পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : কাতারের সঙ্গে তীব্র রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই দোহার সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে এক হাজার দুইশ’ কোটি ডলারের সামরিক চুক্তি করেছে ওয়াশিংটন। চুক্তির আওতায় কাতারে এফ-১৫ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করবে মার্কিন প্রশাসন। বর্তমানে ওয়াশিংটন সফরে রয়েছেন কাতারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খালিদ আল আত্তিয়াহ। গত বুধবার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাট্টিসের সঙ্গে এক বৈঠকে অংশ নেন তিনি। এসময় যুদ্ধবিমান ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তিটি চূড়ান্ত করা হয়। কাতারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ চুক্তিকে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে দু’দেশের দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রæতির বাস্তবায়ন হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন, এ চুক্তি দু’দেশের কৌশলগত ও সহযোগিতামূলক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন মাইলফলক হয়ে থাকবে। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরে গিয়ে সউদী আরবের কাছে ১১ হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির চুক্তি করেছেন। এবার পাশের দেশ কাতারের সঙ্গে যুদ্ধবিমান বিক্রির চুক্তি সই করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। গত ৫ জুন সউদী প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রথম দোহার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা আসে। এরপর এ তালিকায় যুক্ত হয় মিসর, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, লিবিয়া, ইয়েমেন, জর্ডান এবং মাল্লীপ। এছাড়াও কাতারের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়ে রেখেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। কাতারসংশ্লিষ্ট ৫৯ জন ব্যক্তি ও ১২টি সংগঠনের নাম সম্বলিত সন্ত্রাসীদের তালিকা প্রকাশ করেছে সউদী জোট। এদিকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে দোহা প্রশাসন। চলমান সঙ্কট নিরসনে আলোচনায় বসার প্রস্তাব নিয়ে দেশটির পাশে দাঁড়িয়েছে তুরস্ক, রাশিয়া এবং কুয়েত। প্রয়োজনে হোয়াইট হাউজে বৈঠক ডেকে আলোচনায় বসার আহŸান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। প্রসঙ্গত, উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে কাতারে সবচেয়ে বড় মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। বর্তমানে দেশটির আল-উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে অবস্থান করছেন ১১ হাজার মার্কিন সেনা। রয়েছে শতাধিক যুদ্ধ বিমান। স¤প্রতি যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে দোহায় পৌঁছেছে মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ। আল জাজিরা, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।