মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ক’দিন আগে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের যে সাধারণ সভায় গিয়ে কূটনৈতিক লড়াই চালিয়ে এলেন দুনিয়ার সব রাষ্ট্রনেতারা, অর্থের অভাবে সেই সভা না কি আরেকটু হলে ভেস্তে যেতে বসেছিল! সময় থাকতে খরচ কমানোর জন্য নির্দেশ জারি করেছিলেন সেক্রেটারি জেনারেল আন্তোনিও গুতেরেজ। সেই কারণেই শেষ পর্যন্ত মহা সমারোহে বার্ষিক এই সভার আয়োজন করা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু, পরিস্থিতি যেখানে গিয়ে দাঁড়িয়েছে তাতে আর সম্ভব নয়। সদস্য রাষ্ট্রগুলিকে চিঠি লিখে গুতেরেজ জানিয়ে দিয়েছেন, অবিলম্বে বকেয়া অর্থ মিটিয়ে দিন, না হলে ডিসেম্বরের পর থেকে বন্ধ করে ফেলতে হবে জাতিসংঘ।
বর্তমানে এই আন্তর্জাতিক সংগঠন চলছে শান্তিরক্ষার জন্য তৈরি করা বিশেষ তহবিলের অর্থ থেকে! সেখানে যা মজুদ আছে তাতে খুব বেশি হলে ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মীদের বেতন, দুনিয়াজুড়ে ছড়িয়ে থাকা দপ্তর চালানোর মতো খরচ দেয়া সম্ভব। এমন অবস্থায় সংগঠনের খরচে আরও কাটছাঁট করার আবেদন জানিয়েছেন সেক্রেটারি জেনারেল। জাতিসংঘের সমস্ত দপ্তরকে বলা হয়েছে জরুরি ভিত্তিতে খরচ কমানোর জন্য। যার মধ্যে রয়েছে নিয়োগ বন্ধ, বৈঠক-সম্মেলন বাতিল, কর্মসূত্রে ভ্রমণে রাশ টানা, শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের ব্যবহার কমানো। এমনকী, সম্ভব হবে চলমান সিঁড়িও ব্যবহার না করতে অনুরোধ করা হয়েছে! গুতেরেজের কথায়, ‘গত কয়েক দশকে এমন সঙ্কট এই প্রথম।’
মূলত সদস্য দেশগুলোর অর্থেই চলে জাতিসংঘ। কে কত অর্থ দেবে, তার নির্দিষ্ট হিসাব নিকাশ আছে। এই ব্যয়ভারের বেশি অংশটাই বহন করতে হয় নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য আমেরিকা, চিন, রাশিয়া, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সকে। এদের মধ্যে সবথেকে বেশি অর্থ দেয় আমেরিকা (২২ শতাংশ)। সেই তুলনায় বাকিদের ভাগ অনেক কম। ভারতের ক্ষেত্রে তা ০.৮৩ শতাংশ। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান বলছে, স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে ৬৫টি দেশ তাদের বকেয়া মেটায়নি! যার অঙ্ক প্রায় ১৩৮ কোটি ডলার। বকেয়ার তালিকাতেও শীর্ষে আমেরিকা।
প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্প অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছেন যে, জাতিসংঘের জন্য অকারণে বিপুল আর্থিক বোঝা বইতে হচ্ছে তার দেশকে। এই বাবদ বাজেট-বরাদ্দও কমিয়ে দিয়েছেন তিনি। এ দিনও গুতেরেজের বক্তব্য সামনে আসার পর তার প্রতিক্রিয়া, ‘শুধু আমেরিকা নয়, সব দেশকেই বকেয়া দিতে বাধ্য করা হোক।’ নয়াদিল্লি অবশ্য তাদের বকেয়া আগেই মিটিয়ে দিয়েছে। ট্রাম্প যাই বলুন না কেন, ওয়াশিংটনও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যত দ্রুত সম্ভব বকেয়া মিটিয়ে দেয়ার। ফলে আশা করা যাচ্ছে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে। পরিস্থিতি দেখে অনেকেই বলছেন, গোটা বিশ্ব তাদের সমস্যা নিয়ে জাতিসংঘের কাছে যায়, কিন্তু জাতিসংঘের যাওয়ার কোনও জায়গা নেই! সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট।
নজিরবিহীন অর্থসঙ্কটে জাতিসংঘ, খরচ কমানোর অনুরোধ
ইনকিলাব ডেস্ক
ক’দিন আগে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের যে সাধারণ সভায় গিয়ে কূটনৈতিক লড়াই চালিয়ে এলেন দুনিয়ার সব রাষ্ট্রনেতারা, অর্থের অভাবে সেই সভা না কি আরেকটু হলে ভেস্তে যেতে বসেছিল! সময় থাকতে খরচ কমানোর জন্য নির্দেশ জারি করেছিলেন সেক্রেটারি জেনারেল আন্তোনিও গুতেরেজ। সেই কারণেই শেষ পর্যন্ত মহা সমারোহে বার্ষিক এই সভার আয়োজন করা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু, পরিস্থিতি যেখানে গিয়ে দাঁড়িয়েছে তাতে আর সম্ভব নয়। সদস্য রাষ্ট্রগুলিকে চিঠি লিখে গুতেরেজ জানিয়ে দিয়েছেন, অবিলম্বে বকেয়া অর্থ মিটিয়ে দিন, না হলে ডিসেম্বরের পর থেকে বন্ধ করে ফেলতে হবে জাতিসংঘ।
বর্তমানে এই আন্তর্জাতিক সংগঠন চলছে শান্তিরক্ষার জন্য তৈরি করা বিশেষ তহবিলের অর্থ থেকে! সেখানে যা মজুদ আছে তাতে খুব বেশি হলে ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মীদের বেতন, দুনিয়াজুড়ে ছড়িয়ে থাকা দপ্তর চালানোর মতো খরচ দেয়া সম্ভব। এমন অবস্থায় সংগঠনের খরচে আরও কাটছাঁট করার আবেদন জানিয়েছেন সেক্রেটারি জেনারেল। জাতিসংঘের সমস্ত দপ্তরকে বলা হয়েছে জরুরি ভিত্তিতে খরচ কমানোর জন্য। যার মধ্যে রয়েছে নিয়োগ বন্ধ, বৈঠক-সম্মেলন বাতিল, কর্মসূত্রে ভ্রমণে রাশ টানা, শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের ব্যবহার কমানো। এমনকী, সম্ভব হবে চলমান সিঁড়িও ব্যবহার না করতে অনুরোধ করা হয়েছে! গুতেরেজের কথায়, ‘গত কয়েক দশকে এমন সঙ্কট এই প্রথম।’
মূলত সদস্য দেশগুলোর অর্থেই চলে জাতিসংঘ। কে কত অর্থ দেবে, তার নির্দিষ্ট হিসাব নিকাশ আছে। এই ব্যয়ভারের বেশি অংশটাই বহন করতে হয় নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য আমেরিকা, চিন, রাশিয়া, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সকে। এদের মধ্যে সবথেকে বেশি অর্থ দেয় আমেরিকা (২২ শতাংশ)। সেই তুলনায় বাকিদের ভাগ অনেক কম। ভারতের ক্ষেত্রে তা ০.৮৩ শতাংশ। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান বলছে, স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে ৬৫টি দেশ তাদের বকেয়া মেটায়নি! যার অঙ্ক প্রায় ১৩৮ কোটি ডলার। বকেয়ার তালিকাতেও শীর্ষে আমেরিকা।
প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্প অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছেন যে, জাতিসংঘের জন্য অকারণে বিপুল আর্থিক বোঝা বইতে হচ্ছে তার দেশকে। এই বাবদ বাজেট-বরাদ্দও কমিয়ে দিয়েছেন তিনি। এ দিনও গুতেরেজের বক্তব্য সামনে আসার পর তার প্রতিক্রিয়া, ‘শুধু আমেরিকা নয়, সব দেশকেই বকেয়া দিতে বাধ্য করা হোক।’ নয়াদিল্লি অবশ্য তাদের বকেয়া আগেই মিটিয়ে দিয়েছে। ট্রাম্প যাই বলুন না কেন, ওয়াশিংটনও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যত দ্রুত সম্ভব বকেয়া মিটিয়ে দেয়ার। ফলে আশা করা যাচ্ছে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে। পরিস্থিতি দেখে অনেকেই বলছেন, গোটা বিশ্ব তাদের সমস্যা নিয়ে জাতিসংঘের কাছে যায়, কিন্তু জাতিসংঘের যাওয়ার কোনও জায়গা নেই! সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।