পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান ইঙ্গিত দিয়েছেন, তুরস্কের জাতীয় নির্বাচন আগামী মে মাসের ১৪ তারিখ অনুষ্ঠিত হতে পারে। ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কে ৪৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু ও কয়েকটি প্রদেশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পরও নির্বাচন নিয়ে আগের পরিকল্পনাতে অটল থাকছে তার প্রশাসন। বুধবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ খবর জানিয়েছে। বুধবার পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে এরদোগান বলেছেন, ১৪ মে যা প্রয়োজন তা করবে তুরস্ক। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা। গত মাসের ভূমিকম্পের কারণে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। কেউ কেউ বলছেন এই বছর নির্বাচন স্থগিত রাখা হতে পারে। আবার কেউ কেউ বলছেন আগের সূচি অনুসারে ১৭ জুন অনুষ্ঠিত হবে। ভূমিকম্পের আগে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি ও তুর্কির মুদ্রার দরপতনে এরদোগানের জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছিল। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর উদ্ধার কাজে বিলম্বের জন্য এরদোগানের প্রশাসন সমালোচনার মুখে রয়েছে। উদ্ধার অভিযানে সমস্যা থাকার কথা স্বীকার করলেও এরদোগান দাবি করেছেন, রাজনৈতিক স্বার্থে নেতিবাচক প্রচারণা চালানো হয়েছে। ২০ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা এরদোগান আবারও নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় যেতে যান। ছুটির দিন এড়াতে জুনের পরিবর্তে নির্বাচন মে মাসে এগিয়ে এসেছেন। জনমত জরিপ অনুসারে, এটি হবে তার সবচেয়ে বড় নির্বাচনি চ্যালেঞ্জ। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকাগুলোতে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষের বসবাস। এসব অঞ্চলে সফলভাবে নির্বাচন আয়োজন করা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ভূমিকম্পের এক দিন পর তুরস্কের ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশগুলোতে তিন মাসের রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।