নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশ্বকাপ ফাইনালে লিওনেল মেসির গোলের সময়ে নিয়মভঙ্গ করেছিল আর্জেন্টিনা শিবির। এই অভিযোগ তুলে মেসির গোল বাতিলের দাবিতে সরব ফ্রান্সের ফুটবল মহল। এহেন পরিস্থিতিতে মুখ খুললেন ফাইনালের রেফারি সিমোন মারসিনিয়াক। সাফ জানিয়ে দিলেন, আর্জেন্টিনা বনাম ফ্রান্সের ম্যাচে তিনি একটি ভুল করেছিলেন। তার এই স্বীকারোক্তির পরে উত্তাল ফুটবল দুনিয়া। অন্যদিকে, ফরসি সমর্থকদের উদ্দেশ্যে একটি পিটিশন সই করছেন আর্জেন্টিনার ফুটবলভক্তরা। প্রায় সাড়ে ছয় লক্ষ মানুষের সই করা এই পিটিশনের দাবি, কান্না বন্ধ করুক ফ্রান্স।
ফাইনালের পরেই একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে নেটদুনিয়ায়। সেখানে দাবি করা হয়, অতিরিক্ত সময়ে মেসি যে গোলটি করেছেন তা বাতিল করা হোক। তার কারণ, ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মেসি যখন গোল লক্ষ্য করে শট মারছেন ওই সময়ে মাঠের মধ্যে ঢুকে পড়েছেন আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা। রিজার্ভ বেঞ্চে থাকা ফুটবলাররা যদি মাঠে উপস্থিত থাকেন, আর ওই সময়ে ওই দল গোল করে দেয়, তাহলে গোলটিকে বাতিল করার কথা লেখা রয়েছে ফিফার নিয়মে। ওই যুক্তিতেই সরব হয়েছেন ফুটবলপ্রেমীরা। কী করে এই বিষয়টি রেফারির নজর এড়িয়ে গেল, ওই অভিযোগও আনা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে প্রথমবার মুখ খুললেন ফাইনালের পোলিশ রেফারি সিমোন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি স্বীকার করেছেন, ফাইনাল খেলাতে গিয়ে তার একটি ভুল হয়েছিল। সেই সাথে এমবাপ্পের গোলের একটি ছবি দেখিয়েছেন তিনি। রেফারির বক্তব্য, 'এই ছবিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, এমবাপ্পের গোলের সময়ও মাঠে ঢুকে পড়েছেন একাধিক ফরাসি ফুটবলার। তাহলে সেটা নিয়ে কেউ মুখ খুলছেন না কেন?' তবে সিমোন মেনে নিয়েছেন, একটা সময়ে ফ্রান্সের আক্রমণ থামিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। 'ওই সময় বিশ্রী ফাউল করেছিল আর্জেন্টিনার মার্কোস আকুনা। তখন ফ্রান্স পুরোদমে আক্রমণ করছিল, কিন্তু আমার মনে হয়েছিল ওই সময়ে খেলা থামিয়ে কার্ড দেখানো উচিৎ। সেটা হয়তো না করলেও হতো। এছাড়া আর কোরো ভুল হয়নি ফাইনালে', স্পষ্ট মত সিমোনের।
বিশ্বকাপ ফাইনালে তীব্র লড়াইয়ের পর দলের হার এখনো হজম করতে পারেননি ফরাসি সমর্থকরা। কার্যত তাঁদের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিয়ে একটি পিটিশন শুরু করলেন আর্জেন্টিনার ফুটবলপ্রেমীরা। ওই পিটিশন প্রকাশিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সাড়ে ছয় লাখ মানুষ সই করে দিয়েছেন।
ভ্যালেন্টিন গোমেজ নামে এক আর্জেন্টিনা ভক্তের বানানো ওই পিটিশনের দাবি, কান্না বন্ধ করুক ফরাসি সমর্থকরা। ভ্যালেন্টিনের দাবি, ফরাসিরা কান্না থামিয়ে বুঝে নিক যে মেসিই শ্রেষ্ঠ, আর এমবাপে তাঁর ছেলের সমান। বিশ্বকাপ শেষ হয়ে ক্লাব ফুটবলের মরসুম আবার শুরু হতে চলেছে। তা সত্ত্বেও মেগা টুর্নামেন্ট নিয়ে বিতর্কের ঝড় থামছে না।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।