Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাপোরোজিয়া প্ল্যান্টের চারপাশে নিরাপত্তা বলয়ের আহ্বান জাতিসংঘের

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:১২ পিএম

জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা (আইএইএ) মঙ্গলবার রাশিয়া এবং ইউক্রেনকে জাপোরোজিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চারপাশে একটি ‘পারমাণবিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তা অঞ্চল’ প্রতিষ্ঠা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।

‘আমরা আগুনের সাথে খেলছি, এবং খুব, খুব বিপর্যয়কর কিছু ঘটতে পারে,’ আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রসি, প্ল্যান্ট পরিদর্শনের নেতৃত্ব দেয়ার কয়েকদিন পরে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করেছিলেন। তার সফরের বিস্তারিত প্রতিবেদনে, আইএইএ বলেছে যে, ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চারপাশে গোলাবর্ষণ অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। ‘এই প্ল্যান্টের চারপাশে একটি পারমাণবিক সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য সমস্ত প্রাসঙ্গিক পক্ষের চুক্তির প্রয়োজন’, সেখানে বলা হয়।

নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস একইভাবে দাবি করেছিলেন যে, রাশিয়ান এবং ইউক্রেনীয় বাহিনী প্লান্টের চারপাশে সমস্ত সামরিক কার্যকলাপ বন্ধ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং একে একটি ‘বেসামরিক এলাকা’ হিসাবে মেনে নেবে। কেন্দ্রটি ডিনিপার নদীর দক্ষিণ তীরে, ইউক্রেন নিয়ন্ত্রিত শহর এবং সামরিক অবস্থানের কাছে অবস্থিত। উভয়পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে কেন্দ্রটিকে লক্ষ্যবস্তু করার জন্য অভিযুক্ত করেছে। মার্চের শুরুতে রুশ বাহিনী সেটি দখল করে নেয়।

মঙ্গলবার ইউক্রেনের সেনারা চব্বিশ ঘণ্টায় তিনবার ওই এলাকায় হামলা করে। ইউক্রেন বলেছে, আশেপাশের শহরগুলিতে গুলি চালানোর জন্য রাশিয়ার বাহিনী কেন্দ্রটিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে। যদিও রাশিয়া জোর দিয়ে বলে যে তারা কেন্দ্রটি পাহারা দিচ্ছে। যদিও জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা কোনও পক্ষকে দোষারোপ করার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করেছে। জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক দলটি গত সপ্তাহে যখন কেন্দ্রটি পরিদর্শন করে তখন সেখানে গোলাগুলি অব্যাহত ছিল এবং সেসময় এর প্রধান রাফায়েল গ্রসি পরমাণু বিপর্যয়ের ঝুঁকির ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন।

যদিও দলটির অধিকাংশ সদস্যই দুই দিন পর কেন্দ্রটি ছেড়ে চলে গেছেন। তবে এর দুইজন কর্মকর্তা সেখানে স্থায়ীভাবে থাকবেন। মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, সেখানে কর্মীদের কাজের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ এবং পারিবারিক সহায়তা পাওয়ার অধিকার থাকা উচিত। জাতিসংঘের পারমাণবিক সংস্থা কেন্দ্রটির ক্ষতির বিশদ বিবরণ দিয়েছে এবং বলেছে যে অব্যাহত গোলাবর্ষণ এখনই একটি পারমাণবিক জরুরি অবস্থার পরিস্থিতি তৈরি না করলেও এটির নিরাপত্তার জন্য স্পষ্ট ঝুঁকি তৈরি করছে। যার ফলে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ার ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে। সূত্র: এপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতিসংঘ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ