Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

হাসিমুখে থাকার ফলাফল কী?

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ মার্চ, ২০২২, ১২:৩০ পিএম | আপডেট : ১২:৫২ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২২

'একইভাবে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ যখন মুখে হাসি ঝুলিয়ে রাখেন তখন তাকে অনেক বেশি সহজগম্য মানুষ বলে বোধ হয়। সেক্ষেত্রে তার সাথে অন্যেরা নিজের থেকে এগিয়ে এসে কথা বলতেই পারেন। তাছাড়া মানুষ সামাজিক জীব। ফলে যত বেশি মানুষের সাথে কথা হবে ও যোগাযোগ বাড়বে, তত বেশি একজন ব্যক্তি মানসিকভাবে ভালো থাকবেন। তার আনন্দের সাথে কাজ করার প্রবণতা বাড়বে। তাই অফিসেও একজন কর্মী অন্যদের সাথে হেসে কথা বললে তার প্রতি বাকি কর্মীদের মনোভাবও ইতিবাচক হবে। তিনি অনেক বেশি গ্রহণীয় হয়ে উঠবেন। সেক্ষেত্রে তার উন্নতি হতেই পারে। তাছাড়া হাসতে পারলে আমাদের শরীরও অনেকাংশে রোগমুক্ত থাকে। তাই চেষ্টা করুন প্রতিদিন হাসার।’

আমাদের মধ্যে কিছু কিছু ব্যক্তি থাকেন যারা সবসময় মুখে হাসি ধরে রাখেন। শত সমস্যা, ঝামেলাতেও তাদের ঠোঁটের কোণে হাসিটি লেগেই থাকে। এভাবে হাসিমুখে থাকার ফলাফল কী, তা জানলে অবাক হয়ে যাবেন।

আমরা হাসতে শুরু করলে শরীরে এন্ডোর্ফিন নামে একটি বিশেষ হর্মোন বের হয়। হর্মোনটি আমাদের মেজাজ ভালো রাখে। ফলে আমরা আনন্দ অনুভব করি। এছাড়া মুখে সবসময় হাসি ধরে রাখলে শরীরে ডোপামিন, সেরেটোনিন হর্মোনও বের হয়। শরীরে এই ধরনের হর্মোনের খুবই ইতিবাচক প্রভাব আছে। প্রথমত উদ্বেগ কমে যায়। কমে রক্তচাপ। শারীরিক নানা বেদনা বোধ হ্রাস পায়। অবসাদও দূরে থাকে। মনে সবসময় একটা খুশি খুশি ভাব বিরাজ করে যা অন্যদের চোখ এড়ায় না।

মুখে হাসি ঝুলিয়ে রাখার আরো নানা সুবিধা রয়েছে। দেখা যাক সেগুলো কী-

* অফিসে উন্নতি : বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, যে কর্মীর মুখে সর্বদা হাসি থাকে, ওই কর্মীর সৃজনশীলতার সাথে উৎপাদনশীলতাও বাড়ে। এমনকি দ্রুত পদোন্নতিও হয়। তাছাড়া প্রবল চাপ ও চিন্তার সময়ে হাসতে পারলে তা স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করে।

* সম্পর্কের বাঁধন : একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, সঙ্গী ও সঙ্গিনীরা একে অপরের দিকে তাকিয়ে হাসতে হাসতে বেশি সময় কাটালে তাদের সম্পর্ক আরো দৃঢ় হয়।

* হাসি ব্যক্তিত্ব বাড়ায়। হাসিমুখের ব্যক্তি অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি আকর্ষক হন।

* যেকোনো ধরনের বিবাদ এড়াতেও সাহায্য করে মুখের বন্ধুত্বপূর্ণ হাসি।

প্রশ্ন হলো সত্যিই কি এমন হয়। বিশিষ্ট সাইকিয়াট্রিস্ট ডা. জয়রঞ্জন রাম বলেন, ‘হাসি সম্পূর্ণভাবেই নন ভার্বাল কমিউনিকেশন। সোজা কথায় শারীরিক ভাষা। অন্যেরা যখন গোমড়ামুখে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তখন একজন ব্যক্তির মুখে হাসি থাকলে নিশ্চিতভাবে তিনি অন্যদের থেকে ভিন্ন হয়ে যান। খেয়াল করলে দেখবেন, বাচ্চারা কিন্তু অকারণেই খিলখিল করে হাসে। মুখে মিষ্টি হাসি ঝুলে থাকে বলেই তাকে কোলে তুলে নিতে ইচ্ছে করে বা তার সাথে ভাব করার ইচ্ছে জাগে।' সূত্র : বর্তমান



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হাসি

২৯ এপ্রিল, ২০২২
১৮ জানুয়ারি, ২০২১
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ