নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চ্যালেঞ্জিং রান তাড়ায় এক প্রান্ত আগলে দলকে টানলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। চারে প্রমোশন পেয়ে ফাটকা কাজে লাগিয়ে ঝড় তুললেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। শেষ দিকে জীবন পাওয়া আসিফ আলি খেললেন কার্যকর ইনিংস। আর্শ্বদীপ সিংয়ের শেষ ওভারেও হলো নাটকীয়তা। তবে সব পার করে রোমাঞ্চকর জয় পেল বাবর আজমের দল। গতকাল দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। আগে ব্যাটিং পেয়ে ভারত করেছিল ১৮১ রান। ১ বল আগে ৫ উইকেট হাতে রেখেই ওই রান পেরিয়ে যান রিজওয়ানরা। দলকে জেতাতে ৫১ বলে ৭১ করে বড় অবদান রিজওয়ানের। তবে মাত্র ২০ বলে ৪২ করে মোড় ঘোরানোর নায়ক নাওয়াজ। আর্শ্বদীপের হাতে জীবন পেয়ে আসিফ আলির ৮ বলে ১৬ রানের ইনিংসও তাদের জয়ে রাখল বড় ভূমিকা। গ্রুপ পর্বে হারলেও এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ভারতকে হারিয়ে মধুর প্রতিশোধ নেওয়ার পাশাপাশি ফাইনালের পথে এগিয়ে গেল তারা।
তবে এতটাও সহজ ছিল না পাকিস্তানের জয়ের পথটা। পাকিস্তানের জিততে শেষ ৩ ওভারে দরকার ছিল ৩৫ রান। রবি বিষ্ণুইর ওভারে হলো নাটকীয়তা। আসিফের বিপক্ষে কট বিহাইন্ডের জোরালো আবেদন নাকচ হলে রিভিউ নিয়ে ব্যর্থ হয় ভারত। পরের বলেই সহজ ক্যাচ তুলে দেন আসিফ। কিন্তু আর্শ্বদ্বীপ সিং শর্ট থার্ড ম্যানে ফেলে দেন লোপ্পা ক্যাচ। ওই ওভার থেকে আসে ৮ রান। শেষ দুই ওভারে লাগত ২৬ রান। সেটা সহজ হয়ে যায় আসিফের ব্যাটে। ভুবনেশ্বর কুমারের ওভারে এক ছক্কা, দুই চার মেরে সমীকরণ সহজ করে দেন তিনি। শেষ ৬ বলে ৭ রান হলেই চলত। তরুণ আর্শ্বদ্বীপ প্রথম দুই বলে ৫ রান দেওয়ার তৃতীয় বল করেন ডট, চতুর্থ বলে আউট করে দেন আসিফকে। ২ বলে ২ রান আর আটকাতে পারেননি। পঞ্চম বলটি ছিল ফুলটস। ইফতেখার আহমেদ সোজা ব্যাটে খেলে নিয়ে নেন এক রান। জিতে যায় পাকিস্তান।
তবে বড় রান তাড়ায় পাকিস্তানের শুরুটা যেমন হওয়া উচিত ছিল মোটেও তেমন হয়নি। এদিনও পাওয়ারপ্লেতে খুইয়েছে বাবরকে। প্রথম ম্যাচে এই ভারতের বিপক্ষে করেছিলেন ১০ রান, হংকংয়ের বিপক্ষে পরের ম্যাচেও করেছেন মোটে ৯। এদিন ফিরেছেন ১৪ রানে। তার ফেরার পরও অবশ্য রানের গতি একটু বাড়িয়েছে পাকিস্তান। সেটা হয়েছে পাওয়ারপ্লের শেষ দুই ওভারে। পঞ্চম ওভারে হার্দিক পান্ডিয়াকে তিন চার মেরে রিজওয়ান আর ফখর জামান তুলেছেন ১৪ রান। শেষ ওভারে আরশদীপ সিংকে রিজওয়ান হাঁকালেন এক ছক্কা। তাতে রানের গতি একটু বেড়েছে দলটির। পাওয়ারপ্লের শেষে স্কোরবোর্ডে ওঠে ৪৪ রান।
ফখর জামানও দিতে পারেননি আস্থার প্রতিদান। ১৫ রান করে বিদায় নেন এই টপঅর্ডার। ৮.৪ ওভারে পাকিস্তানের দলীয় রান তখন ২ উইকেটে ৬৩। এরপর মোহাম্মদ নেওয়াজকে সাথে নিয়ে ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলেন রিজওয়ান। ৩৭ বলে চার বাউন্ডারি দুই ছক্কায় হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই ওপেনার। তৃতীয় উইকেট নওয়াজকে নিয়ে ৪১ বলে গড়েন ৭৩ রানের শক্ত জুটি। তবে খুব বেশীদূর টেনে নিতে পারেননি এই হার্ড হিটার, বিদায় নেন ভুবনেশ^রের বলে। তার ২০ বলে ৪২ রানের ঝড়ো ইনিংসটি ৬টি চার ও দুটি ছক্কায় সাজানো। সতীর্থকে হারিয়ে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রিজওয়ানও। ৫১ বলে ছয়টি বাউন্ডারি ও দুটি ছক্কায় ৭১ রান করেন পাকিস্তানের এই ওপেনার। ৪ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়া পাকিস্তানের দলীয় রান তখন ১৬.৫ ওভারে ১৪৭ রান। এরপর আসিফ আলীর ৮ বলে ১৬ রানের ছোট্ট ক্যামিও অনেকটা এগিয়ে দেয় পাকিস্তানকে। সেই রোমাঞ্চ ধরে রেখে বাকি কাজটা সারেন খুশদিল শাহ (১১ বলে ১৪) ও ইফতেখার (২)।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বিরাট কোহলির ৬০ রানে ভর করে ৭ উইকেটে ২০ ওভারে ১৮১ রান তোলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত। কোহলি ছাড়া ভারতের পক্ষে লোকেশ রাহুল ২৮ ও রহিত শর্মা ২৮ রান করে বিদায় নেন। আর কোন ভারতীয় পাকিস্তানের বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।