রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
আল আমিন মন্ডল, গাবতলী (বগুড়া) থেকে
বর্ষার আগমনে যেন কদম ফুলের হাসি ফুটেছে। প্রকৃতি সাজে ভিন্নরূপে। তবুও চিরচেনা অপরূপ সুন্দরের অধিকারী বনফুল কদম। এ বর্ষায় কদম ফুল ফুটেছে বগুড়াসহ উপজেলার গ্রামাঞ্চল এলাকায়। আর সেই চিরচেনা কদম ফুল এখন হারিয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি ধোঁয়া আষাঢের বাতাসে কদম ফুলের ঘ্রাণ যেন স্বপ্নের রাজ্যে দোলা খাচ্ছে। গ্রাম-বাংলার প্রকৃতি আর বৃষ্টির প্রতিটি রিমঝিম ফোঁটা যেন সবাইকে সম্মোহিত করছে। গ্রামাঞ্চলের বর্ষার আগমন বার্তা কদম ফুল বগুড়া শহর কিংবা গ্রাম থেকে মফঃস্বল এলাকায় যেন আপন মহিমায় আগমন ঘটেছে। গাছে গাছে ফুটেছে কদম ফুল। একটি দুর্লভ ফুলের নাম কদম। তবুও কদম গাছ এখন কম চোখে পড়ছে। এক সময় ছিল বর্ষার কদম ফুলকে নিয়ে গ্রাম-বাংলায় চর্চা হতো কবিতা ও ছড়া-গান সাহিত্যে ও উপন্যাস। শিল্প-সাহিত্যের ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে কদম ফুলের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। কদম ফুল আমাদের বর্ষা ও আষাঢ মাসের দূত। প্রকৃতির বুকে যেন সৌরভ বাতাসে দুলছে কদম ফুল। জৈষ্ঠ্যের শেষে আষাঢের শুরুতে কদম ফুল ফোটে। বগুড়া জেলাসহ গাবতলীর উপজেলায় যেন কদম ফুল হাসছে। গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে। কদম ফুলের মৌ মৌ গন্ধে যেন দৃষ্টি কাড়ছে সবার। বর্ষার অনুভূতি ও অপরূপ সৌন্দর্যের দাবিদার কদম ফুল। তবুও আমরা যেন বাড়ির উঠানে একটি করে কদম গাছের সৌরভ পেতে চাই। কিন্তু বাড়ির আঙ্গিনায়, রাস্তায়, দু’পার্শ্বে ও পুকুরপাড়ে কদম গাছ ছিল চোখে পড়ার মতো। আষাঢের কদম গাছ ফুলে ফুলে ভরে থাকত। কদম ফুল সৌন্দর্যে পিপাসুদের তৃপ্তি দিত। তরুণ-তরুণীরা কদম ফুল তাদের প্রিয়জনকে উপহার দিত। মেয়েরা পরতো খোঁপায়। খেলায় মেতে উঠতো শিশুরাও। ফলে কদম ফুলের গাছ ঘরবাড়ি ও আসবাবপত্রে কাজে ব্যবহার হতো। ম্যাচ ফ্যাক্টরিতে কদম গাছের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। কদম গাছ কমে যাওয়ায় এখন মানুষ ঐতিহ্য ভুলতে বসেছে। সবাই এখন বাড়ির আঙ্গিনায় ফলমূল ও ফুলের গাছ লাগাচ্ছে। ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে কদম ফুলের গাছ। গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহা. আহসান হাবিব জানান, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সংস্কৃতি ঐতিহ্য রক্ষায় কদম ফুলের অবদান রয়েছে। কদম ফুল সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে ফলে সবার মন খুশি থাকে। গাবতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আ. জা. ম. আহসান শহীদ সরকার জানান, আমরা সবকিছু ভুলে গিয়ে বাড়ির আঙ্গিনায় ফুল ও বনজ বৃক্ষের চারা লাগানোর পাশাপাশি সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য কদম গাছ লাগানো দরকার। এমনকি বিভিন্ন প্রজাতির পাখি কদম ফুল খায়। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সোহরাব হোসেন জানান, ব্যক্তিপর্যায়ে ছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার ও সরকারি-বেসরকারি জায়গায় কদম গাছ লাগানো প্রয়োজন। তাহলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। উপজেলা উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জুলফিকার আলী হায়দার জানান, সৌন্দর্যেও মন ভালো রাখতে হলে কদম ফুলের বিকল্প নেই। এবর্ষায় আমাদের সবাইকে একপক্ষে ১টি করে কদম ফুলের গাছ লাগানো প্রয়োজন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।