পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
![img_img-1722052860](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678114576_20.jpg)
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে ৬৫০ কোটি (৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন) ডলার ঋণ পেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তান। তবে ঋণ দেওয়ার আগে কঠিন কিছু শর্ত দিয়েছে ওয়াশিংটনভিত্তিক আর্থিক সংস্থাটি। যার মধ্যে অন্যতম ছিলÑ কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সুদের হার বৃদ্ধি করতে হবে। আইএমএফের ঋণ না পেলে দেশ দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে, এমন শঙ্কা থেকে সুদের হার বাড়ানোর শর্ত মেনে নিয়েছে পাকিস্তান সরকার। পাক সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ২০০ বেসিস পয়েন্টে সুদের নতুন হার ১৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৯ শতাংশে বৃদ্ধি করা হয়েছে। ১৯৯৬ সালের অক্টোবরে একবার সুদের হার নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ। এখন প্রায় ২৫ বছর আগের পুরনো রেকর্ডের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছিল, আইএমএফের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়ালি একটি বৈঠক করেছেন তারা। তখনই তারা জানিয়েছিলেন, সুদের হার ২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। আইএমএফ ঋণ দিতে যেসব শর্ত দিয়েছিল, সেগুলোর প্রায় বেশিরভাগই মেনে নিয়েছে পাকিস্তান সরকার। বিদ্যুৎ খাত নিয়ে যে কয়েকটি ইস্যু রয়েছে সেগুলোও সমাধানের চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। বিষয়টি সুরাহা হয়ে যাওয়ার পরই আইএমএফের সঙ্গে স্টাফ-লেভেল চুক্তি হবে। আরও জানা গেছে, এ বছরের জুন পর্যন্ত পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার সূত্রের বিস্তারিত আইএমএফের কর্মকর্তাদের জানিয়েছে পাকিস্তান। নগদ অর্থের সংকটে ভোগা পাকিস্তান যে কোনোভাবে ঋণ চাইছে। প্রথমে দেশটি আইএমএফের শর্ত মেনে নিতে চায়নি। কিন্তু পরবর্তীতে বাধ্য হয়ে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি ও ভর্তুকি বন্ধ, ট্যাক্সের হার বৃদ্ধিসহ কঠোর সব শর্ত নিয়েছে। আর্থিক সংস্থাটির এসব প্রস্তাব মেনে নেওয়ায় দেশটিতে প্রায় সবকিছুর মূল্য বৃদ্ধি পাবে। যার প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের ওপর। এদিকে চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ দিকে পাকিস্তানে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল এসেছিল। তারা ১০ দিন আলোচনা করে কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি। কিন্তু ওই সময় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় দুই পক্ষের মধ্যে ভার্চ্যুয়ালি আলোচনা হবে। এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।