নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দর্শকই ক্রিকেটের প্রাণ। দর্শক ছাড়া যেন ক্রিকেটই জমে না। করোনার কারণে প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময় মাঠে সেই প্রাণের সঞ্চার ছিল না। করোনার থাবায় স্টেডিয়ামগুলো প্রাণহীন হয়ে উঠেছিল। অবশেষে ৭২১ দিন পর মিরপুর শেরে-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রাণ ফিরেছে। দর্শকদের চিৎকারে ভুলে যাওয়া দিনে ফিরে গেলেন অনেকেই!
২০২০ সালের মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর সময় হয়েছিল বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ। মিরপুরের ভরা গ্যালারিতে ওটাই ছিল সর্বশেষ সিরিজ। এরপর করোনার কারণে বেশ কিছুদিন খেলা বন্ধ থাকার পর পুনরায় শুরু হলেও দর্শকহীন মাঠে খেলা গড়ায়। মাঝে কিছুদিন দর্শক ফেরালেও গ্যালারি তার আগের রূপে ফেরেনি। অবশেষে দীর্ঘ বিরতির পর চেনা রূপে ফিরেছে মিরপুরের গ্যালারি।
৭২১ দিন পর ভরা গ্যালারিতে উৎসব করতে ম্যাচ শুরুর অনেক আগে থেকেই স্টেডিয়ামের সব গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। সবার স্বপ্ন একটাই-আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টানা ৮ ম্যাচ হারের বৃত্ত ভাঙবে টাইগাররা। সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশ দল ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। খেলা শুরুর আগে থেকেই স্রোতের মতো স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেছেন দর্শকরা।
দীর্ঘদিন পর মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারি কানায় কানায় পূর্ণ। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও মিরপুরের সেই উল্লাস হয়তো ভুলেই গিয়েছিলেন। আফগানদের বিপক্ষে লিটন-মুনিমদের চার-ছক্কায় গ্যালারিতে আনন্দ নৃত্য করেছেন দর্শকরা।
টঙ্গী থেকে শাহরিয়ার নামে এক শারীরিক প্রতিবন্ধীও খেলা দেখতে মিরপুরে উপস্থিত! হাঁটতে পারেন না তবও সাকিব-রিয়াদদের সমর্থন দিতে তার ছুটে আসা। সহযোগী একজনকে নিয়ে হুইল চেয়ারে নিয়ে সকালেই টঙ্গী থেকে বাসযোগে মিরপুরে আসেন তিনি। ম্যাচ শুরুর তিন ঘণ্টা আগে স্টেডিয়ামের এক নম্বর গেটে অপেক্ষায় থাকেন।
কেন এত কষ্ট করে তার মাঠে আসা? জানতে চাইলে শাহরিয়ার বলেন, ‘আমার পা নেই, কষ্ট তো হবেই। তবু আমি বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ভালোবাসি বলেই এমন কষ্ট করা। সাকিবকে ভালোবাসি। তাদের সমর্থন জানাতে মাঠে আসা। বাংলাদেশ ভালো খেলুক আর খারাপ খেলুক তাতে কিছু আসে যায়না। কষ্ট হলেও আজ বাংলাদেশের জন্য গ্যালারিতে বসে গলা ফাটাতে পারবো, ভেবে খুব ভালো লাগছে।’
দীর্ঘদিন পর দর্শকদের জন্য পুরো গ্যালারি উন্মুক্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তাতেই খুশির জোয়ার বইছে ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয়ে। ম্যাচের আগের দিন লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করার পর ম্যাচের দিনেও লাইনে দাঁড়িয়ে মাঠে ঢোকা-এই কষ্ট আনন্দের কাছে হার মেনেছে। মিরপুরের ২২ গজে লড়ছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে গ্যালারিতে বাংলাদেশের সঙ্গে লড়াইয়ে অংশ নিয়েছেন দর্শকরা। বহুদিন পর এমন দৃশ্য নিশ্চিতভাবেই মাহমুদউল্লাহদের অনুপ্রেরণা জোগাবে! জিতবে বাংলাদেশ জিতবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।