শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
কাব্যানুবাদ : রূহুল আমীন খান
৯৫৮. কূপের পানি আবদ্ধ তার বাইরে যাবার রাস্তা নাই
বাতাস তাকে শুষে শুষে নিজের বুকে নেয় গো তাই।
৯৫৯. এমনি ভাবে নেয় শুষে তা’ কেউ কখনো পায় না টের
অবশেষে পৌঁছে পানি স্বউৎসে নীলসমুদ্রের।
৯৬০. দুন্য়া কারায় বন্দি রূপে আমরা সবাই করছি বাস
মূল ঠিকানায় যাচ্ছে নিয়ে এখান থেকে প্রতি শ্বাস।
৯৬১. পুণ্য কথা পাখনা মেলে ঊর্ধ্ব থেকে ঊর্ধ্বে ধায়
খোদাই জানেন পৌঁছে গিয়ে ঊর্ধ্বলোকের কোন্ সীমায়।
৯৬২. আমাদের এই দমগুলোও হয় যদি পাক পুণ্যময়
ঊর্ধ্বে গিয়ে রতন হয়ে মূল ঠিকানায় মজুদ রয়।
৯৬৩. দোয়া-কালাম যা-ই মোরা পাঠাই খোদার সন্নিধান
করেন তিনি তাত্থেকেও অনেক বেশি ফেরৎ দান।
৯৬৪. তসবি আনে তসবি ডেকে বাড়ছে লাভের অঙ্ক তাই
খোদার সাথে ব্যবসা করায়, বাড়তি আছে কমতি নাই।
৯৬৫. আমরা পাঠাই তসবি, খোদা নাযিল করেন রহমাত
এমনি করে লেনা-দেনা চলছে মোদের খোদার সাথ।
৯৬৬. সেদিক থেকেই আসে সদা পবিত্র এই আকর্ষণ
যেদিক পানে হৃদয় ও মন থিতু থাকে সর্বক্ষণ।
৯৬৭. সেদিক কেবল মন ছুটে যায় বেজে ওঠে প্রাণের বীন
প্রেমের লীলায় মত্ত ছিল যে স্থানে সে একদিন।
৯৬৮. সম রূপের বস্তু-পানে সম রূপের গভীর টান
অংশানুরাগ থাকে সদা সমগ্রতে বিদ্যমান।
৯৬৯. বাহ্যতঃ ভিন্ রূপ ও সুরত দেখা গেলেও, শেষটাতে
বিভিন্নতা থাকে না আর যায় মিলিয়া এক সাথে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।