শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
কাব্যানুবাদ : রূহুল আমীন খান
৯৪৬. কোহিতুরের সুফী হওয়ায় নেই কিছুই বিস্ময়ের
পানি মাটির উপাদানই নবী মূসার ওই দেহের।
৯৪৭. উপদেশদাতাদের প্রতি য়াহুদী বাদশার অবজ্ঞা ও
খোদায়ী গযবের আগুনে সদলবলে ধ্বংস হওয়া
৯৪৮. অলৌকিক এ দৃশ্য রাজা দেখল নিয়ে সঙ্গী তার
দেখল, তবে দৃষ্টি নিয়ে অবজ্ঞা ও উপেক্ষার।
৯৪৯. শুভার্থীরা বলল : রাজন! থামুন এবার নয়কো আর
টেনে ধরুন রাশ এখনি অত্যাচারের অশ্বটার।
৯৫০. শুনলনা সে এই উপদেশ, করল বরং উল্টো তার
বন্দি করে তাদের পরে চালাল জোর অত্যাচার।
৯৫১. গায়বী আওয়ায হলো তখন থাম্রে কুকুর দ্যাখ এবার
আসছে নেমে ভয়াল ভীষণ মহাগযব খোদ খোদার।
৯৫২. অগ্নি হলো প্রচন্ডতর, চালিশ গজে উঠল ধাই
বাদশা ও তার সঙ্গীদেরে করল পুড়ে ভস্ম ছাই।
৯৫৩. অগ্নি ছিল উৎস তাদের, গেল ফিরে সে উৎসেই
যেই খানে যার জনম ও মূল ফিরবে সে ঠিক সেই খানেই।
৯৫৪. অগ্নিতেই জন্মেছিল পলিদ যালিম কাফিরগণ
অংশ মিলে সমগ্রতে এটাই নিয়ম চিরন্তন।
৯৫৫. অগ্নি ওরা- মুমিনদেরে অগ্নি দিয়ে মারল তাই
অবশেষে সেই আগুনে ওরাও হলো ভষ্ম ছাই।
৯৫৬. মাতা ওদের ভয়াল আগুন- ওই হাবিয়া জাহান্নাম
ফিরবে কোলে সেই হাবিয়ার এটাই ওদের শেষ আঞ্জাম।
৯৫৭. মা শতত সন্ধানে রয়, তল্লাশে রয় সন্তানের
কান্ড ও মূল রয় শতত খোঁজ খবরে নিজ শাখের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।