মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জাতিসংঘের মহাসচিব হওয়ার দৌড়ে এ বার যোগ দিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অরোরা আকাঙ্ক্ষা। বর্তমান মহাসচিব ৭১ বছর বয়সী অ্যান্টোনিয়ো গুতেরেসের বিরুদ্ধে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন ৩৪ বছরের আকাঙ্খা। ইতিমধ্যে, সামাজিক মাধ্যমে #অরোরাফরএসজি প্রচারও শুরু করে দিয়েছেন তিনি।
২০১৭-র ১ জানুয়ারি জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন অ্যান্টোনিয়ো গুতেরেস। এ বছর ৩১ ডিসেম্বর তার ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তবে দ্বিতীয় বারের জন্যও মনোনয়নপত্র জমা দিতে চলেছেন তিনি। সরাসরি তার বিরুদ্ধেই টক্কর দিতে চলেছেন আকাঙ্ক্ষা। প্রয়োজনীয় সমর্থন জোগাড় করতে পারলে জাতিসংঘের ৭৫ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও মহিলাকে মহাসচিব পদে দেখা যাবে।
বর্তমানে জাতিসংঘেই কর্মরত আকাঙ্ক্ষা। উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) বিভাগে অডিট কো-অর্ডিনেটর হিসেবে নিযুক্ত তিনি। নিজের পক্ষে সমর্থন টানতে আড়াই মিনিটের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন আকাঙ্ক্ষা। তাতে তিনি বলেন, ‘আমার মতো পরিস্থিতিতে থাকা মানুষরা সাধারণত ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে মাথা তোলার সাহস দেখান না। মাথা নিচু করে কাজ করে যাই। সব কিছু যেমন চলছে মেনে নিই। কিন্তু যে উদ্দেশ্য নিয়ে জাতিসংঘ তৈরি হয়েছিল, এত বছরেও তা সফল হয়নি। বছরের পর বছর যারা ক্ষমতায় এসেছেন, তাদের হাতে জাতিসংঘ ব্যর্থতায় পরিণত হয়েছে। তাই জাতিসংঘে মহাসচিব হওয়ার দৌড়ে নাম লিখিয়েছি আমি। শুধুমাত্র নীরব দর্শক হয়ে থাকতে রাজি নই। জাতিসংঘের এই অক্ষমতা, সীমাবদ্ধতা মেনে নিতে রাজি নই একেবারেই।’
নিজের ভারতীয় পরিচয় যদিও ওই ভিডিওতে তুলে ধরতে দেখা যায়নি আকাঙ্ক্ষাকে। তবে ভারতেই তার জন্ম। ৬ বছর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে সউদী আরব পাড়ি দেন। পরবর্তী কালে কানাডার টরন্টোর ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক বিষয়ে পড়াশোনা করেন। নিউ ইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওই বিষয়েই স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনা শেষ করেন। ভারতের নাগরিকত্বের পাশাপাশি কানাডার পাসপোর্টও রয়েছে আকাঙ্ক্ষার। তবে জাতিসংঘে তার হয়ে সুপারিশ করার জন্য দু’টি দেশের মধ্যে কারও কাছেই আবেদন জানাননি তিনি। তবে শতাব্দী-প্রাচীন চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে তার মতো নতুন প্রজন্মের হাতেই আন্তর্জাতিক সংগঠনের দায়িত্ব তুলে দেয়ার পক্ষে সমর্থনের অভাব হবে না বলে আত্মবিশ্বাসী আকাঙ্ক্ষা।
নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশ মেনে সাধারণসভা জাতিসংঘের মহাসচিবকে বেছে নেন। তবে এ ক্ষেত্রে জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে কোন এক দেশই ভেটো প্রদান করে কারও নিয়োগ আটকে দিতে পারে। তাই ওই দেশগুলোর আস্থাও অর্জন করতে হবে আকাঙ্ক্ষাকে। সূত্র: এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।