Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চীনের আপত্তি সত্ত্বেও মক্কিকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা জাতিসংঘের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ৭:২০ পিএম

চীনের আপত্তি সত্ত্বেও সোমবার লস্কর-ই-তৈয়বার নেতা আবদুল রহমান মাক্কিকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। তাকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করার পথে একাধিকবার বাধা দিয়েছিল চীন। কিন্তু সেই বাধা ধোপে টিকলো না। এটি ভারতের জন্য একটি বড় জয়।

সোমবার রাতে জারি করা জাতিসংঘের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘১৬ জানুয়ারী ২০২৩ তারিখে জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী ২৬/১১ মুম্বাই হামলার অন্যতম সন্দেহভাজনকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করা হল। এর ফলে তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা যেতে পারে।’

এটি নয়াদিল্লির জন্য একটি বিশাল কূটনৈতিক জয়। কারণ চীন ২০২২ সালের জুনে পাকিস্তান-ভিত্তিক মাক্কিকে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী হিসাবে নাম দেয়ার জন্য ভারতের অনুরোধকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছিল। ভারত তখন বেইজিং -এর কড়া সমালোচনা করে বলেছিলো এ পদক্ষেপটি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দিকে ইঙ্গিত করে। ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই তাদের অভ্যন্তরীণ আইন মোতাবেক মাক্কিকে সন্ত্রাসী হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে।

মাক্কি ছাড়াও, চীন বারবার ভারতের দাবি করা অন্যান্য পাকিস্তানি নাগরিকদের সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করার প্রচেষ্টাকে আটকে রেখেছিল। গত আগস্টে, চীন আবারও জাতিসংঘে পাকিস্তানের নাগরিক আব্দুল রউফ আজহার, জইশ-ই মোহাম্মদ (জেএম) প্রধান মাসুদ আজহারের ভাইকে কালো তালিকাভুক্ত করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের প্রস্তাবে বাধা দেয়।

আগেই হাফিজ সইদকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদীর তকমা দিয়েছে জাতিসংঘ। হাফিজের মাথার দাম ১০ মিলিয়ন ডলার ধার্য করেছে আমেরিকা। শুধু তাই নয়, ২০১০ সালে আবদুল রহমান মাক্কিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা করে মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট। তারপর থেকেই দীর্ঘদিন ধরে আবদুল রহমান মক্কিকে ‘গ্লোবাল টেররিস্ট’ ঘোষণার চেষ্টা চালাচ্ছে নয়াদিল্লি। অবশেষে সেই চেষ্টা সফল হল সোমবার। সূত্র: দ্য উইক।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতিসংঘ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ