নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টিম ডেভিডকে বলা হয় আধুনিক ক্রিকেটার, যারা জাতীয় দলের চাইতেও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন এবং টি-টোয়েন্টি লিগে নজর কেড়ে জাতীয় দলে জায়গা পাকা করেন। অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলে খেলার আগেই টিম ডেভিড তারকা বনে গিয়েছিলেন।
সিঙ্গাপুরের হয়ে অল্প কদিন জাতীয় দলে খেলেছেন কিন্তু তিনি পরিচিতি পেয়েছেন বিশ্বব্যাপী টি-টোয়েন্টি লিগগুলোতে।
২০২২ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের নিলামে টিম ডেভিডের দাম উঠেছিল সোয়া আট কোটি রুপি।
এর কারণ এই নিলামের আগের বছর টিম ডেভিড পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি লিগগুলোতে নিজের সামর্থ্য দেখিয়েছেন।
যে কারণে কোনো জাতীয় দল, এমনকি রাজ্য দলের সাথে চুক্তিবদ্ধ না হয়েও টিম ডেভিডকে নিয়ে এতো মাতামাতি ছিল তখন। এমনকি তখন টিম ডেভিড কোনো প্রথম শ্রেণির ম্যাচও খেলেননি।
টিম ডেভিড চেষ্টা করেছিলেন ২০১৮-১৯ মৌসুমে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলার কিন্তু মূল দলে শেষ পর্যন্ত জায়গা করে নিতে পারেননি। তখন তিনি সিঙ্গাপুরের হয়ে ক্রিকেট খেলা শুরু করেন।
২০১৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বেও খেলেছিলেন তিনি।
সে বছর টিম ডেভিড বিক্ষিপ্তভাবে কিছু ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ বিগ ব্যাশে। তিনি নিয়মিত হতে শুরু করেন ২০২০-২১ মৌসুমে।
জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বোলিং কোচ অ্যাডাম গ্রিফিথ ২০২০-২১ মৌসুমে টিম ডেভিডকে বিগ ব্যাশ দল হোবার্ট হারিকেনে নিয়ে যান।
বিগ ব্যাশে ভালো করার পর, তিনি পাকিস্তান সুপার লিগের দল লাহোর কালান্দার্সে ডাক পান। এরপর আর টিম ডেভিডকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একে একে ইংল্যান্ডের ক্লাব সারে, নিউজিল্যান্ডের সাউদার্ন ব্রেভ, ক্যারিবিয়ান সেন্ট লুসিয়া কিংস, আইপিএলের রয়াল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু ও পিএসএলে আবারো মুলতানের হয়ে সুযোগ পান টিম ডেভিড।
এরপর ২০২২ সালের আইপিএলে ৮৬ বল মাঠে খেলার সুযোগ পান, তার মধ্যে ১৬টিতেই তিনি ছক্কা হাঁকান।
এক আসর ঠিকমতো খেলেই টুর্নামেন্টের সেরা স্ট্রাইক রেটের রেকর্ড তিনি নিজের নামে করে নিয়েছেন।
ছয় ফুট পাঁচ ইঞ্চি উচ্চতার টিম ডেভিডকে সব পর্যায়ের পর্যবেক্ষকরাই এখন পছন্দের তালিকায় রাখছেন।
অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ জয়ী সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের মতে, টিম ডেভিড হতে পারেন ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বড় তারকা।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচক প্যানেলের প্রধান জর্জ বেইলি মনে করেন, টিম ডেভিডের যাত্রাটা আলাদা।
তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে টিম ডেভিডকে নিয়ে আমরা খুশি এবং উচ্ছ্বসিত। তবে তার যাত্রাটা অন্যরকম। ক্রিকেটারদের জন্য একটা ভিত ছাড়া কেবল ফ্র্যাঞ্চাইজ ক্রিকেটার হওয়াটা কঠিন, কোনো সাপোর্টও থাকে না অনেক সময়। কিন্তু এই ধরনের ক্রিকেটার সামনের দিনগুলোতে আপনারা আরো দেখবেন।
টিম ডেভিডকে নিয়ে আশাবাদী অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চও, আপনি এই ধরনের ক্রিকেটার খুব বেশি দেখবেন না। ডেভিড ৫-৬-৭ সব পজিশনে ব্যাট করতে পারে। টিম ডেভিডকে সামগ্রিক প্যাকেজ মনে করেন ফিঞ্চ।
গত দুই বছরে টিম ডেভিড যেমন ফর্মে ছিল এটা সত্যিই দুর্দান্ত এবং সে যত দিন যাচ্ছে আরো পরিণত হচ্ছে।
চলতি বছর অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্রথমবারের মতো মাঠে নেমেছেন, মোহালিতে ভারতের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেই টিম ডেভিড ২৭ বলে ৫৪ রানের একটা ইনিংস খেলেছেন।
টিম ডেভিডের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে তার স্ট্রাইক রেট।
চলতি বছর ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মিলিয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক পাঁচজনের তালিকায় আছেন টিম ডেভিড, এই পাঁচজনের মধ্যে একমাত্র টিম ডেভিডের স্ট্রাইক রেট ১৭০ এর বেশি।
মোহাম্মদ রিজওয়ান, রান ১৫২৩, স্ট্রাইক রেট- ১৩০
অ্যালেক্স হেইলস, রান- ১৪৮৫, স্ট্রাইক রেট- ১৫৯
শান মাসুদ, রান- ১৪৩৫, স্ট্রাইক রেট- ১৩৫
টিম ডেভিড, রান ১২৮৭, স্ট্রাইক রেট- ১৭৪
জস বাটলার, রান- ১২৬৩, স্ট্রাইক রেট- ১৫৩
বিভিন্ন লিগে টিম ডেভিডের স্ট্রাইক রেট
সিঙ্গাপুর- ১৫৯
অস্ট্রেলিয়া- ১৭৩
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ- ২১০
বিগ ব্যাশ- ১৫৩
পাকিস্তান সুপার লিগ- ১৮২
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ- ১৪৪
ইংল্যান্ড ব্ল্যাস্ট টি-টোয়েন্টি- ১৭০
দি হান্ড্রেড- ১৫৭
উইজডেন ইন্ডিয়ার হেড অফ কনটেন্ট- অভিষেক মুখার্জীর মতে, টিম ডেভিড এতো কন্ডিশন নিয়ে ভাবেন না, বল পেলেই তিনি পেটাতে পছন্দ করেন। সূত্র : বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।