মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
: আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় নেয়া হচ্ছে নানা উদ্যোগ। কার্বন নিঃসরণ বন্ধে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে উন্নত দেশগুলো। প্রতিশ্রæতি এসেছে বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে। তহবিল সরবরাহ করা হচ্ছে উন্নয়নশীল দেশগুলোকেও। তবু প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য পূরণে অনেক পিছিয়ে আছে বিশ্ব। জাতিসংঘের নতুন একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্ব একটি উষ্ণ ভবিষ্যতের বিপর্যয়কর পথে চলছে। গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমাতে উচ্চাভিলাষী প্রতিশ্রæতি ছাড়া এ বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব নয় বলে সতর্ক করেছেন সংস্থাটির প্রধান। এপির খবরে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের প্রতিবেদনে প্যারিস আবহাওয়া চুক্তি স্বাক্ষরকারীদের গত ৩০ জুলাই পর্যন্ত জমা দেয়া সব জাতীয় প্রতিশ্রæতি পর্যালোচনা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে উঠে এসেছে, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশগুলোর কার্বন নিঃসরণ ২০১০ সালের তুলনায় প্রায় ১৬ শতাংশ বাড়বে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশ্বকে দ্রæত কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনা শুরু করতে হবে। এছাড়া বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামিয়ে আনার প্যারিস চুক্তির উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য পূরণ করতে হলে ২০৫০ সালের মধ্যে বায়ুমÐলে আর কোনো কার্বন যোগ করা যাবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাক-শিল্প বিপ্লবের সময় থেকে বিশ্ব এরই মধ্যে ১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণ হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত প্রধান অর্থনীতির নেতাদের একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, চলতি শতকের মাঝামাঝিতে কার্বন নিঃসরণের লক্ষ্য পূরণে ২০৩০ সালের মধ্যে নিঃসরণ ৪৫ শতাংশ কমিয়ে আনা প্রয়োজন। যেখানে বিশ্ব ২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণ হওয়ার পথে রয়েছে। জুলাইয়ের শেষ নাগাদ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ প্রায় ১১৩টি দেশ তাদের নিঃসরণ লক্ষ্যমাত্রার হালনাগাদ তথ্য জমা দিয়েছে। এটি জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান বা এনডিসি নামেও পরিচিত। দেশগুলোর প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী, এ দশকের শেষ দিকে কার্বন নিঃসরণ ১২ শতাংশ কমবে। তবে কয়েকটি দেশের সরকার যদি শর্তসাপেক্ষ প্রতিশ্রæতি ও ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শ‚ন্যে নামানোর আশ্বাস দেয় তবে এ কমার হার দ্বিগুণ হতে পারে। সর্বশেষ এ প্রতিবেদন সংকলন করা জাতিসংঘের আবহাওয়াবিষয়ক প্রধান প্যাট্রিসিয়া এসপিনোসা বলেন, এটি পরিস্থিতির ইতিবাচক দিক। বিশ্বের শীর্ষ এক ও তিন নম্বর নিঃসরণকারী দেশ যথাক্রমে চীন ও ভারতসহ কয়েক ডজন দেশ সময়মতো নতুন প্রতিশ্রæতি জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। গøাসগোতে আসন্ন আবহাওয়া সম্মেলনের জন্য সময়মতো দৃঢ় প্রতিশ্রæতি দেয়ার জন্য বিশ্বনেতাদের আহŸান জানান এসপিনোসা। তিনি বলেন, নেতাদের অবশ্যই জাতীয় স্বার্থ রক্ষা নয়, বরং মানবতার কল্যাণে অবদান রাখার লক্ষ্য নিয়ে একটি খোলামেলা আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে হবে। আমাদের হাতে আর অবশিষ্ট সময় নেই। এসপিনোসা জানান, কিছু দেশের ক্ষেত্রে যেমন চীন ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শ‚ন্যে নামানোর লক্ষ্য ঘোষণা করেছিল। তবে তারা সেটি জাতিসংঘের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে জমা না দেয়ায় এ প্রতিবেদনে সেগুলো বিবেচনায় নেয়া হয়নি। এদিকে পরিবেশবিদরা দেশগুলোর এ প্রতিশ্রæতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। স্মল আইল্যান্ড স্টেটস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান অউবি ওয়েবসন বলেন, আমাদের অবশ্যই বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং শীর্ষ কার্বন নিঃসরণকারীদের উদ্যোগের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। ফলাফলগুলো স্পষ্ট, আমরা যদি এরই মধ্যে ধ্বংসাত্মক আবহাওয়া প্রভাব এড়াতে চায়, তাহলে শীর্ষ নিঃসরণকারী এবং জি২০ভুক্ত দেশগুলোকে আরো উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নিতে হবে। জাতিসংঘের এসপিনোসা বিশ্বাস করেন, ছয় বছর আগে প্যারিস চুক্তির যে লক্ষ্য নেয়া হয়েছিল তা পূরণ করা এখনো সম্ভব। তিনি বলেন, আমার দৃষ্টিতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের লক্ষ্য অবশ্যই জীবিত। আমরা একটা জিনিস করতে পারি, তা হলো হাল ছেড়ে না দেয়া। এপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।