শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
১৮২৪. প্র্রভাব তাসীর সৃষ্টি করা কাজ শুধু আল্লা’র
যদ্যপ্রি তা আরোপ্রিত হয় ঘাড়ে বা’দার।
১৮২৫. যেমন : যায়েদ আমর প্ররে নিক্ষেপ্রিল শর
ব্যাঘ্র সম প্রড়ল কুদে শর আমরের ’প্রর।
১৮২৬. সে যন্ত্রণায় ভুগে ভুগে করল বছর প্রার
ভুগ্ছে আমর, কিন্তু খোদা ¯্রষ্টা সে ব্যথার।
১৮২৭. তীর ছুড়েছে যায়েদ এতে নেই কোনই শক
ব্যথা-কাতর আমর তাতে ভুগল মরণ তক।
১৮২৮. আঘাত-ব্যথায় ওই আমরের মৃত্যু যদি হয়
খুনের অপ্ররাধী হবে যায়েদই নিশ্চয়।
১৮২৯. বর্তাবে যায়েদের ঘাড়ে দায় নরহত্যার
খুনী যায়েদ, ¯্রষ্টা খুনের আল্লা’ প্ররোয়ার।
১৮৩০. যৌন মিলন, ফসল আবাদ, বিহার-আহার-প্রান
কাজ মানুষের, ¯্রষ্টা কাজের আল্লা’ মহিয়ান।
১৮৩১. আউলিয়াগণ প্র্রিয়তম বা’দা ইলাহির
প্রারেন তারা মধ্যপ্রথে রুখ্তে ছোড়া তীর।
১৮৩২. অনুতপ্ত হইলে ওলী গুনার লাগি তার
রুদ্ধ করে দেন খোদা দ্বার প্র্রতিক্রিয়ার।
১৮৩৩. বলাকে না বলা বানান, দেন করে সব ঠিক
কাবাব যেন যায় না প্রুড়ে, যায় প্রুড়িয়া শিক।
১৮৩৪. বল-ক্ষমতা আছে এমন আউলিয়া-আত্মার
মুছতে তারা প্রারেন কথা দিল্্ থেকে বা’দার।
১৮৩৫. ভুলিয়ে দিতে প্রারেন ওলী- দলীল যদি চাও
‘আয়াতিন আও নুনসিহা’ দলীল, কুরান দেখে নাও।
১৮৩৬. ‘আন্্সাও কুম যিকরী’- চলো এই আয়াতের কাছে
এর মাঝেও ওলীর শক্তি থাকার দলীল আছে।
১৮৩৭. প্রারেন ওলী স্মরিয়ে দিতে, ভুলিয়ে দিতেও তা’
ওলী যেন সৃষ্টিকুলের মনের শাহান শা’।
১৮৩৮. ভুলিয়ে দিয়ে রুদ্ধ করে দিলে মনের দ্বার
জ্ঞানী হলেও প্রারে না সে কাজ করিতে আর।
১৮৩৯. উপ্রহাসের প্রাত্র তুমি করছ ওলীদের
উক্ত আয়াত ‘কুম’ অবধি প্রাঠ করে লও ফের।
১৮৪০. গায়ের মোড়ল বাদশা যেমন গায়ের মানুষদের
হৃদের মালিক বাদশা তেমন সকল হৃদয়ের।
১৮৪১. চক্ষে দেখেই কাজ করে লোক- চোখই সেরা তাই
ক্ষুদ্র বটে, তবু দেহে চোখের জুড়ি নেই।
১৮৪২. অক্ষি তারা ক্ষুদ্র তবু বিরাট তাহার শান
ক্ষুদ্র বলে তাকে মানুষ দেয় না সঠিক মান।
১৮৪৩. প্রারব না গো করতে বয়ান শান সে ওলীদের
কেন না তায় বাধা-নিষেধ রয়েছে কে’েদ্রর।
১৮৪৪. স্মরণ ও বিস্মরণ সবই ন্যস্ত তাহার প্ররে
তাই আশা, আর্যিতে সাড়া দিবেন দয়া করে।
১৮৪৫. ম’দ-ভাল দৃশ্য হাজার দেখি যা রাত ভরে
স্মৃতি মুছে তিনিই নেন সে সব হরণ করে।
১৮৪৬. নিদ্রা শেষে দেন ফিরিয়ে স্মৃতি প্রুনরায়
ঝিনুকগুলো প্রূর্ণ করেন মনি ও মুক্তায়।
১৮৪৭. দূর অতীতের জ্ঞান-সাগরের মুক্তো-মানিকগুলি
প্ররান সে সব চিনতে প্রারে আনতে প্রারে তুলি।
১৮৪৮. যায় চলিয়া নিদ্রাকালে- কাজ, ক্ষমতা, প্রেশা
ফিরে আসে সে সব আবার কাটলে ঘুমের নেশা।
১৮৪৯. স্বর্ণকারের প্রেশা আসে স্বর্ণকারের ঠাঁই
ভালর স্বভাব ম’দ মাঝে ফেরার উপ্রায় নাই।
১৮৫০. মালিক-প্রাশে গুম হওয়া উট ফেরে ব-মাল যথা
রোয হাশরে মালিক সনে মিলবে আমল তথা।
১৮৫১. প্রেশা স্বভাব আচার বিচার আবার ঘুমের প্ররে
ফিরে আসে কায়ার মাঝে আপ্রন আপ্রন ঘরে।
১৮৫২. সব কিছুই ফিরে আসে উৎস মূলে তার
‘অংশ’ মিলে যায় সাথে নিজ সমগ্রসত্তার।
১৮৫৩. প্রত্র বাহক কবুতরের মত সুদূর গিয়া
ফিরে আসে নিজ শহরে বার্তা-চিঠি নিয়া।
১৮৫৪. ব’িদ তোতা যখন শুনল ভারতীয় তোতার বিবরণ
শুনল যখন সেই তোতাটির মরণ সমাচার
ছট ফটাল এই তোতা, জান বেরিয়ে গেল তার।
১৮৫৫. এ হাল দেখে সওদাগরের মাথা গেল ঘুরে
লম্ফ দিয়ে উঠল, টুপ্রি মারল ছুড়ে দূরে।
১৮৫৬. দেখল যখন সখের তোতা নাই বাঁচিয়া আর
দারুন শোকে গায়ের জামা ফেলল ছিঁড়ে তার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।