শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
১৪৮০. সে নূরে হিম্মত এলো
শক্তি হলো চরণ-বাহুর।
অন্তরের নূর থেকে এই দেহ হয় বলিয়ান
জেনে রেখো সার কথা ওহে ভ্রাতাগণ
সকল শক্তির মূল সর্বশক্তিমান।
১৪৮১. সব কিছু মহাপ্রভু আল্লারই দান
তাহারই প্রদত্ত সব
ক্ষমতা ও ইজ্জত সম্মান।
সে যদি না চায়
সাজানো গোছানো সব ওলট পালট হয়ে যায়।
১৪৮২. এ দান বিলান তিনি পালাক্রমে
কভু একে, কভুও বা ওকে
কখনো করেন দান সুজন ধার্মিকে
আবার কখনো দেন অভাজন সংশয়ী তার্কিকে।
১৪৮৩. নিয়ত চলেছে এই পালাক্রম অদল বদল
চলেছে এ নিয়মেই সৃষ্টি রাজ্য
বিশ্ব ভূমন্ডল।
প্রভু মহানিয়মের সব আওতাধীন
ভেবনা নিজেকে কভু নিরঙ্কুশ মুক্ত ও স্বাধীন।
১৪৮৪. যেজন উঠিতে পারে ঊর্ধ্বদেশে এ পালাক্রমের
সেজন উপরে উঠে সপ্ত আকাশের
বিজয়ের দামামা বাজায়
দিগি¦জয়ী সে সত্তাকে বন্দি করা যায় না খাঁচায়।
১৪৮৫. এই কাল-পালাচক্র ভেদি ঊর্ধ্বে
উঠেছে যে জন
সে শাহ্ শাহানশাহ্
ধ্রুব তার রাজসিংহাসন।
প্রেমের মদিরা করে পান
সে রয় সাকীর সাথে মিলনের মৌতাতে
হয়ে এক দেহ এক প্রাণ।
১৪৮৬. কর ত্যাগ যদি তুমি কেবল দু’এক দিন
এই সুরা পান
পিলাবে তোমায় প্রভু
অক্ষয় অমৃত সুরা
যার স্বাদ মযা অফুরান।
১৪৮৭. কোথায় দু’একদিন?
থিতি তো এ দুনিয়ার অতি অল্পক্ষণ
যে করে দুনিয়া বিসর্জন
অব্যয় অনন্ত সুখ অবশ্যই করে সে অর্জন।
শান্তি নিহিত আছে কেবল ত্যাগেই
ত্যাগ করো দুনিয়াকে, আর
আস্বাদ গ্রহণ করো অব্যয় অমৃত মদীরার।
১৪৮৮. দাও ওই কুকুর কে ছুড়ে
এই মরালাশ
ছলনা-মুকুর ফেল ভেঙে
ত্যাগ করো কল্পনা বিলাশ।
১৪৮৯. ছোট জিহাদ থেকে বড় জিহাদের দিকে প্রত্যাবর্তনের তাৎপর্য
সম্মানিত সুধীবর্গ !
যে শত্রু বিরাজে দৃশ্যপটে
বিনাশ করেছি তাকে বটে
কিন্তু বাস গেড়ে আছে ভেতরে মোদের
এর চেয়ে বড় শত্রু ঢের।
১৪৯০. সে শত্রু প্রবল অতিশয়
তাহাকে বিনাশ করা আকল বুদ্ধির সাধ্য নয়।
১৪৯১. নফসটা দোযখ আর
দোযখ আসদাহা সর্বনাশা।
১৪৯২. সাত সাগরের পানি পিয়েও তাহার
কমেনাকো তেজ ও পিপাসা
মেটেনাকো ক্ষুধা খাই খাই
এর পরো মানুষ কে জ্বালাবে সে করে শাঁইশাঁই।
১৪৯৩. কঠিন শিলার মত শিলিভূত যাদের হৃদয়
সে কাফিরও ভয়
প্রবেশিবে জাহান্নামে
কম্পিত লজ্জিত নত হয়ে অতিশয়।
১৪৯৪. এত ভোজনের পরও
দোযখের ভরিবেনা মন।
১৪৯৫. আল্লা’পাক ডাকিয়া তখন
বলিবেন- ওহে জাহান্নাম
হওনি কি তৃপ্ত তুমি ?
পুরেনি কি তব মনস্কাম ?
১৪৯৬. বলিবে সে না, না প্রভু
হই নাই, তৃপ্ত হই নাই
এখনো আমার অগ্নি, আমার দাহিকাশক্তিতেজ
রহিয়াছে যাহা ছিল তাই।
গিলেছে জগতটাকে পুরা
তবু তার মিটেনিক খাঁই
গরজিছে পাকাশয় তার
আরো চাই, আরো আমি চাই।
১৪৯৭. তখন মহান আল্লাহ পাক পরোয়ার
লা-মকান হতে নিজ কদম তাহার
রাখিবেন জাহান্নামে, বলিবেন আর
শান্ত হও! জাহান্নাম
তখন সে শান্ত হবে, সে তখন চাহিবে না আর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।