মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : উত্তর কোরিয়ার উপর জাতিসংঘ সিকিউরিটি কাউন্সিল আরোপিত নিষেধাজ্ঞা গত বছর লঙ্ঘন করেছে ভারত। মাঝে মাঝে এমনকি সরকারের নিজের নীতির বিরুদ্ধে গিয়ে তারা উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে ২.২ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ধাতব পদার্থ আমদানি করেছে এবং ৫৭৮ হাজার ডলারেরও অধিক মূল্যের অলঙ্কার রফতানি করেছে। নিষেধাজ্ঞা পর্যবেক্ষণকারী জাতিসংঘ মনিটরিং প্যানেল এ তথ্য জানিয়েছে। গত বছরের মার্চে উত্তর কোরিয়ার সাথে আমদানি রফতানি বন্ধ ঘোষণা করে সরকার নোটিশ দেয়ার পরও কিছু আমদানি রফতানি হয়েছে।
কাউন্সিলের বিশেষজ্ঞরা সা¤প্রতিক এক রিপোর্টে বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ভারত গত বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর সময়কালের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে ১.৪ মিলিয়ন ডলারের লোহা ও স্টিল আমদানি করেছে, লোহা ও স্টিলজাত পণ্য আমদানি করেছে ২৩৪ হাজার ডলার মূল্যের। এছাড়া ২৩৩ হাজার ডলারের কপার এবং ৫২৬ হাজার ডলারের জিঙ্ক আমদানি করেছে তারা। অন্যদিকে জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার কাছে ৫৭৮,৯৯৪ ডলার মূল্যের অলঙ্কার রফতানি করেছে ভারত। এগুলোর মধ্যে ৫১৪,৮২৩ ডলার মূল্যের হিরা রয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ৪ সেপ্টেম্বরের পর উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে যা কিছু আমদানি করা হয়েছে, সেগুলোতে জাতিসংঘের প্রস্তাব ২৩৭১-এর অষ্টম অনুচ্ছেদ এবং প্রস্তাব ২৩২১-এর ২৬তম অনুচ্ছেদ লঙ্ঘিত হয়েছে।
এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে যেন, জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো উত্তর কোরিয়া থেকে লোহা এবং কাঁচা লোহা আমদানি না করে।
একই সাথে ২০১৩ সালের এক প্রস্তাবে উত্তর কোরিয়ার কাছে মুল্যবান ও আধা-মূল্যবান পাথর বিক্রির ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার সাথে লেনদেনের বাইরে জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিলের অন্যান্য নিষেধাজ্ঞাগুলো কঠোরভাবে সমর্থন করে এসেছে ভারত। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞার আহŸানও জানিয়েছে তারা। বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদ, এবং তাদের উপর বিধিনিষেধ আরোপের যারা বিরোধীতা করেছে, সেই সব দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে প্রচারণা চালিয়েছে তারা।
গত বছরের মার্চের পরও লোহা আমদানি করেছে ভারত। যদিও মার্চে ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেড ট্রেড উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে লোহা ও কাঁচা লোহা আমদানির উপর বিধিনিষেধ আরোপ করে।
উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে কারা আমদানি করেছে বা কারা তাদের কাছে রফতানি করেছে সে ব্যাপারে বিস্তারিত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়নি। মার্চে ভারত সরকার ঘোষণা দেয়ার পরও যারা আমদানি করেছে, সেই সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কি না, সে ব্যাপারেও কোন তথ্য নেই রিপোর্টে।
জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পর্যবেক্ষণের সাথে জড়িত একটি সূত্র আইএএনএসকে জানিয়েছে যে, আমদানি ও রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য ভারত সরকার তাদের দেয়নি। জাতিসংঘের বাণিজ্য সংক্রান্ত তথ্য এবং যে সব প্রতিষ্ঠান বাণিজ্য সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে, তাদের তথ্যের ভিত্তি করে রিপোর্ট তৈরি করতে হয়েছে।
ভারতের জাতিসংঘ মিশন গত মাসে নেদারল্যান্ডস পার্মানেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ ক্যারেল ভ্যান ওসটেরম – যিনি উত্তর কোরিয়া স্যাঙ্কশান্স কমিটির চেয়ারম্যানও বটে - তার কাছে এক রিপোর্ট পেশ করেছে। এতে উত্তর কোরিয়ার উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের ব্যাপারে নয়াদিল্লী তাদের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।
রিপোর্টে ঘোষণা দেয়া হয়েছে, “ভারতীয় কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করবে যাবে কাউন্সিল ঘোষিত নিষেধাজ্ঞার দিকগুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হয়”।
সূত্র : সাউখ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।