Inqilab Logo

বুধবার, ০৫ জুন ২০২৪, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতিসংঘ প্রস্তাবের নেপথ্যে ওবামা

| প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক: ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে ইসরাইলের অবৈধ বসতি স্থাপনবিরোধী প্রস্তাব পাসের নেপথ্যে ওয়াশিংটনের ভূমিকাকে দায়ী করেছে ইসরাইল। তেল আবিবের অভিযোগ, বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ওই প্রস্তাব পাস করাতে কলকাঠি নেড়েছেন। ইসরাইল দাবি করছে, তাদের কাছে এর ‘প্রমাণ’ রয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার খবর অনুযায়ী, আগামীকাল শুক্রবার ১৫ সদস্যবিশিষ্ট জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবটি তুলে ধরা হয়। ইসরাইলি বসতি স্থাপনের বিরুদ্ধের ওই প্রস্তাবে বলা হয়, ‘১৯৬৭ সাল থেকে ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে ইসরাইল যে বসতি স্থাপন করে যাচ্ছে, তার কোনও আইনি ভিত্তি নাই।’ বাকি ১৪টি দেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলে তা পাস হয়। ভোট দান থেকে বিরত থাকে যুক্তরাষ্ট্র, যেখানে অতীতে তারা ইসরাইলবিরোধী প্রস্তাবগুলোতে ভেটো দিতো। যুক্তরাষ্ট্রের এই ভূমিকার নেপথ্যে এবং ইসরাইলবিরোধী ওই প্রস্তাব পাসে ওবামা প্রশাসন কলকাঠি নেড়েছে, এমন স্পষ্ট প্রমাণ হাজির থাকার কথা বলছে ইসরাইল।  ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র ডেভিড কেয়িস এবং যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত রন ডারমার দুজনই অস্পষ্ট সূত্র থেকে প্রমাণ তুলে ধরার কথা বলেছেন।
২০১৬ সালের মার্চ থেকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিষয়ক মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করছেন ডেভিড কেয়িস। রবিবার ফক্স নিউজকে তিনি বলেন, অন্যদের মতো আরব সূত্রগুলো ইসরাইলকে জাতিসংঘের প্রস্তাবের ব্যাপারে ওবামার সংশ্লিষ্টতার কথা জানিয়েছে। নেতানিয়াহুর মুখপাত্র ডেভিড কেয়িস বলেন, ‘আরব দুনিয়া এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়; উভয় দিক থেকেই আমরা অকাট্য তথ্য পেয়েছি যে, এটা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ইচ্ছাকৃত আক্রমণ। প্রকৃতপক্ষে তারা এই প্রস্তাব তৈরিতে সহায়তা করেছিল।’
ডেভিড কেয়িস-এর এমন দাবির কয়েক ঘণ্টা আগেই একই রকমের দাবি করেন ওয়াশিংটনে নিযুক্ত ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত রন ডারমার। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে রন ডারমার বলেন, ‘নতুন প্রশাসনের (ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন) কাছে আমরা যথাযথ মাধ্যমে এ প্রমাণ তুলে ধরবো। তারা যদি যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে এটি জানাতে চায়; তাকে আমরা স্বাগত জানাবো।’ রন ডারমার দাবি করেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ভোটাটভুটিতে যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের পাশে দাঁড়ায়নি; শুধু এটাই নয়। তারা জাতিসংঘে ইসরাইলের বিরুদ্ধে দলবাজির নেপথ্যে ছিল।’ গতবছর যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য ইসরাইলকে অভিযুক্ত করে ওয়াশিংটন। ইরানের পরমাণু ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আলোচনার সময়ে এমন অভিযোগ উঠেছিল। ওই সময়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছিলেন, ‘একটা বিষয় হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল পরস্পরের সঙ্গে গুপ্তচরবৃত্তিতে লিপ্ত। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, ইসরাইল যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নথি চুরি করছে এবং এটি ব্যবহার করে তারা যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের দিয়ে মার্কিন কূটনীতির ভিত দুর্বল করে দেওয়ার চেষ্টা করে।’ ওয়াশিংটনে নিযুক্ত ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত রন ডারমার যেভাবে ট্রাম্পের হাতে তথ্যপ্রমাণ তুলে দেওয়ার কথা বলেছেন সেটা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের ওই উদ্ধৃতির সত্যতাকেই নির্দেশ করে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান বলছে, ইসরাইল-ঘনিষ্ঠ আসন্ন প্রেসিডেন্সিয়াল টিমের কাছে প্রকাশ্যে একজন বিদ্যমান প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ‘প্রমাণ’ হাজির করার হুঁশিয়ারি নজিরবিহীন বলেই প্রতীয়মান হয়। এটা দৃশ্যত একটা উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। আল জাজিরা, বিবিসি, রয়টার্স।



 

Show all comments
  • Giash Uddin ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১১:৪৬ এএম says : 0
    দুই বার ক্ষমতায় ছিল তখন কিছুই করলোনা/ বললোনা যাবার শেষে সমস্ত মুসলিম জাতীর সাথে একটু চালাকি আর পাইজলামি ছাড়া আর কিছুই না
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতিসংঘ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ