নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করা ইসলামাবাদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেছিলেন অধিনায়ক শাদাবই। তবু তার দল দুইশ ছুঁইছুঁই স্কোর পেয়েছে মূলত সকলের সম্মিলিত অবদানে। যে-ই উইকেটে এসেছেন, খেলেছেন ছোট তবে মারমুখী ও কার্যকরী ইনিংস।
পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) ক্রিকেটে যেনো জেতার কোনো ইচ্ছাই নেই বাবর আজমের দল করাচি কিংসের। তাই তো শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে চরম নাটকীয়তার পর জয়ের সুযোগ এলেও, তা লুফে নিতে পারেনি বাবরের দল। ম্যাচ হেরে গেছে মাত্র ১ রানের ব্যবধানে।
সোমবার রাতে লাহোরে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ইসলামাবাদ ইউনাইটেড ও করাচি কিংস। হাই স্কোরিং ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করা ইসলামাবাদের সংগ্রহ ছিল ৭ উইকেটে ১৯১ রান। জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রানে থেমেছে করাচির ইনিংস।
এ নিয়ে এবারের আসরে খেলা সাত ম্যাচের সবকয়টিই হারলো বাবর আজমের দল। যার ফলে সবার আগে বিদায় নিতে হলো টুর্নামেন্ট থেকে। অন্যদিকে সাত ম্যাচে চতুর্থ জয়ে সেরা চারে ওঠার সম্ভাবনা ভালোভাবেই বাঁচিয়ে রাখলো শাদাব খানের ইসলামাবাদ।
রহমানুল্লাহ গুরবাজ ৫ বলে ১২, অ্যালেক্স হেলস ১৯ বলে ২৫ ও লিয়াম ডসন করেন ১৬ বলে ১৫ রান। একপর্যায়ে ১৩.২ ওভারে ৫ উইকেটে স্কোর দাঁড়ায় ১০৭ রান। শেষ ৪০ বলে আসে ৮৪ রান। যেখানে আজম খান ১৪ বলে ২২, আসিফ আলি ১১ বলে ২৮ ও ফাহিম আশরাফ তোলেন ১০ বলে ২৯ রানের সাইক্লোন।
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শারজিল খানের ২৯ বলে ৪৪ রানের পরও শুরুটা খুব একটা ভালো ছিল না করাচির। বাবর ৯ বলে ১৩, জো ক্লার্ক ২ বলে ০, শাহিবজাদা ফারহান ২১ বলে ১৭ ও মোহাম্মদ নবি আউট হন ৩ বলে ৩ রান করে। মাত্র ৮০ রানেই হারায় ৫ উইকেট।
সেখান থেকে ষষ্ঠ উইকেটে ম্যাচ ঘোরানো জুটি গড়েন ইমাদ ওয়াসিম ও কাশিম আকরাম। এ দুজন মিলে মাত্র ৮.৪ ওভারে যোগ করেন ১০৮ রান। মারমুখী ব্যাটিংয়ে শেষ ওভারের সমীকরণটা মাত্র ৮ রানে নামিয়ে আনেন ইমাদ ও কাশিম। যা ঠেকানোর দায়িত্ব নেন ওয়াকাস মাকসুদ।
শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সমীকরণটা ৪ বলে ৪ রানে নামিয়ে ফেলেন ইমাদ। তবে তৃতীয় বলে দারুণ এক স্লোয়ারে সমাপ্তি ঘটে ইমাদের ২৮ বলে ৬ চার ও ৩ ছয়ের মারে ৫৫ রানের ইনিংসের। পরের বল হয় ওয়াইড, চতুর্থ বলে ১ রান নেন কাশিম।
দুই বলে যখন প্রয়োজন দুই রান তখন ওয়াকাসের বলে বোল্ড হন জর্ডান থম্পসন। ম্যাচ গড়ায় শেষ বলে, যেখানে ২ রান করতে হতো করাচির। বড় শট খেলার চেষ্টায় আকাশে ভাসিয়ে ক্রিস জর্ডান। কিন্তু ফিরতি ক্যাচ নিতে ব্যর্থ হন ওয়াকাস। তবে সরাসরি থ্রোয়ে রানআউট ঠিকই করেন তিনি।
আর এতেই নিশ্চিত হয় ইসলামাবাদের ১ রানের জয় এবং করাচির টানা সপ্তম পরাজয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।