মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রোহিঙ্গাদের নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বিপুল ভোটে নিন্দা প্রস্তাব পাস হয়েছে। এই প্রস্তাবের পক্ষে গতকাল শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) ১৯৩ সদস্যের মধ্যে ১৩৪ জন ভোট দিয়েছে এবং মিয়ানমারের সরকারকে রাখাইন, কাচিন ও শান রাজ্যে রোহিঙ্গা ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘৃণা উস্কানি দেওয়ার বিরুদ্ধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
সাধারণ অধিবেশনে পাস হওয়া এ নিন্দা প্রস্তাব মিয়ানমারের জন্য কোনো আইনী বাধ্যবাধকতা তৈরি না করলেও, তা সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির ব্যাপারে সারা বিশ্বের মতামতকে প্রতিফলিত করে।
একই অধিবেশনে সাধারণ পরিষদ মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে গঠিত ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইনভেস্টিগেটিভ মেকানিজম ফর মিয়ানমার (আইআইএমএম) নামের একটি স্বাধীন কমিশনের জন্য নিয়মিত কাজে বরাদ্দ অনুমোদন করে। জাতিসংঘ মানাবাধিকার পরিষদ ৩৯/২ প্রস্তাবনার মাধ্যমে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে কমিশনটি গঠন করে।
এর আগে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের গণহত্যা মামলায় ১০ ডিসেম্বর থেকে তিন দিনব্যাপী নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে শুনানি হয়। শুনানির প্রথম দিনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যায় নিজেদের যুক্তি তুলে ধরে মামলার বাদী গাম্বিয়া।
এই প্রস্তাব পাসের মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে আন্তর্জাতিক মহলের সার্বিক সমর্থনের ব্যাপারটি পুনরায় দৃশ্যমান হলো বলে কূটনীতিকরা মনে করছেন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল স্বাধীন তথ্য-অনুসন্ধানী মিশন তৈরি করেছে।
রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে বিচারও চলছে। এর শুনানি শেষ হয়েছে, এখন রায়ের অপেক্ষা।
নেদাল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) এই বিচারের মধ্যে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নতুন প্রস্তাব পাস গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
যুগের পর যুগ ধরে বসবাস করে আসলেও ১৯৮২ সাল থেকে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব বাতিল করে তাদের রাষ্ট্রহীন বানায়। এছাড়া তাদের আন্দোলন করার স্বাধীনতা খর্ব করে তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে আসছে মিয়ানমার সরকার। তাদের বিরুদ্ধে নানাভাবে নির্যাতন চালায় দেশটির স্থানীয় বাসিন্দা ও নিরাপত্তা বাহিনী।
তবে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টে দেশটির সামরিক বাহিনী রাখাইন প্রদেশে নির্বিচারে গণহত্যা, ধর্ষণ, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়ার মাধ্যমে নিধন রোহিঙ্গা নিধন অভিযান শুরু করলে জীবন বাঁচাতে প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গা দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়।
জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত হাউ ডু সুয়ান বলেন, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অবাঞ্ছিত রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগ করতে বৈষম্যমূলকভাবে একটি পক্ষকে নিশানা করে মানবাধিকার নীতিমালা প্রয়োগের একটি উৎকৃষ্ট উদহারণ এই প্রস্তাব। এতে রাখাইন রাজ্যের জটিল পরিস্থিতির কোনো সমাধান আসবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।