মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মিয়ানমারে সামরিক বুটের আঘাতে রক্তাক্ত গণতন্ত্র। তারপর থেকেই ‘খোলা হাওয়া’র দাবিতে চলছে আন্দোলন। সেনাশাসকদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাচ্ছে জনতা। আর সেই বিক্ষোভ দমাতে নৃশংসতার নজির গড়েছে দেশটির ফৌজ। এমন সময়ে জাতিসংঘের এক রিপোর্টে জানা গিয়েছে যে এপর্যন্ত প্রায় দেড় হাজারেরও বেশি আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়েছে।
সম্প্রতি মিয়ানমার নিয়ে এক রিপোর্ট পেশ করেছে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার দপ্তর। সেখানে বলা হয়েছে, গত একবছরে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে চলা আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছেম অন্তত দেড় হাজার গণতন্ত্রকামী। সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে আটক করা হয় ১১ হাজার ৭৮৭ জনকে। তাদের মধ্যে অন্তত নয় হাজার এখনও বন্দি।
জেনেভায় এক বৈঠকে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের মুখপাত্র রবিনা শামদাসানি স্পষ্ট বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি যে মিয়ানমারে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১ হাজার ৫০০ জন প্রতিবাদী। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রদর্শনের জন্যই তাদের মরতে হয়।” তিনি আরও বলেন, “এই পরিসংখ্যান শুধুমাত্র বিক্ষোভ মিছিলে হওয়া মৃত্যুর। মিয়ানমারে সশস্ত্র সংঘর্ষে মদের মনে হয় আরও কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।”
উল্লেখ্য, গত ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান হয়। নেত্রী আং সান সু কি’র নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে টাটমাদাও বা বার্মিজ সেনা। তারপর থেকেই ফৌজের বিরুদ্ধে চলছে প্রতিবাদ। সশস্ত্র আন্দোলন শুরু করে বিদ্রোহীরা। কয়েকদিন আগেই জুন্টার বিরুদ্ধে গণহত্যার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে আসে এক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে।
গত ডিসেম্বর মাসে এক প্রতিবেদনে বিবিসি দাবি করে, গতবছরের জুলাই মাসে মধ্য মিয়ানমারের সাগাইং প্রদেশের কানি শহর সংলগ্ন অন্তত চারটি গ্রামে গণহত্যা চালিয়েছিল বার্মিজ সেনা। যার ফলে শুধুমাত্র ওই চার এলাকাতেই মৃত্যু হয়েছিল ৪০ জন সাধারণ মানুষের। বলে রাখা ভাল, কানি শহর বিদ্রোহীদের ঘাঁটি। ওই অঞ্চলে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করা মিলিশিয়াগুলিকে শাস্তি দিতেই গণহত্যা চালায় ‘টাটমাদাও’ তথা বার্মিজ সেনা। বিবিসি-তে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াইন নামের একটি গ্রামে একসঙ্গে সবচেয়ে বেশি মানুষকে মারা হয়। সেখানে ১৪ জন গ্রামবাসীর উপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়ে তাঁদের হত্যা করেছে ফৌজ। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।