১৮ তারিখের ফাইনালের মাধ্যমে পর্দা নামল কাতার বিশ্বকাপের।যেখানে মহাতারকা লিওনেল মেসির বীরত্বে তৃতীয়বারের মতো শিরোপা জিতে ফুটবলে ফের ল্যাটিন আধিপত্য ফেরার ইঙ্গিত দেয় আর্জেন্টিনা।প্রায় এক মাসের এই মহাযুদ্ধের আয়োজনে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়ে আয়োজক দেশ কাতার এখন সবার প্রশংসা কুড়িয়েছে আয়োজক দেশ কাতার।
আসর শুরুর আগে ইউরোপা দেশগুলোর ক্রমাগত সমালোচনার জবাব আরব দেশটি দিয়েছে অনেকদিন মনে রাখার মত এক বিশ্বকাপ আয়োজনে।নতুন নতুন স্টেডিয়াম,হোটেল,অবকাঠামো এমনকি জন্য নতুন একটি শহর তৈরি করে ফেলেছিল কাতার।শুধু মাঠের বাইরে নয়,মাঠের খেলাতেও আধুনিক সব প্রযুক্তির ব্যবহারে কাতার বিশ্বকাপ হয়ে উঠেছিল অনন্য।কাতারের সামগ্রিক আয়োজনে মুগ্ধ ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো তো ফাইনালের পর বলেই বসলেন,'এটাই ইতিহাসের সেরা বিশ্বকাপের আসর।'
কাতার বিশ্বকাপ ছিল মেধা,প্রযুক্তি,পরিশ্রম আর আন্তরিকতার এক অপূর্ব মিশেল।সততা আর একাগ্রতা সব প্রতিকূলতা পেছনে ফেলে অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব সেটি কাতার দেখিয়ে দিয়েছে।এবারের বিশ্বকাপে অনেক কিছুই প্রথমবারের মতো দেখেছে ফুটবল বিশ্ব।
* প্রথমবারের মতো দর্শকরা একই দিনে একাধিক ফুটবল ম্যাচ মাঠে বসে উপভোগ পেরেছেন।
* প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে বহনযোগ্য স্টেডিয়াম(স্টেডিয়াম-৯৭৪) ব্যবহার করেছে কাতার। যেটি বিশ্বকাপের শেষে অনুন্নত কোন দেশকে দিয়ে দেওয়ার ঘোষনা দেয় দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।
*কাতার বিশ্বকাপের অনিন্দ্য সুন্দর মাস্কট লা'ইবক ছিল কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন-যেটি দর্শকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে পারত।
* প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে কোন ম্যাচ সম্পূর্ণ মহিলা রেফারির মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
*প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে সেমি-অটোমেটেড অফসাইড পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।ফলে অফসাইডের মত সূক্ষ্ম ও জটিল এই সিদ্ধান্ত নিতে কোন ধরনের বেগ পেতে হয়নি রেফারিদের।
*প্রথমবারের মত এক বিশ্বকাপ থেকেই ফিফা রেকর্ড সাত বিলিয়ন ডলায় আয় করেছে।
আরব বিশ্বে প্রথমবারের মত আয়োজিত এবারের বিশ্বকাপ সবদিক দিয়েই ছিল 'সুপারহিট'!