নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অন্যের স্ত্রী থাকা অবস্থায় অবৈধ বিয়ে ও ব্যভিচারের অভিযোগে করা মামলায় ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও বিমানবালা তামিমা সুলতানা তাম্মির বিচার চলবে মর্মে আদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার দায় থেকে অব্যাহতি পাওয়া নাসিরের শাশুড়ি সুমি আক্তারকে বিচারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে না।
ঢাকার ৬ষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মেদের আদালত আসামি ও বাদীপক্ষের পৃথক দুটি রিভিশন খারিজ করে মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এমন আদেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালতের এমন আদেশের ফলে নাসির ও তামিমার বিচার চলতে আর কোনো বাধা নেই।
এর আগে ৩১ জানুয়ারি বাদীপক্ষ ও আসামিপক্ষের আবেদনের শুনানি গ্রহণের পর আদেশের জন্য আজকের তারিখ ধার্য করেছিলেন আদালত।
গত বছর ৯ ফেব্রুয়ারি ক্রিকেটার নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে চার্জগঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন। তবে নাসিরের শাশুড়ি সুমি আক্তারকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
গত বছর ৬ মার্চ মহানগর দায়রা আদালতে নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে চার্জগঠনের আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন করেন তাদের আইনজীবী কাজী নজিব্যুল্লাহ হিরু। এদিকে সুমি আক্তারকে অব্যাহতির আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান।
২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের আট বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তামিমা পেশায় একজন বিমান বালা। পরে তামিমা ও ক্রিকেটার নাসিরের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে।
২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তামিমার স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, রাকিবের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক চলমান অবস্থাতেই তামিমা নাসিরকে বিয়ে করেছেন; যা ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নিজের কাছে নিয়ে গেছেন নাসির। তামিমা ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তার আট বছর বয়সী কন্যা মারাত্মকভাবে মানসিক বিপর্যস্ত হয়েছেন। আসামিদের এমন কার্যকলাপে রাকিবের চরমভাবে মানহানি হয়েছে, যা তার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।