মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কয়েক প্রজন্ম ধরে রাখাইনে বসবাস করে আসলেও রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব স্বীকার করে না মিয়ানমার। জাতিসংঘ ও মিয়ানমারের মধ্যে সম্পাদিত সমঝোতা স্মারকেও নাগরিকত্ব প্রসঙ্গ নেই। কাজেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে জাতিসংঘ ও মিয়ানমারের মধ্যে সম্পাদিত সমঝোতা প্রত্যাখ্যান করেছেন রোহিঙ্গা নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, সমঝোতায় তাদের বিষয়টি মাথায়ই রাখা হয়নি এবং এটা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে না। গত বছরের আগস্টে রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলার পর রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। খুন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের মুখে পালিয়ে আসে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা। শরণার্থী শিবিরে মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য হওয়া এসব রোহিঙ্গাকে ফেরাতে জাতিসংঘের সঙ্গে মিয়ানমার চুক্তি স্বাক্ষর করলেও এখনও শুরু হয়নি প্রত্যাবাসন। অনলাইনে সমঝোতা স্মারকের চুক্তিগুলা ফাঁস হওয়ার পর রোহিঙ্গা নেতা ও অধিকারকর্মীরা জানান, শরণার্থীদের মূল বিষয়টিই নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে চুক্তিটি। রোহিঙ্গা বিষয়ক অধিকার কর্মী কো কো লিন বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে এই সমঝোতাটি করা হয়েছে। অথচ অদ্ভুতভাবে কোনও রোহিঙ্গার সঙ্গেই আলোচনা করা হয়নি। সমাঝোতা স্মারকে কোনও নিশ্চয়তা নেই যে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিবে। রোহিঙ্গারা এমন কিছু চায়নি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে লিন বলেন, ‘আমরা অনেকদিন ধরেই মিয়ানমার সরকারের কাছ থেকে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেয়ার নিশ্চয়তা চাচ্ছিলাম। কিন্তু সমাঝোতা স্মারকে এমন কিছুর উল্লেখ না থাকায় আমরা হতাশ। এই দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চুক্তিতে সাফল্য আসবে না। যুক্তরাজ্যভিত্তিক রোহিঙ্গা অধিকারকর্মী তুন খিন বলেন, মিয়ানমার সরকার ও জাতিসংঘের এই সমঝোতার বিষয়ে কোনও রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনা না করার বিষয়টি অনৈতিক। তিনি বলেন, প্রত্যাবাসন চুক্তির বিস্তারিত নিয়ে জানার অধিকার রয়েছে রোহিঙ্গাদের। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া, নাগরিকত্বের নিশ্চয়তা, পুনর্বাসন, তাদের বাড়ি পুনঃনির্মাণ ও ভবিষ্যত সহ খুঁটিনাটি জানতে চাইবেন তারা। কিন্তু তেমনটা হয়নি। ফাঁস হওয়ার পর তারা সমঝোতার শর্তগুলো দেখে খুবই ক্ষুব্ধ। আর এই সমঝোতা উন্মুক্ত না করাতেও ক্ষোভ সঞ্চারিত হয়েছে তাদের মাঝে। রয়টার্স,এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।