Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জন্য কেন উপযুক্ত নয় ভারত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৬:৫২ পিএম

বর্তমানে চারটি দেশ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হতে চেষ্টা করছে। জাপান, জার্মানি, ভারত ও ব্রাজিল। এদেরকে বলা হচ্ছে জি-৪। তবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হতে ভারতীয় প্রয়াসের বিরোধিতা করছে পাকিস্তান। এমনকি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী বা অস্থায়ী সব ধরনের সদস্য হতে ভারতের যোগ্যতাকে চ্যালেঞ্জ করে আসছে পাকিস্তান। পাকিস্তান বলছে যে নয়া দিল্লি কাশ্মীর বিরোধ নিষ্পত্তির ব্যাপারে সুস্পষ্টভাবে নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবগুলো লঙ্ঘন করছে।

ভারত ১৯৪৮ সাল থেকেই কাশ্মীরবিষয়ক জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব পালন করছে না। ভারত হলো মানবাধিকারের সবচেয়ে বড় লঙ্ঘনকারী। কাশ্মীরে জাতিগত শুদ্ধি অভিযান ও গণহত্যা পরিচালনাকারী। দেশটি ১০০ দিনের বেশি সময় ধরে ৯ লাখ সৈন্য মোতায়েন করে রেখেছে কাশ্মীরে। কাশ্মীরে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি সময় ধরে কারফিউ জারি করে ৮০ লাখ লোকের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। কঠোর আইন দিয়ে যেকোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করছে, জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ধর্ষণকে অস্ত্র হিসেবেই গ্রহণ করা হয়েছে।

গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় মুসলিমদের ওপর গণহত্যা চালানোর সাথে সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগে ২০০২ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর মোদির উপর যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। একই অভিযোগে তিনি কয়েকটি দেশে নিষিদ্ধ ছিলেন। যে দেশ যুদ্ধাপরাধে জড়িত, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব লঙ্ঘনকারী, চরমপন্থী, সন্ত্রাসে অভিযুক্ত, এক তৃতীয়াংশ আইনপ্রণেতা অপরাধে জড়িত, সেই দেশ কিভাবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হয়?

ফলে পাকিস্তানের দাবি, স্থায়ী সদস্য তো দূরের কথা, ভারত অস্থায়ী সদস্য হওয়ারও যোগ্য নয়। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ফোরাম জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ হলো এর ছয়টি প্রধান অঙ্গের একটি। এই সংস্থার দায়িত্ব আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, জাতিসংঘে নতুন সদস্য গ্রহণ করা এবং এর সনদে যেকোনো পরিবর্তন অনুমোদন করা। ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সদরদফতর নিউ ইয়র্কে। এটির ৫ স্থায়ী সদস্য হলো যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও চীন। তাদের ভেটো শক্তি আছে। এছাড়া অস্থায়ী ভিত্তিতে থাকে আরো ১০ সদস্য।

দেখা গেছে, কিছু ক্ষেত্রে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ কিছু সমস্যার সমাধান করতে পারে না বা কিছু ক্ষেত্রে তারা অসহায় হয়ে যায়। এসবের দুটি হলো ফিলিস্তিন ও কাশ্মীর ইস্যু। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিষদকে সম্পৃক্ত না করেই যুক্তরাষ্ট্র কাজ করে ফেলে। যেমনটা ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ধ্বংস করতে করা হয়েছিল। এমনকি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে সম্পৃক্ত না করেই কিছু কিছু দেশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র অবরোধ আরোপ করেছে। পুরো বিশ্বকেই ওই অবরোধ পালন করতে বাধ্য করা হচ্ছে। অবশ্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ বেশ কয়েকটি সমস্যার সমাধান করেছে, শান্তি, নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।



 

Show all comments
  • Bambul Miah ৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৪:৫৯ এএম says : 0
    India is not fit for purpose,it's current record on human rights is horrendous,it's autonomous state Kashmir people is being butchered on daily basis,fascist modi regime is committing ethnic cleansing throughout india against its Muslim citizens.Democracy in india is being suffocated, people lives in constant fear of modi hired henchmen name Siva sena,rss & so call ram janam bhumi cronies, as long as bjp,modi is in power india will fall into turmoil & political deluge, no one will live in peace
    Total Reply(0) Reply
  • Parikshit Dey ৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১১:২১ এএম says : 5
    পাকিস্তান তো সারা বিশ্বের সংঘটিত সন্ত্রাসের আন্তর্জাতিক হেড কোয়ার্টার।
    Total Reply(1) Reply
    • Nahid ৫ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৮:৩২ পিএম says : 4
      At first ensured sanitation and stop aggression in neighbouring country. Besides stop sexsual harassment or abuse against women . More over Muslim minorities life and their religious places should be secured, which like babri mosque destroyed must be reconstruct.
  • AnjumSaif ৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৭:৩২ পিএম says : 0
    India is a terror producing country now. It Doesn’t have the rigt to be the part of any sort of international peace promoting organization.Although they should be banned internationally.
    Total Reply(0) Reply
  • Nahid ৫ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৮:২৫ পিএম says : 0
    At first toilet or safe sanitation should be ensured before dreaming super power
    Total Reply(0) Reply
  • Adolf Sohan ১১ মে, ২০২২, ৪:২৭ পিএম says : 0
    জাতিসংঘের নিরাপত্তার পরিষদের স্থায়ী সদস্য হতে হলে সুপার পাওয়ার হতে হয়,,, যেটা জার্মানির রয়েছে,, ভারত,ব্রাজিল, জাপানের নেই,, ওরাতো অন্য দেশ থেকে অস্ত্র কিনে তো ওরা কিভাবে সুপার পাওয়ার হবে,, আধুনিক অস্ত্র নিজ সক্ষমতায় তৈরি করতে হবে,, যাতে একাই বিশ্বের সাথে যুদ্ধ করতে পারে,,, যেমনটি রয়েছে রাশিয়া, আমেরিকা, ফ্রান্স, ইংলিশ, চীন ও জার্মানি
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতিসংঘ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ