নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অলরাউন্ডার হিসেবে বহু আগে থেকেই নামের পাশে পেয়েছেন বিশ্বসেরার খেতাব। ব্যাট হাতে যতটা পারদর্শী বল হাতে যেন আরো ক্ষুরধার সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ তো বটেই, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাঙ্গণেও এই দুই ক্ষেত্রে ঝুলিতে পুড়েছেন ভুড়ি ভুড়ি রেকর্ড। এবার নতুন আরেকটি অর্জনের মালিক হয়েছেন সাকিব। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে দেশসেরা তারকা ছুঁয়ে ফেলেছেন ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ৩০০ উইকেটের মাইলফলক। সেজন্য ৩৫ বছর বয়সী অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডারের লেগেছে ২২৭ ম্যাচ। গতকাল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে এই কীর্তি গড়েন সাকিব।
নামের পাশে ২৯৬ উইকেট নিয়ে এদিন সাগরিকায় খেলতে নেমেছিলেন সাকিব। বাঁহাতি এই স্পিনার আরও একবার দেখালেন বল হাতে ভেল্কি। একে একে ফেরালেন ইংল্যান্ডের ফিল সল্ট, জেসন রয়, জেমস ভিন্স ও রেহান আহমেদকে। ইংলিশ মেরুদÐ ভেঙে দিয়ে ৪ শিকারে ওয়ানডেতে প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে ৩০০ উইকেটের কীর্তি গড়লেন তিনি। ১৪তম বোলার হিসেবে ওয়ানডেতে ৩০০ উইকেটের ক্লাবে যোগ দিলেন সাকিব। তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে ৩০০ উইকেট ও ৬০০০ হাজার রানের ক্লাবে যোগ দিলেন তিনি। সাকিবের আগে এই কীর্তি গড়েছেন কেবল পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি ও লঙ্কান গ্রেট সানাৎ জয়সুরিয়া।
এদিন পয়া ভেন্যু সাগরিকায় ইংলিশ ওপেনার সল্টকে মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ বানিয়ে এদিন শুরু হয় সাকিবের উইকেট উৎসব। আরেক ওপেনার রয়কে করেন বোল্ড। এরপর বিপজ্জনক হয়ে ওঠার আভাস দেওয়া ভিন্সকে তিনি ফেরান দারুণ এক ডেলিভারিতে। ম্যাচে তার চতুর্থ ও সব মিলিয়ে ওয়ানডেতে ৩০০তম শিকার হন রেহান। অভিষিক্ত এই বোলিং অলরাউন্ডার অফ স্টাম্পের বাইরের বল টেনে মেরেছিলেন। শর্ট মিডউইকেটে অসাধারণ এক নিচু ক্যাচ নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
২০০৬ সালের ৬ আগস্টে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল সাকিবের। ওই ম্যাচেই ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেটের স্বাদ তিনি পেয়েছিলেন। তার বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন এলটন চিগুম্বুরা। ২০১০ সালে সাকিব নেন শততম উইকেট। ডাম্বুলায় এশিয়া কাপের ম্যাচে তাকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে মারতে গিয়ে পাকিস্তানের আসাদ শফিক হয়েছিলেন স্টাম্পড। ২০১৫ সালে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে সাকিবের ২০০তম শিকার ছিলেন হাশিম আমলা। চট্টগ্রামেই টার্নে পরাস্ত হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটার ক্যাচ দিয়েছিলেন মুশফিকের হাতে। প্রায় আট বছরের ব্যবধানে এদিন তিনশ উইকেট প‚র্ণ হয়েছে সাকিবের।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড সাকিব নিজের করে নেন ২০২১ সালে। হারারেতে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে টাইগারদের প্রতিপক্ষ ছিল জিম্বাবুয়ে। টপ এজ হয়ে তাসকিন আহমেদের তালুবন্দি হওয়া ব্রেন্ডন টেইলর ছিলেন সাকিবের ২৭০তম শিকার। ফলে সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে টপকে চ‚ড়ায় পৌঁছে যান তিনি। ২০২০ সালে শেষ ওয়ানডে খেলা মাশরাফি ২১৮ ম্যাচে নিয়েছেন ২৬৯ উইকেট। এই সংস্করণে বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে ৩০০ উইকেট নেওয়া তৃতীয় ক্রিকেটার সাকিব। শ্রীলঙ্কার সাবেক তারকা সনাথ জয়সুরিয়া ৪৪৫ ম্যাচে পেয়েছেন ৩২৩ উইকেট। নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ড্যানিয়েল ভেট্টরি ৩০৫ উইকেট নিয়েছেন ২৯৫ ম্যাচে।
এর আগে ব্যাট হাতে ৭১ বলে ৭৫ রানের ঝড়ো ইনিংসে ক্যারিয়ারে চতুর্থবারের মতো উপহার দিলেন ফিফটি ও আর ৪ উইকেটের ডাবল। ওয়ানডে ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ। সাকিবের ম্যাচটি তামিমের দল জিতেছে ৫০ রানে। তাতে প্রায় ৯ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো দেশের মাটিতে কোনো ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশড হওয়ার লজ্জা থেকে বাঁচল বাংলাদেশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।