Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উন্নত অর্থনীতিগুলোর রাজস্বনীতি বৈশ্বিক মন্দার ঝুঁকি তৈরি করেছে : জাতিসঙ্ঘ

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ অক্টোবর, ২০২২, ১০:৩২ এএম | আপডেট : ১১:৩১ এএম, ৪ অক্টোবর, ২০২২

জাতিসঙ্ঘের অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করেছেন যে উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোর মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতিগুলো, বিশ্বকে ২০০৮ সালের আর্থিক সঙ্ঘটের চেয়েও খারাপ এক অর্থনৈতিক মন্দায় ফেলার ঝুঁকির মধ্যে রেখেছে।

প্রতিবেদনটির লেখকরা সতর্ক করেছেন, বিশ্ব এক মন্দার কিনারে রয়েছে। এর কারণ হিসেবে উন্নত অর্থনীতিগুলোর খারাপ নীতিগত সিদ্ধান্ত এবং জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড-১৯ মহামারী ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাড়তে থাকা সঙ্কটের কথা বলা হয়।

তারা অনুমান করেছেন, এই বছর বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার ২.৫ শতাংশ থেকে ২০২৩ সালে কমে ২.২ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে। তারা বলছেন, এটির ফলে সর্বমোট ১৭ লাখ কোটি ডলার ঘাটতি দেখা দিবে, যা কিনা বিশ্বের মোট আয়ের ২০ শতাংশের কাছাকাছি।

প্রতিবেদনটিতে দেখা যায়, এমন মন্থরতা, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোসহ বিশ্বের সকল অঞ্চলের দেশকেই প্রভাবিত করছে। সেটিতে বলা হয়, দরিদ্র দেশগুলোতে বৃদ্ধির হার তিন শতাংশেরও নিচে নেমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, যার ফলে উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

আঙ্কটাড মহাসচিব রেবেকা গ্রিনস্প্যান বলেন, লাতিন আমেরিকার মধ্যম-আয়ের দেশগুলোসহ আফ্রিকার নিম্ন-আয়ের দেশগুলোতে, এই বছর সবচেয়ে গুরুতর অর্থনৈতিক মন্থরতা দেখা দিবে।

গ্রিনস্প্যান বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলো আশঙ্কাজনক মাত্রায় ঋণ পরিশোধের সঙ্কট ও বিনিয়োগ স্বল্পতার মুখোমুখি হচ্ছে।

তিনি বলেন, ৪৬টি উন্নয়নশীল দেশ একাধিক অর্থনৈতিক ধাক্কার চরমমাত্রার ঝুঁকিতে রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আরো ৪৮টি দেশ গুরুতর পর্যায়ের ঝুঁকিতে রয়েছে, যা এক বৈশ্বিক ঋণ সঙ্কটের ঝুঁকি বৃদ্ধি করেছে।

গ্রিনস্প্যান বলেন, মন্দার ঝুঁকি থেকে সরে আসার জন্য এখনো সময় রয়েছে, যদি দেশগুলো তাদের কাছে থাকা কৌশলগুলোকে মুদ্রাস্ফীতি প্রশমিত করতে ও ঝুঁকিতে থাকা গোষ্ঠীগুলোকে সহায়তা করতে ব্যবহার করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতিসংঘ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ