নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
করোনাভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে আক্রান্ত দুই জন এবং ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত একজনসহ মোট তিন নারী ক্রিকেটার অবশেষে করোনা মুক্ত হয়েছেন। ২০ দিনের বন্দি জীবন শেষে ওরা এখন মুক্ত। তাই প্রিয়জনের মুখ দেখার সুযোগ পাচ্ছেন তারা। সোমবার দুপুরে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে তিন নারী ক্রিকেটারের সবাই যে যার বাড়িতে ফিরে গেছেন।
বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব খেলে গত ১ ডিসেম্বর জিম্বাবুয়ে থেকে দেশে ফিরে আসে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দল। ঢাকায় নেমে হোটেল সোনারগাঁওয়ে ৫ দিনের কোয়ারেন্টিনে যান তারা। সেখানেই দুই ক্রিকেটারের করোনা ধরা পড়ে। এক সপ্তাহ পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই দু’জন ওমিক্রনে আক্রান্ত। এরপর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানায়, দলের আরেকজন সদস্যও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। ফলে করোনায় আক্রান্ত তিনজনকেই ভর্তি করা হয় রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসাপাতালে। এছাড়া বাকিদের রাখা হয় প্রশিকায় অবস্থিত নির্ধারিত ফ্লাটে। করোনা নেগেটিভ হওয়ার পর গত বুধবার রাতে বাকিরা ছাড়া পেলেও সোমবার দুপুরে হাসপাতাল থেকে মুক্ত হন তিনজন। বিসিবির উইমেন্স উইংয়ের ইনচার্জ তৌহিদ মাহমুদ বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যায় সবাই করোনা নেগেটিভ হয়েছেন। আজ (গতকাল) দুপুরে তারা যে যার বাসায় চলে গেছেন। ফলে ২০ দিনের বন্দি জীবন কাটানোর পর তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। একই আবহ বিসিবিতেও। কারণ আমরাও অনেক চাপে ছিলাম।’
কোন তিন নারী ক্রিকেটার করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, পুরোটা সময়ই তা গোপন রেখেছে বিসিবি। এখন অবধি ওই তিনজনের নাম জানা যায়নি। তবে মুক্ত হওয়ার পর নিজের ফেসবুক ওয়ালে নাহিদা আক্তার স্বস্তির অনুভূতি প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘২০ কোয়ারেন্টিন শেষে আমি এখন মুক্ত। এখন আমার বাড়ি ফেরার পালা। এই সময় যারা আমাকে সমর্থন দিয়েছেন, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।