নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে যখন বড় পুঁজির প্রতিশ্রুতি দেখাচ্ছিল স্কটল্যান্ড, তখনই প্রশ্নটা আসছিল। ক্রিকেট বিশ্ব কি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দিনেও অঘটনের সাক্ষী হতে যাচ্ছে? প্রথমদিন একবারের চ্যাম্পিয়ন ও তিনবারের রানার্সআপ শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছিল নামিবিয়া। আর হোবার্টে গতকাল বিশ্বকাপের দ্বিতীয় অঘটনটির জন্ম দিল স্কটল্যান্ড। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দুবারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৪২ রানে হারিয়েছে স্কটিশরা। অথচ সর্বশেষ বিশ্বকাপের পর কেবল দুটি টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা ছিল রিচার্ড বেরিংটনের দলের। এটুকুই যথেষ্ঠ ছিল তাদের বৈশ্বিক আসরে এসে জ্বলে উঠার জন্য।
টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে স্কটল্যান্ডের দুই ওপেনার জর্জ মানসি ও মাইকেল জোন্স পাওয়ার প্লেতে এনে দিলেন কোন উইকেট না হারিয়ে ৫৪ রান। এরমাঝে বৃষ্টির জন্য কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক অধিনায়ক জেসন হোল্ডার তার প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই ফেরান জোন্সকে। পরের ওভারে এসে তুলে নেন ম্যাথু ক্রসকে। আলজারি জোসেফও নিয়ন্ত্রিত বলিংইয়ের মাধ্যমে তুলে নিলেন দুই উইকেট। ফলে স্কটল্যান্ডের রান তোলার গতিতে অল্প সময়ের জন্য ছেদ পড়ে। তবে একপ্রান্তে অবিচল ছিলেন ওপেনার মানসি। এই বাঁহাতি ব্যাটারের ৫৩ বলে হার না মানা ৬৬ রানের ইনিংসে ভর করে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬০ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় স্কটল্যান্ড। মানসি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের অষ্টম অর্ধশতকের দেখা পান ৫৩ বলে গিয়ে। ক্যারিবিয়ানদের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন হোল্ডার ও জোসেফ। ওডেন স্মিথের শিকার ১ উইকেট।
জয়ের জন্য ১৬১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে তৃতীয় ওভারেই দারুণ খেলতে থাকা কাইল মেয়ার্সকে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবিয়ানদের দলীয় রান তখন ২০। সবকটি রানই এসেছিল ১৩ বল খেলা মেয়ার্সের ব্যাট থেকে। প্রথম উইকেটের পতনের পরও আক্রমণাত্বক থাকার চেষ্টা করেন এভিন লুইস ও ব্র্যান্ডন কিং। তবে পাওয়ার-প্লে শেষ হবার ১ বল আগে, দুজনের ২৩ রানের জুটি ভাঙে লুইস সাজঘরে ফিরলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান তখন ৫৪। এরপরই বিপত্তি। তাসের ঘরের মত ভাঙতে থাকে ক্যারিবীয়ানদের ব্যাটিং লাইন-আপ। ২১ রানের মধ্যে পরের ৬ উইকেট হারিয় তার। আকিল হোসেন ১ রান করে, অষ্টম ব্যাটার হিসেবে রান আউট হয়ে ফেরার সময়, দলের সংগ্রহ ৮ উইকেটের বিনিময়ে ৭৯। এরপর অবশ্য ওডিন স্মিথকে নিয়ে স্ত্রোতের বিপরীতে লড়াই করার চেষ্টা করেন হোল্ডার। তবে তাতে কেবল হারের ব্যবধান কমে। স্মিথ আউট হলে ভাঙ্গে ২৩ রানের এই জুটি। ১৮.৩ ওভারে ৩৩ বলে ৩৮ করা হোল্ডার আউট হলে, ১১৮ রানেই শেষ হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। স্কটল্যান্ডের হয়ে মার্ক ওয়াট তিনটি এবং দুটি করে উইকেট নিয়েছেন হোয়াইল ও মাইকেল লিস্ক। ম্যাচ সেরার পুরষ্কার জেতেন স্কটিশ ওপেনার মানসি।
ম্যাচ শেষে অভাবনীয় জয়ের আনন্দে স্কটল্যান্ড অধিনায়ক রিচার্ড বেরিংটন বলেন, এই জয় তাদের জন্য অনেক বড় কিছু, ‘এই জয় আমাদের জন্য বিশেষ কিছু। এটি আমাদের আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। তবে এর পেছনে আছে অনেক পরিশ্রম। যত টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার ইচ্ছা আমাদের ছিল, সে পরিমাণ আমরা পাইনি। কিন্তু আমরা ওয়ানডে ক্রিকেট খেলেছি। আমরা দারুণ সূচনা পেয়েছিলাম। বিশেষ করে মানসি দ্রুত রান তুলছিল। এরপর আমাদের বোলাররা ভালো বল করেছে। মার্ক ওয়াট মূল্যবান উইকেট গুলো পেয়েছে।’
আজকের খেলা
নামিবিয়া-নেদারল্যান্ডস, সকাল ১০টা
শ্রীলঙ্কা-আরব আমিরাত, দুপুর ২টা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।