Inqilab Logo

সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আইএসের যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০৪ এএম

ইরাকে জিহাদি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, ইরাকি শহর মসুলে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধ সংগঠিত করেছে ইসলামিক স্টেট। সেখানে আজ থেকে ৭ বছর আগে কমপক্ষে ১ হাজার শিয়া মুসলিমকে হত্যা করেছে তারা। এ খবর দিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা। খবরে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার কর্মকর্তারা এ সংক্রান্ত প্রমাণ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সামনে তুলে ধরেছে। এসব প্রমাণ মসুলে পাওয়া বেশ কিছু গণ কবর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ২০১৪ সালে এসব গণ কবরের কাছেই বাদুশ কেন্দ্রীয় কারাগারে এই গণহত্যা সংগঠিত হয়েছিল। সেসময় পালিয়ে বাঁচা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বন্দীদের ধরে এই কারাগারে আনা হতো। এরপর জিহাদিরা ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত্তিতে বন্দীদের আলাদা করে ফেলতো। কারাগারের কাছেই এক হাজারের বেশি শিয়া বন্দীকে হত্যা করেছে আইএস। জাতিসংঘের তদন্ত কমিটি পর্যবেক্ষণ, বেঁচে ফেরাদের জবানবন্দি ও আইএসের নথি ঘেটে এই গণহত্যার সঙ্গে যুক্ত জিহাদি নেতাদের শনাক্ত করেছে। রিপোর্টে এই ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার আহ্বান জানানো হয়। বলা হয়, মসুলে ইসলামিক স্টেট হত্যা, মৃত্যুদ-, নির্যাতন, গুম ও অন্যান্য ‘অমানবিক’ কর্মকা-ে যুক্ত ছিল। ২০১৪ সালে ইরাকের একাধিক শহর দখল করে নেয় জিহাদি গোষ্ঠীটি। সেখানে তারা নিজেদের কথিত ইসলামিক খেলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়। ২০১৭ সালে ইরাকে পরাজিত হয় আইএস। তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে দেশটিতে। তাদের দখল করা শহরগুলো প্রায় পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। যদিও এখনো এর জিহাদিরা বিচ্ছিন্ন হামলা পরিচালনা করে থাকে। শুক্রবারও অন্তত ১০ জনকে হত্যা করেছে আইএস। তাদের হামলার প্রধান টার্গেট শিয়া ও কুর্দি জনগোষ্ঠী। গত মে মাসে জাতিসংঘের তদন্ত কমিটির সাবেক প্রধান করিম খান নিরাপত্তা পরিষদকে জানিয়েছিলেন, তিনি ইরাকে আইএসের যুদ্ধাপরাধের স্পষ্ট প্রমাণ পেয়েছেন। আল-জাজিরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতিসংঘ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ