শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
মসনবী শরীফ
মাওলানা জালাল উদ্দীন রূমী রহ.
কাব্যানুবাদ : রূহুল আমীন খান
২০৪১. সেবক-গোলাম হও রাজনের, রাজন নাহি হও
সহ্যকারী হও আঘাতের, আঘাতকারী নও।
২০৪২. নইলে যখন এ জাঁকজমক রইবেনা কো আর
মুখ ফিরিয়ে নিবে তখন সকল চাটুকার।
২০৪৩. ধোঁকা দিত, করত যারা তোমার গুণ গান
তারাই তোমায় বলবে দেখে ওই বেটা শয়তান।
২০৪৪. দ্বারে তোমায় দেখলে দাঁড়া বলবে তারা হেকে
মুর্দাটা ওই এল বুঝি উঠে কবর থেকে।
২০৪৫. শশ্রæ বিহীন যুবার যখন গুনগানে কেউ মাতে
বুঝবে তখন মন্দ কোন ফন্দি আছে তাতে।
২০৪৬. কুৎসা রটে এবং যখন গোফ দাড়ি গজায়
খোঁজ নিতে তার সেই সময়ে শয়তানো লাজ পায়।
২০৪৭. ফেল্তে ধোকায় আযাযীলের বিরাম কোনো নাই
আসেনা সে তোমার কাছে তার চেয়ে বদ তাই।
২০৪৮. যখন তুমি ছিলে মানুষ চেষ্টা ছিল তার
তোমাকে তার শরাব-নেশায় মাস্ত বানাবার।
২০৪৯. যখন তুমি তাহার খাঁটি গোলাম হয়ে গেলে
লক্ষ্য হাসিল, আর কিবা চাই, গেল তোমায় ফেলে।
২০৫০. সেই সুসময়ে যারা তোমার ঝুলত আচল ধরে
পালিয়ে গেল তারা হালত পালটে যাওয়ার পরে।
আল্লাহ যা চান তাই হয় এর তাফসীর
২০৫১. এসব কথা বলছি যেন প্র্রস্তুতি লও তাই
মূলে খোদা ছাড়া কিছু হওয়ার উপায় নাই।
২০৫২. খোদা ও তাঁর ওলীর যদি নযর না রয় তবে
ফেরেশতাও হইলে নামা কালিমাময় হবে।
২০৫৩. মাওলা তুমি ঊর্ধ্বে সকল চিন্তা ফেকেরের
সৃষ্টি তোমার অট্টালিকা সুদূর আকাশের।
২০৫৪. ছোট বড় মন্দ ভাল ভেতর বাহির সব
কম বেশি নয়, যেটা যেমন তোমার জানা রব।
২০৫৫. তোমার হাতে সর্বকিছুর ন্যস্ত সমাধান
তোমার সাথে আর কাহারও শরণ বেমানান।
২০৫৬. দান করেছ জীবন-বিধান পূর্ণ সঠিক মু
তারপরেও রাখছ ঢেকে খাতা-কসুর যু।
২০৫৭. সামান্যতম জ্ঞান আমাকে দান করিলে যাহা
তোমার জ্ঞান-সিন্ধু-সাথে দাও মিলিয়ে তাহা।
২০৫৮. যে বিন্দু জ্ঞান দিলে তুমি আমার মাঝে রেখে
পাক রেখো তা ষড়রীপু, দেহের আসর থেকে।
২০৫৯. রক্ষাকর তাকে চুষে নেয়ার আগে মাটি
বাতাস শুষে নেয়ার আগে রেখো সতেজ খাঁটি।
২০৬০. শুষে নিলেও, শুকিয়ে গেলেও, মাওলা দয়াবান
করতে পার তুমি তাকে নবজীবন দান।
২০৬১. হয়ে গেল যে বিন্দুটি বিলীন নিরুদ্দেশ
রইলো না আর কিছুই বাকি হলো যা নিঃশেষ।
২০৬২. বিলুপ্ত সেই বস্তুকে ডাকলে তুমি তবে
রূপ ধরিয়া সামনে তোমার অমনি হাযির হবে।
২০৬৩. ধ্বংস হলো কত জিনিস বিপরীতের দ্বারা
তুমি যখন ডাকবে তখন হাযির হবে তারা।
২০৬৪. কতোনা চিজ করছে খতম উল্টা চিজে তার
তোমার আদেশ মাত্র বাহির করছে তা আবার।
২০৬৫. রাত্রিকালে নিদের মাঝে চিন্তা আকল যু
যায় হারিয়ে, সাগর বুকে হয়গো নিমজ্জিত।
২০৬৬. প্র্রভাত কালে আবার তারা অথৈ সাগর থেকে
মাথা তোলে, সক্রিয় হয়, বেরোয় একে একে।
২০৬৭. শীত ঋতুতে পত্র পাতা বৃক্ষ মাকে ছাড়ি
ভগ্ন হিয়ায় মরণসাগর পানে জমায় পাড়ি।
২০৬৮. কাঁদে বিরিখ কাকের মু কৃষ্ণ বসন গায়
গুলিস্তানে আবার সবুজ ফিরবে কবে হায় !
২০৬৯. পুনঃ আদেশ আসে বিভুর শীঘ্র চলে যাও
যা নিয়েছ ঋতুরাজের সব ফিরিয়ে দাও।
২০৭০. কৃষ্ণমরণ!Ñ যা খেয়েছ বৃক্ষ ও ফল মূল
দাও ফিরিয়ে, কিছুই বাকি রেখো না এক চুল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।