নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : একটা সময় ছিল যখন সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভালো করলেও টেস্ট ক্রিকেটে খূব একটা সুবিধা করে উঠতে পারত না বাংলাদেশ। আর প্রতিপক্ষের নাম যদি হয় অস্ট্রেলিয়া তাহলে টাইগারার তো মাঠেই নামতে ‘সম্মানজনক হারের’ প্রস্তুতি নিয়ে! কিন্তু সময় পাল্টেছে। পাল্টেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটও। সীমিত ওভারের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রাখতে শিখে গেছে বাংলাদেশ। শুধু চোখ রাখতেই শিখিনি, অস্ট্রেলিয়ার মত প্রতাপশালী দলকে হারানোর দৃড় প্রত্যয়ও বুকে ধারন করতে শিখে গেছেন মুমিনুলরা। আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সিরিজকে সামনে রেখে এমন দৃড় প্রত্য শোনা গেছে মুমিনুল হকের মুখে।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ শ্রীলঙ্কায় গিয়েও নিজেদের শততম টেস্ট জয়ের কৃতিত্ব দেখিয়ে এসেছেন মুশফিকরা। এর মাঝখানে নিউজিল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে হারলেও পঞ্চম দিন পর্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করাটাও বাংলাদেশের জন্য প্রপ্তিযোগ। এসব ফলাফলই বলে দেয়, টেস্ট ক্রিকেটেও বাংলাদেশ এখন বদলে যাওয়া একটি দল।
আগামী দুই মাস কোন আন্তর্জাতিক সূচী নেই বাংলাদেশের জন্য। আগস্ট-সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবে টাইগাররা। সেই সিরিজকে সামনে রেখে বাংলাদেশের ‘টেস্ট স্পেশালিস্ট’ হিসেবে খ্যাত টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক বিশ্বাস করেন, দুটি ম্যাচেই জয় পাবে বাংলাদেশ।
যাদের সঙ্গে এখনও টেস্ট খেলার সুযোগ হয়নি সেই অস্ট্রেলিয়াকে বলে-কয়ে হারাবার আত্মবিশ্বাস কীভাবে পান মুমিনুল? সেই ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘টেস্ট দলের ক্রিকেটারদের মানসিকতা বদলায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট হারের পর। ওখানে খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণে একটি মিটিংয়ের পর। সবার মানসিকতায় অনেক পরিবর্তন আসে।
‘পকেট ডিনামাইট’ খ্যাত মিডিরঅর্ডার ব্যাটসম্যান বলেন, ‘এর পেছনে টনিক হিসেবে কাজ করে গলের পরাজয়। ওই একটা হারই সব খেলোয়াড় সিনিয়র-জুনিয়রদের একত্রিত করে। ওই মিটিংটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। মিটিং হওয়াতে সবাই বুঝতে পারে কীভাবে খেলতে হবে। কীভাবে সবাই অবদান রাখতে পারে।’
নিকট অতীত থেকেও অনুপ্ররণার রসদ খুঁজছেন মুমিনুল, ‘নিউজিল্যান্ড ও ভারতের সঙ্গে আমরা লড়াই করেছি। তার আগে ইংল্যান্ডকে হারালাম, শ্রীলঙ্কাকে হারালাম। আগের অবস্থা থেকে আমরা বের হয়ে এসেছি। এখন টেস্ট খেললেই জেতার সুযোগ বেশি। টেস্ট টিম এখন আগের চেয়ে অনেক পরিণত। সবাই সবার খেলাটা বোঝে।’
অবশ্য সা¤প্রতিক কালে মুমিনুলের ব্যাটও সেভাবে হাসছে না। শেষ দুটি টেস্টে বড় রান করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। ফলে বাংলাদেশের শততম টেস্ট ম্যাচটি ড্রেসিংরুম থেকেই দেখতে হয়েছে তাকে। তবে অস্ট্রেলিয়া সিরিজেই রানে ফিরতে চান তিনি, ‘দুটি টেস্টে ইনিংস বড় করতে পারিনি। টেস্টে মনে হয় এই প্রথম খারাপ খেলেছি। চেষ্টা করবো যত তাড়াতাড়ি ওভারকাম করা যায়। সামনে অনেক খেলা ওভারকাম করতেই হবে।’
এদিকে চোট কাটিয়ে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে খেলার ব্যাপারে আশাবাদী রুবেল। বাংলাদেশ দলের এই ডানহাতি ফাস্ট বোলার আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষে ইংল্যান্ড থেকে ফেরার আগে রুমের দরজার সাথে সংঘর্ষে চোখে আঘাত পান। যার ফলে তার চোখের নিচের হাড়ে চির ধরা পড়ে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবির) চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী তাকে এখন একটি অস্ত্রোপচার এর মধ্য দিয়ে যেতে হবে যার। কালই তা সম্পন্ন হওয়ার কথা। এজন্য তাকে প্রায় দেড় মাসের মত মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে।
ফলে আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সিরিজের দলে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ রুবেলের। তবে সুস্থ্য হয়েই দলে ফেরার ব্যাপারে আশাবাদী রুবেল, ‘আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ড সফর দারুণ কেটেছে। এখানে আমার বড় অর্জন দলে নিয়মিত খেলতে পারা। যেমন পারফরম্যান্স চেয়েছিলাম তেমনটা হয়নি। এখন লক্ষ্য একটাই- নিজের পারফরম্যান্সের উন্নতি করা ও দলে জায়গা ধরে রাখা। কিছুটা ইনজুরির শিকার হয়েছি। আশা করি ১০ই জুলাই ক্যাম্পের আগেই মাঠে ফিরতে পারবো।’
তিনি যোগ করেন, ‘আমার সব সময় একটাই লক্ষ্য, দলে যখনই সুযোগ পাবো যেন নিজের সেরাটা দিতে পারি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট খেলবো আমরা। সেখানে লম্বা সময় বল করতে হবে। তাই চেষ্টা করছি নিজেকে ফিট রাখতে। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।’
আগস্টের ২৭ তারিখে মিরপুরে শুরু হবে দু’দলের মধ্যকার প্রথম টেস্ট, দ্বিতীয়টি ৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে। -বিডিক্রিকটাইম
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।