শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
১৯১১. কাম্যটাই যদি কেবল মিষ্টি-মধুর হয়
তকে কি অকাম্যগুলো তাহার থেকে নয় ?
১৯১২. হাজারটা চাঁদ ‘শোনিত প্রণ’ তাহার একেক তারা
তাহার জন্য বৈধ-ভূময় বহানো খুন-ধারা।
১৯১৩. পেয়েগেছি, পেয়েগেছি, আমার খুনের দাম
এবার আমি জীবন দিতে দৌড়ে চলিলাম।
১৯১৪. মরণ-মাঝেই অমর জীবন লভে আশিকগণ
প্রাবেনা মন, মন না করে তাঁকে সমর্পন।
১৯১৫. ত কোশেশ করেছি তাঁর প্রাইতে মুলাকাত
ফিরিয়ে দিছেন দিয়ে ছুতো নানান অজুহাত।
১৯১৬. কতইনা বিনয়ভরে চাইনু আমি তায়
প্র্রতিবারই ফিরিয়ে দিল নানান বাহানায়।
১৯১৭. বলিনু : মোর মন ও আকল তোমায় সঁপ্রে দিছি
বল্ল সে ভাগ্! কত ওসব বলবি মিছেমিছি।
১৯১৮. জানি না কী ভাবছ তুমি দেখে টেরা চোখে
কী রূপ্রই না ভেবেছ ওই হাকীকী বন্ধুকে।
১৯১৯. ওরে নাদান সহজ কি মোর লাভ করা সাক্ষাত ?
যত সহজ লাভ করা মোর দয়া ও রহমাত।
১৯২০. কম দামেতে কেনে যে জন বেচে সে কম নিয়ে
ছোট্ট শিশু রুটিটা নেয় হাতের মানিক দিয়ে।
১৯২১. তারই প্র্রেমে ডুবেছিল পূর্ব-পরের তারা
তুমিও ডোব তাদের মত হয়ে আপ্রন হারা।
১৯২২. সংক্ষেপেই সব বলিলাম, বললে অনন্তর
বক্ষ ও জিভ উহার ভেজে ভষ্ম হবে মোর।
১৯২৩. ‘লব’ বলিলে আমিÑ মানে হবে সাগর পার
‘লা’Ñ বলিলে মানে তখন হবে তা’ ’ইল্লার১।
১৯২৪. মিষ্টি খেয়ে বদন আমার বেজার করে রাখি
অনেক কথাই বুকে তবু প্রাথর হয়ে থাকি।
১৯২৫. মিষ্টি যেন আড়াল থাকেÑ ‘বেজারি প্রর্দার’
দুই জাহানের কেহ যেন প্রায়না হদিস তার।
১৯২৬. গূড় কথা শুনতে যেন প্রায়না কোন কান
তাই শতাংশ ভাগের শুধু দিই আমি সন্ধান।
১৯২৭. হাকীম সানায়ীর একটি উক্তি
যে কথা মাশুক প্রানে আগুয়ানে
করে বাধা দান
১৯২৮. ঈমানী বা কুফরী হোক, তাহাতে কি ?
উভয় সমান।
১৯২৯. যে মাশুক থেকে রাখে দূরে
করে বাধা দান
১৯৩০. ভাল কিবা ম’দ হোক, তাহাতে কি ?
উভয় সমান।
প্র্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লামের একটি হাদীসের তাৎপর্য
‘গায়রতে* সবার চেয়ে সায়াদ বেহ্তর
গায়রতে আমার জায়গা সায়াদের উপর।
আমা হতে বেশি তাহা আল্লাহ্্ তালার।’
কোনো গুনে সমকক্ষ কেহ নয় তার।
Ñবুখারী শরীফ
১৯৩১. গায়রতে ঊর্ধ্বে সকলের আল্লা’ মহীয়ান
বিশ্ব জাহান তাঁর এ গুনে ধন্য গরীয়ান !
১৯৩২. তিনি হলেন প্র্রাণের মত, জগত দেহের মত
প্র্রাণ থেকেই সব গুনাগুন প্রায় দেহ শতত।
১৯৩৩. নামায-মাঝে খোদায় মজে প্রান যিনি দীদার
ফের ঈমানের দলীল খোঁজা কসুর বটে তার।
১৯৩৪. শাহানশাহের কাপড় জামার যে হয় জিম্মাদার
ত্যাগ করে তা’ শা’র ব্যবসায় নামায় ক্ষতি তার।
১৯৩৫. রাজসভাষদ প্রদে যে জন পেয়েছে সম্মান
ভুলে গিয়ে সে জন স্বীয় পদের শান ও মান
দ্বীন ভিখেরীর মত যদি দ্বারে বসে, তবে
এ কাজ তাহার অসম্মানের, অপরাধের হবে।
১৯৩৬. শাহের হাতে চুমো খাওয়া যাহার অধিকার
পায়ে চুমো খেতে যাওয়া ঘোর অপরাধ তার।
১৯৩৭. যদ্যপি পায় চুমো খাওয়া সেবারই প্র্রতীক
তবুও হাত-চুমোস্থলে এ কাজ নহে ঠিক।
১৯৩৮. শা’ হন বেজার সুযোগ পেয়েও যেজন থাকে দূরে
মুখ দেখেনা শুধু তাহার খোশবু শুঁকেই ঘুরে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।