Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিয়ানমারে নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ জাতিসংঘের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১১:৩২ এএম

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে চলমান টানা বিক্ষোভ ঠেকাতে ব্যাপক বল প্রয়োগ করছে মিয়ানমারের পুলিশ। সেই প্রমাণ রয়েছে বলে দাবি করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত তদন্তকারী কর্মকর্তা অ্যান্ড্রু টমাস। দেশটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার সুপারিশও জানিয়েছেন তিনি। গতকাল শুক্রবার অ্যান্ড্রু জানান, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের উচিত অবিলম্বে মিয়ানমারের ওপর আর্থিক, সামরিক ও ভ্রমণ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করা।

তিনি বলেন, ‘‘বিভিন্ন রিপোর্ট ও ছবি থেকে আমরা এই প্রমাণ পেয়েছি যে গত কয়েক দিনে বিক্ষোভ ঠেকাতে সেনার নির্দেশে আগ্নেয়াস্ত্রের প্রয়োগ করেছে পুলিশ। যা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। এই পরিস্থিতিতে আমার প্রস্তাব, অবিলম্বে মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক।’’
একই বার্তা দিয়েছেন ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব। সেনা অভ্যুত্থানের খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই তাদের সরকার মিয়ানমারে সুষ্ঠু গণতন্ত্র ফেরানোর দাবি জানিয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
এর আগে এক ধাপ এগিয়ে পদক্ষেপ নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জো বাইডেন প্রশাসন। সেনা কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ ইতিমধ্যেই ১ বিলিয়ন ডলারের সামরিক অনুদানে কাটছাঁট করেছে দেশটি।
জাতিসংঘে মিয়ানমারের দূত মিন্ট হু জানান, আসিয়ানে অন্তর্ভুক্ত দেশ ও জাতিসংঘের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে চলেছেন। তার কথায়, ‘‘দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে আমরা কেউই বাধা হতে চাই না।’’
দেশটিতে সামরিক সেনাদের বলপ্রয়োগ সত্ত্বেও গণতন্ত্রকামীদের বিক্ষোভ ও অসহযোগ আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। চিকিৎসক, শিক্ষক-সহ সরকারি কর্মীদের অবিলম্বে কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে সেনা। কিন্তু তাঁরা নিজেদের কর্মক্ষেত্রে না ফিরে এনএলডি-নেত্রী আউং সাং সু চি-সহ বাকি বন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে পথে নামছেন প্রতিদিন। ইয়াঙ্গন, ম্যান্ডালে-তে রোজই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘাত বাধছে পুলিশের।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক জানিয়েছে, ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ‘ভুল তথ্য ছড়িয়ে যাচ্ছে’ তাই তাদের পরিচালিত বিষয়বস্তুগুলোর দৃশ্যমানতা ছেঁটে দিচ্ছে তারা। পাশাপাশি মিয়ানমারের সরকারি সংস্থাগুলোর ‘বিষয়বস্তু সরানোর’ অনুরোধ পাঠানোর সুযোগও স্থগিত করবে বলে জানিয়েছে ফেসবুক। সূত্র : বিবিসি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতিসংঘ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ