Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নর্দাম্পটনের স্মৃতি ফিরল হ্যামিল্টনে

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ মার্চ, ২০২২, ১২:০১ এএম

ক্রিকেটে নারীদের জাতীয় দল তখন ছিল না। থাকার কথাও নয়। বাংলাদেশের ক্রিকেটেরই যে তখন হাাঁটি হাঁটি পা পা অবস্থা। ২৩ বছর আগে দেশের মানুষের অনেক আনন্দ আর গৌরবের উপলক্ষ হয়ে আমিনুল ইসলাম, আকরাম খান, মিনহাজুল আবেদীনরা গেলেন প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে। তৃতীয় ম্যাচেই বাজিমাত। স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশ পেয়ে গেল বিশ্বকাপে প্রথম জয়। লক্ষ্য পূরণের আনন্দের মধ্যেই বড় গৌরব। শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকেও হারায় বাংলাদেশ। খালেদ মাহমুদ সুজনের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ইংল্যান্ডের কাউন্টি মাঠ নর্দাম্পটনে বাংলাদেশের জয়টি ৬২ রানের। হাজার মাইল দূরের সেই অর্জনের উৎসবে মেতে উঠল গোটা বাংলাদেশ।
২৩ বছর আগের সেই মুহূর্তগুলোই যেন গতকাল হ্যামিল্টনে নতুন করে মঞ্চায়িত হলো। এবার ইতিহাস গড়লেন নারীরা। ছেলেদের মতোই প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে এসে তৃতীয় ম্যাচেই তুলে নিলেন জয়। এবার অবশ্য স্কটল্যান্ড নয়, প্রতিপক্ষের নাম পাকিস্তান। ছেলেরা যেমন ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারিয়ে প্রথম কোনো টেস্ট দলের বিপক্ষে জয়ের গৌরব গায়ে মেখেছিল, মেয়েরা প্রায় দুই যুগ পর সেই পাকিস্তানকে হারিয়েই বিশ্বকাপে প্রথম জয়ের ইতিহাস গড়ার দিন। দেশের নারী ক্রিকেটকে অন্য উচ্চতায় তুলে নেওয়ার ক্ষণ। দেশের মানুষের আনন্দের উপলক্ষ।
পাকিস্তান এমনিতে বাংলাদেশের চেনা প্রতিপক্ষ। সর্বশেষ তিন ম্যাচে পাকিস্তানকে হারানোর অভিজ্ঞতা আছে বাংলাদেশের। কিন্তু বিশ্বকাপে জয় যে অন্যরকম এক অনুভ‚তি। অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতিও ভাষায় প্রকাশ করতে পারছেন না তার অনুভ‚তি, ‘আমি এ জয়ের অনুভ‚তি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। এটি বিশ্বকাপে আমাদের প্রথম জয়। আমরা ইতিহাস গড়েছি।’ বিশ্বকাপে প্রথম জয়কে প্রেরণা বানিয়ে এখন সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চান অধিনায়ক নিগার, ‘আমরা পাকিস্তানকে খুব ভালো করে জানি। পরস্পরের সঙ্গে অনেক খেলেছি আমরা। সবশেষ স্মৃতিও দারুণ, বাছাইপর্বে ওদেরকে শেষ ওভারে হারিয়েছিলাম। আজকের (গতকাল) জয়ও রোমাঞ্চকর। মেয়েরা কঠোর পরিশ্রম করেছে। এই জয়ের ধারাবাহিকতা আমরা সামনের ম্যাচগুলোতেও টেনে নিয়ে যেতে চাই।’ টুর্নামেন্টে ম্যাচ বাকি এখনো চারটি। প্রতিপক্ষ সবগুলোই কঠিন। তবে এই মোমেন্টাম ধরে রাখতে চান নিগার, ‘জয় সবসময়ই আত্মবিশ্বাস জোগায়। এরকম কিছুই আমরা চাচ্ছিলাম। এই মোমেন্টামই আমরা চাচ্ছিলাম। আমাদের দলটি ভালো, ক্রমে উন্নতি করছি। আমরা জানি যে আমাদের সামর্থ্য আছে।’
হ্যামিল্টনে পাকিস্তানকে ৯ রানে হারিয়ে ধরা দেয় বিশ্বকাপে মেয়েদের প্রথম জয়ের স্বাদ। তাতে বল হাতে বড় অবদান রেখে ম্যাচ সেরা হন লেগ স্পিনার ফাহিমা খাতুন। ইতিহাস রচয়িতা বলছেন, দলটির বিপক্ষে খেলতে নামলে আলাদা একটা তাড়না কাজ করে তাদের, ‘একটা জিনিস আমি প্রথমে শেয়ার করি। যখন আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে খেলি, তখন আমরা সত্যিই রোমাঞ্চিত ও জেতার জন্য সত্যিই খুব ক্ষুধার্ত থাকি। আজ (গতকাল) আলোচনা করেছিলাম আমাদের স্বাভাবিক খেলা যাতে খেলতে পারি।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ক্রিকেট


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ