মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আবহাওয়া পরিবর্তন নিয়ে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের একটি বিজ্ঞানী দল হুঁশিয়ার করে জানিয়েছে, মানুষের নানা কর্মকাণ্ডের কারণে বরফ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ার প্রবণতা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীব-জন্তুর বিভিন্ন প্রজাতির বসবাসের ধরন। রিপোর্টে সাবধান করে বলা হয়েছে, সমুদ্রে তাপ বাড়ার ফলে আবহাওয়া দিন দিন ভয়াবহ হয়ে উঠবে। বাড়বে সামুদ্রিক ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের পরিমাণ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বরফের পরিমাণ কমে গিয়ে বেড়ে যাচ্ছে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা। এতে দিন দিন পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। আবহাওয়া বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্যানেলের (আইপিসিসি) অতিসাম্প্রতিক একটি বিশেষ রিপোর্টে এসব হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তন নিয়ে গত এক বছরের মধ্যে এ নিয়ে তৃতীয় রিপোর্ট দিল সংস্থাটি। তাপমাত্রা বাড়ার কারণে সমুদ্র এবং বরফে আচ্ছাদিত অঞ্চলের ওপর যে প্রভাব তা উঠে এসেছে ওই রিপোর্টে। বিজ্ঞানীদের খুঁজে পাওয়া তথ্য উপাত্ত আগের রিপোর্টগুলোর তুলনায় অনেক বেশি ভীতিকর। মূল যে বিষয়টি উঠে এসেছে তা হলো, সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বাড়ছে, দ্রুত বরফ গলছে এবং এর প্রভাব পড়ছে পুরো বিশ্বের প্রাণিজগতের ওপর। ওই রিপোর্টের প্রধান প্রণেতা ড. জ্যঁ পিয়ের গুাত্তুসো বলেছেন, ‘পৃথিবী এখন মহাসঙ্কটে। বিভিন্ন দিক থেকে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে এবং এর জন্য আমরাই দায়ী।’ রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৭০ সাল থেকে সাগর-মহাসাগরে উষ্ণতা অব্যাহতভাবে বাড়ছে। বিশ্বে উষ্ণায়নের ফলে যে তাপ তৈরি হচ্ছে, তার ৯০ শতাংশই শুষে নিচ্ছে সমুদ্র। সমুদ্রের শুষে নেওয়ার এই মাত্রা ১৯৯৩ সাল থেকে দ্বিগুণ হয়েছে। ক্রমাগত গলছে গ্রিনল্যান্ড ও অ্যান্টার্কটিকার বরফ। অ্যান্টার্কটিকার বরফ ২০০৭ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত যে হারে গলেছে তার আগের ১০ বছরের তুলনায় তা তিনগুণ। আশঙ্কা করা হচ্ছে, অ্যান্ডিজ, মধ্য ইউরোপ ও উত্তর এশিয়ায় হিমবাহগুলো ২১০০ সাল নাগাদ ৮০ শতাংশ গলে যাবে বলে। আইপিসিসির নতুন এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২১০০ সাল নাগাদ ১.১ মিটার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা। ড. গাত্তুসো বলছেন, ‘নিচু জায়গাগুলোতে সাগরের উচ্চতা বাড়ার পরিণতি হবে ব্যাপক। ৭০ কোটি মানুষ এরকম নিচু উপকূলীয় এলাকায় বসবাস করে। ফলে বিষয়টি খুবই উদ্বেগের।’ আসন্ন দিনগুলোতে কার্বন নির্গমন এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধির মাত্রা বেড়ে গেলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে ঝুঁকিতে পড়তে পারে নিউ ইয়র্ক বা সাংহাইয়ের মত উন্নত আর বিত্তশালী নগরগুলোও। আইপিসিসি প্যানেলের অধ্যাপক ডেরা রবার্টস বলেছেন, ‘আমরা নজিরবিহীন কিছু বিপদের ইঙ্গিত দেখতে পাচ্ছি। আপনি যদি স্থলভাগের খুব ভেতরেও বসবাস করেন, তাহলেও সাগর এবং পরিবেশে তাপমাত্রা বৃদ্ধির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আপনি নিরাপদে থাকতে পারবেন না।’ বিবিসি বাংলা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।