নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এশিয়া কাপে ভালোভাবে টিকে থাকতে হলে জিততেই হতো ভারতকে। অন্যদিকে জয় পেলে ফাইনালে এক পা দেওয়া হবে শ্রীলঙ্কার। এমন ম্যাচে আরও একবার দলগত পারফরম্যান্সের অসাধারণ নৈপুণ্য দেখালো লঙ্কানরা। ভারতকে বিদায়ের শঙ্কায় ফেলে দিয়ে দুর্দান্ত এক জয় তুলে নিয়েছে দাসুন শানাকার দল। গতকাল দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের ম্যাচে ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৭৩ রান করে ভারত। জবাবে ১ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছায় লঙ্কানরা।
ফাইনালে উঠতে হলে এখন অন্য ম্যাচগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে ভারতকে। একই সঙ্গে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ তো জিততে হবেই। তবে আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাকিস্তান জিতলে তাদের সঙ্গে ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে শ্রীলঙ্কারও। সেক্ষেত্রে শেষ দুটি ম্যাচ হবে নিছক আনুষ্ঠানিকতার। অথচ এই শ্রীলঙ্কা বিদায় নিতে পারতো বাংলাদেশের বিপক্ষেই। ম্যাচের বেশির ভাগ অংশ এগিয়ে থেকেও হার মানতে হয় টাইগারদের। মূলত মাঝের দিকে বাজে বোলিংয়ের কারণে হারে টাইগাররা। আর তখন থেকেই যেন উজ্জীবিত লঙ্কানরা। সে ধারায় এখন ফাইনালের পথে দলটি।
দুবাইয়ে বারবার রং বদলানো ম্যাচে জিততে ১২ বলে ২১ রান দরকার ছিল শ্রীলঙ্কার। কিন্তু ভুবনেশ্বর কুমারের করা ইনিংসের ১৯তম ওভারটা লঙ্কানদের কাজটা সহজ করে দিল একেবারে। দুই ওয়াইডের সঙ্গে দুই চারসহ ওই ওভার থেকেই ১৪ রান নিলেন শানাকা ও ভানুকা রাজাপক্ষে। সমীকরণ হয়ে গেলে ৬ বলে ৭ রানের। এরপর আর এই ম্যাচ শ্রীলঙ্কা হারে নাকি! অর্শদীপ সিংয়ের করা শেষ ওভারেও অবশ্য নাটক কম হয়নি। পঞ্চাশোর্ধ জুটিতে ক্রিজে দুই সেট ব্যাটসম্যান। সেই সমীকরণ দাঁড়াল ২ বলে ২ রানে। আর্শদ্বীপের পঞ্চম বল মিস করে রানের জন্য ছুটলেন শানাকা। কিপার বল ধরে ভাঙতে পারলেন না স্টাম্প। বোলারও পারলেন না নন স্টাইক প্রান্তের স্টাম্পে বল লাগাতে। ২ রান নিয়ে দুই ব্যাটসম্যান মেতে উঠলেন উৎসবে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৩ রান তুলতেই ভারত ২ উইকেট হারালেও অধিনায়ক রোহিত ছিলেন রুদ্রমূর্তিতে। পাওয়ারপ্লের সুবিধা নিয়েছেনই, মাঝের ওভারেও ব্যাট চালিয়ে গেছেন একই গতিতে। ৪১ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৭২ রানের ইনিংস খেলে রোহিত আউট হলেও বাকিদের জন্য চালিয়ে খেলার মঞ্চটা তৈরি করে দিয়ে যান তিনি। তবে তার পরে ব্যাটিংয়ে নামা সতীর্থরা সেই সুযোগ খুব ভালোভাবে নিতে পারেননি। ঝড় তোলার চেষ্টা করেছেন কেউ কেউ, কিন্তু ইনিংস বড় হয়নি কারোরই। না হলে ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেটে ১৭৩ না হয়ে ভারতের স্কোরটা আরও বড়ই হতে পারত।
এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের এই আসরে সফলভাবে রান তাড়াকে যেন অন্য পর্যায়ে নিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা। এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচে তারা জিতল ১৭০ রানের বেশি তাড়া করে। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৮৩ ও সুপার ফোরে আফগানিস্তানের ১৭৫ রান তাড়ায় জিতেছিল লঙ্কানরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।