Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সংশয় থাকলেও রাখাইনে যেতে চায় জাতিসংঘ

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সেনাবাহিনীর জাতিগত নিধনযজ্ঞের শিকার রাখাইন প্রদেশে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রবেশাধিকার না দেয়াকে মিয়ানমারের অগ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ আখ্যা দিয়ে সতর্ক করে দিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মানবিক সহায়তা-বিষয়ক দফতরের প্রধান মার্ক লোকক জানিয়েছেন, কয়েকদিনের মধ্যে তাদের একজন প্রতিনিধি রাখাইন সফর করতে পারবেন বলে আশাবাদী তারা। তবে রাখাইনে প্রবেশ করতে পারলেও জাতিসংঘ স্বাধীনভাবে কর্মকান্ড চালাতে পারবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এর আগে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এখনও রাখাইনে থেকে যাওয়া রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে দিতে নতুন করে দ্বিগুণ শক্তিতে অভিযান শুরু করেছে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী। এই বাস্তবতায় রাখাইন প্রদেশে অবাধ প্রবেশাধিকার চাইছে জাতিসংঘ। সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় গত শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা-বিষয়ক দপ্তরের প্রধান মার্ক লোকক সহিংসতাকবলিত অঞ্চলটিতে মিয়ানমার সরকারের কোনো ধরনের মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকার না দেয়ার বিষয়টিকে অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেন। চলমান সংঘাত শুরুর পর থেকেই রাখাইনে নিষিদ্ধ রয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। জাতিসংঘসহ মানবিক সহায়তা দানের প্রায় ২০টি সংগঠন তাদের কার্যক্রম বন্ধে বাধ্য হয়। সরকারের বিরুদ্ধে স্পষ্টত ত্রাণ কার্যক্রমে অসহযোগিতা ও বাধাদানের অভিযোগ তোলে ওই সংস্থাগুলো। সেখানে প্রবেশাধিকার নেই আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের অন্যান্য অংশেরও। স¤প্রতি ২০ জন কূটনীতিককে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে প্রবেশ করতে দিতে বাধ্য হয় মিয়ানমার। সরকারি তত্ত¡াবধানে সেখানে গিয়েও মানবিক বিপর্যয়ের ভয়াবহতা দেখে আসেন কূটনীতিকরা। বেশ কয়েকটি রোহিঙ্গা গ্রাম এরই মধ্যে পুড়িয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে। মার্ক লোকক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমার প্রত্যাশা, জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই অঞ্চলটি সফর করে আসতে পারবেন। রাখাইনে সাহায্যকর্মীদের অবাধ ও স্বাধীন চলাচলের সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে আগেও বক্তব্য দিয়েছে জাতিসংঘ। মার্ক লোককের বক্তব্যেও গতকাল সে আহ্বানের পুনরাবৃত্তি ছিল। তবে জেনেভা থেকে বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, ওই কর্মকর্তাকে রাখাইনে নিয়ে যাওয়া হলেও তাকে কতোটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হবে সেটা পরিস্কার নয়। মিয়ানমার স¤প্রতি রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার ঘোষণা দিলেও পালিয়ে আসা শরণার্থীরা বলছেন, পশ্চিম রাখাইনে থেকে যাওয়া অবশিষ্ট রোহিঙ্গাকে দেশছাড়া করতে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান দ্বিগুণ জোরদার করা হয়েছে। বহু গ্রাম এখন একেবারেই জনমানবশূন্য। বিবিসি।



 

Show all comments
  • MD Azizul Hoque Chowdhury ৮ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:১০ পিএম says : 0
    কক্সবাজার বৌদ্দমন্দীরে আসতে এত দেরি করেনি।রোহিঙ্গারা মুসলিম বলে রাখাইনে যেতে যত গরিমসী?
    Total Reply(0) Reply
  • Masud Uzzaman Rana ৮ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:১১ পিএম says : 0
    জাতিসংঘ যাবে তবে ................ষোলকলা পূর্ণ হলে যাবে ....
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতিসংঘ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ