল হেথা করিতে দৌত্য কাজ
খোদা-রহস্যে হয়ে মাতোয়ালা হয়ে গেল অধিরাজ।
সাগরের সাথে মিশে গিয়ে যায় সাগর হইয়াÑ ঢল
সষ্যের ক্ষেতে মিশে গিয়ে বীজ ক্ষেত হয় অবিকল।
বাহিরে থাকিতে রুটি, চাল, ডাল পদার্থ শুধু জড়
নরদেহে গিয়ে প্রাণ-শক্তিতে হয় তা রূপান্তর।
লাকড়ি ও মোম আলো হীন চিজ বাহিরে যতক্ষণ
আলো বনে তাহা অগ্নিতে করে নিজেকে সমর্পণ।
‘সুর্মাপাথর’Ñ নিরেট পাথরÑ নেই কোন তার দ্যোতি
নয়নে প্রবেশ করে সে পাথর বনে নয়নের জ্যোতি।
সেই মড়ালাশ অতি উত্তমÑ যি’দার কাছে গিয়া
হয় যে যি’দাÑ যি’দার কাছে নিজেকে সমর্পিয়া।
আফসোস সেই যি’দার লাগি গিয়ে যে লাশের পাশ
বরবাদ করে কিম্তী জীবন হয়ে যায় মড়ালাশ।
মযবুত ভাবে ধরে থাক যদি নূরানী এই কুরান
সঙ্গ লভিয়া নবীর রূহের হইবে ভাগ্যবান।
আল-কুরআন বিবরণ-লিপি নবী ও রাসূলদের
মৎস্য তাহারা পূত পবিত্র খোদায়ী সমুদ্রের।
করনি আমল করেছ কেবল কুরআন তিলাওয়াত
এ যেন-মাননি নবী-ওলী, শুধু করিয়াছ যিয়ারত।
তাঁদের বাতানো রাহে চল যদি, আর পড় কুরআন
খোদা-প্রেমে তাঁর বিছেদ বেদনে দিল হবে আনচান।
খাঁচায় ব’িদ যে পাখি করে না মুক্তির তদবীর
পরিচয় সে তো তার অজ্ঞতা অলসতা বোকামির।
পিঞ্জর হতে মুক্তি হাসিল হয়েছে যেই রূহের
সে রূহ মহান নবী ও রাসূল, কামিল মুর্শিদের।
ঊর্ধ্বজগৎ হতে তাহাদের ধ্বনি ওই শোনা যায়
আমরা মুক্ত, মুক্তি নিহিত কেবল এই রাহায়।
দেহের ক্ষুদ্র পিঞ্জর হতে মুক্তিকামীরা শোনো
এটিই কেবল মুক্তির পথ, নাই পথ আর কোনো।
নিজেকে বানাও এমন রিক্ত বিপণœ অসহায়
ভাবে যেন লোক তুমি নগণ্য সাধারণ অতিশয়।
যশঃখ্যাতি মান কঠিন পর্দা রাহে খোদা প্রাপ্তির
সাধনার পথে মহাবিঘœ এ লৌহের যিঞ্জির।
শোনাব এবার বন্ধুরা এক কাহিনী চমৎকার
পাবে সুবাতাস পাড়ি দিতে মহা দুস্তর পারাবার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।